ফের নাম্বার ওয়ান কোহলি
নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঠে ফিরেই ঝড় তুলছিলেন তিনি। তার পথ ধরেই উঠে আসেন শীর্ষে। পেছনে পড়ে যান বিরাট কোহলি। এবার স্টিভেন স্মিথের সেই আধিপত্যের ইতি টানলেন ভারত অধিনায়ক। বাংলাদেশের বিপক্ষে কলকাতা টেস্টে ব্যাট হাতে সাফল্য ফের তাকে নিয়ে গেল আইসিসি টেস্ট ব়্যাঙ্কিংয়ের প্রথম স্থানে।
গোলাপি বলের টেস্টে গত মাসেই টাইগারদের বিপক্ষে ইডেনে পেয়ে ছিলেন শতরান। সেই সাফল্যে এবার অজি তারকা স্মিথকে টপকে শীর্ষ স্থানে চলে এসেছেন বিরাট। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে সাফল্য পেয়ে মোহাম্মদ শামিও বেশ এগিয়েছেন। ভারতীয় এই পেসার টেস্ট বোলারদের মধ্যে প্রথম দশে ঢুকে পড়েছেন।
বল টেম্পারিংয়ে জড়ানোর আগে নাম্বার ওয়ান ছিলেন স্মিথ। কিন্তু তিনি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতেই সেরার তালিকায় প্রথম হয়ে যান বিরাট কোহলি। এরপর ফিরেই ভারত অধিনায়ককে পেছনে ফেলেন স্মিথ। তাদের এই লড়াইটা বেশ জমে উঠেছে।
স্মিথকে ফের পেছনে ফেললেন বিরাট। ভারত অধিনায়কের রেটিং পয়েন্ট ৯২৮। স্মিথের নামের পাশে ৯২৩ রেটিং পয়েন্ট।
তিন নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। ৭৯১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ভারতের চেতেশ্বর পূজারা। পাঁচ নম্বরে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। যিনি দিন কয়েক আগেই পেয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। ৩৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ১২ ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
৭৫৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ভারতের অজিঙ্কা রাহানে। টাইগারদের বিপক্ষে সিরিজে শতরান করা মায়াঙ্ক আগারওয়াল উঠে এসেছেন দ্বাদশ স্থানে। রোহিত শর্মা ১৬ নম্বরে।
ধারাবাহিকভাবেই বল হাতে সাফল্য পাচ্ছেন মোহাম্মদ শামি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার পর বাংলাদেশ সিরিজে দুর্দান্ত বল করেছেন এই পেসার। তার পথ ধরে ৭৭১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। তবে টেস্ট বোলারদের মধ্যে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স।
দুইয়ে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা। এরপরই উইন্ডিজের জেসন হোল্ডার। চার নম্বরে নেইল ওয়াগনার। আর অলরাউন্ডারদের মধ্যে নাম্বার ওয়ানে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার। তারপরই ভারতের রবিন্দ্র জাদেজা।
নিষেধাজ্ঞার পর ব়্যাঙ্কিং থেকেই ছিটকে পড়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।