সৌম্যকে হতাশ করে উড়ল রাজশাহী
ব্যাটসম্যানদের হাত ধরে দল পেয়েছিল লড়াকু পুঁজি। এরপর বোলাররাও বল হাতে দারুণ সফল। দুইয়ে মিলে আরেকটি অনায়াস জয় রাজশাহী রয়্যালসের। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার তাদের শিকার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১৫ রানে জয় তুলে নিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের দল। সৌম্য সরকারের দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরিটা বিফলেই গেল।
দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান তুলে রাজশাহী রয়্যালস। জবাবে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানে আটকে যায় দাভিদ মালানের দল। দাসুন শানাকা দেশে ফিরে যাওয়ায় কুমিল্লাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনিই!
কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে যেভাবে জবাব দেওয়া চাই সেটা করতে পারেনি কুমিল্লা। দলীয় ২৬ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি (১২)। এরপর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। অধিনায়ক দাভিদ মালান (৩) শিকার প্রতিপক্ষের দলনেতা আন্দ্রে রাসেলের। যা একটু লড়লেন সৌম্য সরকার। তবে সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।
সৌম্য অপরাজিত ৪৮ বলে ৮৮ রানে। এটিই সৌম্যর ২০ ওভারের ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস। ফিফটি করেন ৩৬ বলে। ৬ ছক্কায় ঝড় তুললেও বিফলেই গেল তার লড়াই! ২০১৫ সালের চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে করা ৫৮ রানই ছিল এই ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। বিপিএল ইতিহাসে ৫৮ ম্যাচ খেলে সৌম্যর এটি মাত্র দ্বিতীয় ফিফটি।
সাব্বির রহমান অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ২৩ বলে ২৫ রানে মোহাম্মদ ইরফানের শিকার। ৮ বোলার নিয়ে আক্রমণে বেশ সফলই বলা যায় রাসেলকে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন, শোয়েব মালিক ও আন্দ্রে রাসেলের দাপটে বড় পুঁজি পায় রাজশাহী। শুরুতেই ঝড় তুলেন আফিফ ও লিটন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে জমা হয় ৫৬ রান। ১৯ বলে ২৪ রান করে ফেরেন লিটন। আফিফ ৩০ বলে ৪৩ রানে আউট।
তারপর রবি বোপারা ১২ বলে ১০ করে মুজিব-উর-রহমানের শিকার। ঠিক তখনই মালিক ও রাসেল ঝড় তুলেন। মালিক ৩৮ বলে তুলেন ৬১। অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ৪ ছক্কায় ২১ বলে ৩৭ নটআউট। মাত্র ৪২ বলে তারা জমা করেন ৮৪ রান।
ঠিক এখানেই হেরে যায় কুমিল্লা। চ্যালেঞ্জিং পুঁজির সামনে দাঁড়িয়ে লড়তেও পারেনি তারা। রাজশাহীর এটি ষষ্ঠ ম্যাচে পঞ্চম জয়, সাত ম্যাচে কুমিল্লার হার পাঁচটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রাজশাহী রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৯০/৪ (লিটন ২৪, আফিফ ৪৩, মালিক ৬১, বোপারা ১০, রাসেল ৩৭*; মুজিব ১/২৫, সানজামুল ১/২০ ও সৌম্য ১/১৮)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ২০ ওভারে ১৭৫/৪ (রবি ১২, ফন জিল ২১, মালান ৩, সৌম্য ৮৮*, সাব্বির ২৫, ভিসা ১৬*; রাসেল ১/৪৪, ইরফান ১/২৪, ফরহাদ ১/৪৮, মালিক ১/১৯)।
ফল: রাজশাহী রয়্যালস ১৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: শোয়েব মালিক (রাজশাহী রয়্যালস)।