রুশোর ব্যাটিং ঝড়ে কুমিল্লার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
খুলনা টাইগার্সের ওপেনিং জুটিতেই উঠল ৭১ রান। আর সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে মিডলঅর্ডারে রাইলি রুশো ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করলেন অপরাজিত ৮৫ রান। এই দুই উইকেটের পঞ্চাশ পেরনো জুটিই খুলনাকে এনে দিল ১৭৯ রানের আত্মবিশ্বাসী সঞ্চয়।
টুর্নামেন্টে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি করে রাইলি রুশো জানিয়ে দিলেন খুলনা তাকে দলে টেনে কোনো ভুল করেনি। মাত্র ৩৬ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৭১ রান করে রাইলি রুশো জানিয়ে দিলেন- স্লো উইকেটেও বড় রান তোলা যায়! ১০ ম্যাচে ৪১১ রান করে খুলনার এই ব্যাটসম্যান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রান সংগ্রহের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। এই ম্যাচের আগে ৪৩৫ রান নিয়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক দাউদ মালান রয়েছেন তালিকার শীর্ষে।
টস জিতে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স বোলিং বেছে নেয়। কিন্তু দলের ছয় বোলারের কেউ বল হাতে তেমন সুবিধা করতে পারলেন না।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৯.১ ওভারে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৭১ রান। ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ২৯ বলে ৩৮ রান করে সৌম্য সরকারের বলে আউট হন শান্ত। মেহেদি হাসান মিরাজ একটু ধীরগতিতে ব্যাট করেন। টি-টোয়েন্টিতে ৩৯ বল খেলা কোনো ব্যাটসম্যানের ৩৯ রানকে ‘মাত্রই’ দেখায়!
তবে ১২.২ ওভারে দলীয় ৯৪ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর খুলনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাকি ৭.৪ ওভারে রুশো ও মুশফিক গড়েন হার না মানা ৮৫ রানের জুটি। রাইলি রুশো একপ্রান্ত মারকুটে স্টাইলে ব্যাট চালালেও মুশফিকুর রহিম করেন ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং। ১৭ বলে শেষপর্যন্ত খেলে মুশফিক করেন অপরাজিত ২৪ রান।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের সৌম্য সরকার ও ডেভিড ভিসা একটি করে উইকেট পান।