ইমরুলের ব্যাটে প্রথম ম্যাচেই চ্যালেঞ্জ জিতল চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা উভয় দিকে দুলছিল। সমতা ছিল। কিন্তু ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের দুর্দান্ত জুটি ম্যাচের হিসেব বদলে দিল। চট্টগ্রামের রান তাড়ার হিসেব সহজ করে দিল। শেষ ৩৬ বলে জয়ের জন্য চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের প্রয়োজন দাঁড়াল ৫১ রান। হাতে জমা থাকা ৬ উইকেটে ম্যাচের শেষাংশের সেই চ্যালেঞ্জ ঠিকই জিতে নিল চট্টগ্রাম। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরু।
চট্টগ্রামের ম্যাচ জয়ের নায়ক এই দুই ব্যাটসম্যানই। ওয়ালটন করলেন ৩০ বলে অপরাজিত ৪৯ রান। সিনিয়র ক্রিকেটার ইমরুল কায়েসের ব্যাট হাসল ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংসে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এই দুজনের ৮৮ রান চট্টগ্রামের ম্যাচ জয়ের মূলমন্ত্র। অথচ নবম ওভারে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রাম এই ম্যাচে ব্যাকফুটেই ছিল।
ইমরুল-ওয়ালটনের হিসেবি ব্যাটিং চট্টগ্রামকে জয় উপহার দিল।
১৬২ রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে না পেরে সিলেট থান্ডার আক্ষেপ-আফসোসে পুড়ছে। এলোমেলো বোলিং, বিশৃঙ্খল ফিল্ডিং, ক্যাচ ড্রপ এবং স্কোরবোর্ডে আরো অন্তত ১৫টি রান কম জমা-টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সিলেটের হারের মূল কারণ আপাতত এগুলোই।
মিরপুরের উইকেটে ১৬২ রান মোটেও মন্দ স্কোর নয়। তবে এই স্কোরকে অন্তত ১৭৫/১৮০’র ঘরে নিয়ে যাওয়ার দারুণ একটা সুযোগ ছিল সিলেট থান্ডারের সামনে। শেষের দিকে চট্টগ্রামের চমৎকার বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৬২ রানে থামে সিলেটের সংগ্রহ। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন খেলেন বিপিএলে তার ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস। ৫ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে এই রান পাওয়া মিঠুনকে ভালো সঙ্গ দেন শুরুতে জনসন চার্লস এবং শেষে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
রান তাড়ায় নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। জুনায়েদ সিদ্দিকী একবার ক্যাচ মিসের সুযোগ পাওয়া সত্ত্বেও করলেন মাত্র ৪ রান। নাসির হোসেনের এবারের বিপিএল শুরু হলো গোল্ডেন ডাক দিয়ে। স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর প্রথম বলেই নাসির শূন্য রানে ক্যাচ তুলে ফিরলেন।
সঙ্কটে পড়া দলকে প্রথমে উদ্ধার করেন ওয়ালটন ও ইমরুল জুটি। ৬১ রান করে ইমরুল যখন আউট হন তখন চট্টগ্রাম ম্যাচ জয় থেকে হাত বাড়ানো দূরুত্বে দাঁড়িয়ে। ওয়ালটনের অপরাজিত ৪৯ রানে এক ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম। ৫ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৩৮ বলে ৬১ রান করে ম্যাচ সেরা হন ইমরুল কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট থান্ডার: ১৬২/৪ (২০ ওভারে, মিঠুন ৮০*, জনসন ৩৫, মোসাদ্দেক ২৯; রুবেল হোসেন ২/২৭)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৬৩/৫ (১৯ ওভারে, ইমরুল ৬১, আবিস্কা ফার্নান্দো ৩৩, ওয়ালটন ৪৯*; নাজমুল ইসলাম ২/২৩)।
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ইমরুল কায়েস।