ফুটবলেও স্বর্ণপদকের হাতছানি! প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ভুটান
ফুটবলে বাংলাদেশের সাফল্যের ইতিহাস লিখতে হলে নেপালের নামটা উপরের দিকেই থাকবে। এই নেপাল থেকেই ১৯৯৯ সালে এসএ গেমসের স্বর্ণ প্রথমবারের মতো জিতে ফিরে ছিল বাংলাদেশ। তারপর ২০১০ সালে ঢাকায় এই গেমস থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ফুটবলের স্বর্ণপদক জিতে বাংলাদেশ।
সাফল্যের সেই তালিকায় কি তৃতীয় পালক যোগ হতে যাচ্ছে ২০১৯ সালে?
এই উত্তর খোঁজার মিশন শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের ২ ডিসেম্বর, সোমবার থেকে। এবারের এসএ গেমসে এদিনই বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল।
চলতি আসরে একেবারে শেষদিকে এসে ফুটবলের সূচিতে আয়োজকরা বদল আনতে বাধ্য হয়েছেন। শেষ সময়ে ভারত আসরের ফুটবল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়। ভারত না আসায় পুরো সূচিতে বড় ধরনের বদল আনতে হয়েছে। ভারতের অনুপস্থিতিতে অবশ্য বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলের সাফল্যের সম্ভাবনা বেড়েছে কিন্তু পরিবর্তিত সূচির কারণে প্রতিটি দলের বিশ্রামের সময় কমেছে। এই যেমন বাংলাদেশকে তাদের প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে চার দিনের মধ্যে!
সোমবার, ২ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। পরদিনই আবার খেলতে হবে মালদ্বীপের বিপক্ষে। একদিনের বিরতি দিয়ে ৫ ডিসেম্বরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। বদল হওয়া সূচির কারণে এই পাঁচ দলের সবাই একে অন্যের বিপক্ষে খেলবে। যে দুই দলের পয়েন্ট বেশি থাকবে তারাই খেলবে ১০ ডিসেম্বরের ফাইনালে।
গেমসের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ এই আসরে খেলছে অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে। তবে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এই দলটিকে জাতীয় দলের মতো শক্তিমান বলতে কোনো দ্বিধা নেই। জাতীয় দলের ১৬ জন খেলোয়াড়ই রয়েছেন এই দলটিতে।
শক্তি-অভিজ্ঞতা এবং কোচ জেমি ডে’র এই দলটির বর্তমান ফর্ম সব কিছুকে যোগ করলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী ফুটবল দলটিই হচ্ছে বাংলাদেশ।
তবে কাগজে-কলমে যতই শক্তিমান হোক না কেন, মাঠের পারফরম্যান্সেই আসল পরীক্ষা। সেই যুক্তি তুলে ধরে ভুটান ম্যাচের আগে দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু বলছিলেন- ‘আসলে সূচিতে বদল হয়েছে এটা শুধু আমাদের জন্য নয়, সব দলের জন্যই সমস্যার বিষয়। আসরের প্রথম ম্যাচেই খেলছে বাংলাদেশ। ভাল শুরু করাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম দুই ম্যাচে আমরা যদি ঠিক মতো পারফরম্যান্স করতে পারি তাহলে বলতে পারব ফাইনালে খেলার জন্য আমরা সঠিক পথেই আছি।’
ভারত না থাকায় এই আসরে হট ফেভারিটের মর্যাদা পাচ্ছে বাংলাদেশই। সেই প্রসঙ্গে দলের ফুটবলার সাদউদ্দিনও বলছিলেন- ‘কোন সন্দেহ নেই, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ। দলের সবাই যদি ভালো পারফর্ম করতে পারে তাহলে সাফল্য আমরা পাবই। চ্যাম্পিয়ন হব।’