থিসারার ম্যাচে জিতল ঢাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
রানের দেখা পেলেন তামিম -ছবি: বিসিবি

রানের দেখা পেলেন তামিম -ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জিততে ওভার প্রতি চাই ৯ রান! লক্ষ্যটা শুরু থেকেই ছিল আকাশ ছোঁয়া! এমন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে লড়তেও পারেনি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ঢাকা প্লাটুনের রান চাপা পড়ল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

শুক্রবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ছুটির দিনে ২০ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার ঢাকা।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে ঢাকা প্লাটুন। থিসারা পেরেরার ঝড়ে দল শেষ ৬ ওভারে পায় ৮৫ রান। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬০ রানে আটকে যায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

ম্যাচটা আসে থিসারা পেরেরার হয়েই থাকল। ব্যাট হাতে ৪২ রানের পর তুলে নেন ৩০ রানে ৫ উইকেট।

জবাবে নেমে শুরুটা অবশ্য মন্দ ছিল না কুমিল্লার। ৯ ওভারে ২ উইকেটে ৮১ রান তুলে লড়াই জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু এরপরই পথ হারায় তারা।  রাজাপাকসে ২৯ রানে ফিরলেও লড়ে যাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ২৬ বলে ৩৫ রান করে তিনি ফিরতেই সর্বনাশ।

ম্যাচের ১২তম ওভারে টানা দুই বলে সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে দৃশ্যপট পাল্টে দেন পেরেরা। তারপর কিছুটা লড়েছেন ডেভিড মালান। ৩৬ বলে ৪০ রান করে ফিরেন তিন। শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আবু হায়দার ও সানজামুল ইসলামকে ফিরিয়ে ৫ শিকার করেন পেরেরা। এছাড়া ৪ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে নিজেকে ফিরে পেলেন তামিম ইকবাল। লম্বা এক বিরতি শেষে এবারের বিপিএল দিয়েই ফিরেছেন তিনি। দর্শক মাতিয়ে তুলে নেন ফিফটি। সঙ্গে থিসারা পেরেরার ব্যাটও কথা বলল। সব মিলিয়ে বড় স্কোর গড়ে তারা।

যদিও শুরুটা তেমন ছন্দময় ছিল না ঢাকার। পাওয়ার প্লেতে ১৫ বলে মাত্র ৭ রান করেন তামিম। সৌম্য সরকার ক্যাচ না ফেললে অবশ্য ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ৪ রানে। কিন্তু প্রাণ পেয়ে এরপরই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। ৪০ বলে ফিফটি করেন তামিম।

কুমিল্লার বোলিং উড়িয়ে তৃতীয় উইকেটে লরি ইভান্সের সঙ্গে গড়েন ৭৫ রানের জুটি। ২ চারে ২৪ বলে ২৩ করে ফেরেন ইংল্যান্ডের রিক্রুট লরি। আর ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় ৭৪ রান করে ফেরেন তামিম। তবে এরপরই ঝড় তোলেন পেরেরা। ১৭ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

৩৯ রানে ২ উইকেট নেন সৌম্য। ২ উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তবে রান দিয়েছে ৪৮। সব মিলিয়ে রান পাহাড়ের সামনে উঠে দাঁড়াতে পারেনি কুমিল্লা। প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে পথে ফিরল মাশরাফির ঢাকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৮০/৭ (এনামুল ০, তামিম ৭৪, মেহেদি ১২, ইভান্স ২৩, থিসারা ৪২*, আফ্রিদি ৪, ওয়াহাব ০, মাশরাফি ৯; মুজিব ১/১৫, আবু হায়দার ১/২৯, শানাকা ২/৪৮, সৌম্য ২/৩৯)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৬০/৯ (রাজাপাকসে ২৯, ইয়াসির ৩, সৌম্য ৩৫, মালান ৪০, সাব্বির ৪, শানাকা ০, মাহিদুল ৩৭, আবু হায়দার ০, সানজামুল ১, মুজিব ৪*, আল আমিন ২*; মাশরাফি ১/২৭, মেহেদি ১/২৮, ওয়াহাব ২/১৬, থিসারা ৫/৩০ )।
ফল: ঢাকা প্লাটুন ২০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: থিসারা পেরেরা

   

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;