এমসিসি স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড পেল নিউজিল্যান্ড
নির্ধারিত সময়ের খেলার সঙ্গে লর্ডসে নাটকীয় ভাবে টাই হয়ে ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারও। হাস্যকর বাউন্ডারি বেশি হাঁকানোর নিয়মে বিশ্বকাপ ট্রফি ইংল্যান্ডের কাছে হাতছাড়া করে নিউজিল্যান্ড। পরে অবশ্য আইসিসি নিয়মটি পাল্টে ফেলেছে।
নির্ধারিত সময়ে ইংল্যান্ডকে বেশি রান দেওয়ার অভিযোগও উঠে ছিল মাঠের আম্পায়ারের বিরুদ্ধে। উত্তেজনায় ভরা ফাইনালের শেষ দিকে অলরাউন্ডার বেন স্টোকস উইকেটের প্রান্ত না ছুঁলেও রান পেয়ে যায় ইংলিশরা। আম্পায়ার এ ভুল না করলে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতো নিউজিল্যান্ডই।
স্নায়ুচাপের ম্যাচে এতো কিছু হলেও কোনো ধরনের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেননি কোনো কিউই ক্রিকেটার। মাথা ঠাণ্ডা রেখে হার মেনে নিয়ে ছিল তারা। এমন স্পোর্টিং আচরণের জন্য ক্রিস্টোফার মার্টিন-জেনকিন্স স্পিরিট অব ক্রিকেটার অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
পুরস্কার জিতলে সবাই খুশি হয়। তবে এ পুরস্কার জয়ে খুশি হওয়ার চেয়ে আক্ষেপের আগুনই বেশি পুড়াবে নিউজিল্যান্ডকে।
হেরেও নিউজিল্যান্ড খেলোয়াড়ী মানসিকতা, ভদ্রতা ও নিঃস্বার্থতার যে পরিচয় দিয়ে ছিল তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অ্যাওয়ার্ডের বিচারিক প্যানেল। এমসিসি প্রেসিডেন্ট কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডই এ পুরস্কারের যোগ্য বিজয়ী।’
নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ড্র হওয়া হ্যামিল্টন টেস্টে কিউই ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন পুরস্কার বুঝে নেন। ২০১৩ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)।