মাশরাফি কবে অবসর নেবেন- সেই প্রসঙ্গে পাপন
মাশরাফি বিন মর্তুজা এখন মাঠের পারফরমেন্সের জন্য যত না আলোচিত তারচেয়েও বেশি শিরোনামে তিনি তার অবসরে যাওয়ার সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে!
বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে মাশরাফি বলেছিলেন-এটাই হচ্ছে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট থেকেও বিদায় নেবেন-এমন কোন সিদ্ধান্তের কথা জানাননি মাশরাফি। ফর্ম,বয়স, ফিটনেস ও বিসিবির ইচ্ছে-এসব অনুষঙ্গকে এক নিক্তিতে মাপলে মাশরাফির কঠিন ভক্তরা পর্যন্ত একমত হয়েছিলেন-বিদায় বলার সময় এসে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রভাবী ক্রিকেটারের।
কিন্তু মাত্র ক’দিন আগেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এক ম্যাচ শেষে মাশরাফি জানান-‘আমি খেলবো, খেলতে চাই।’
আর নিজের খেলার কথা জানানোর ক’দিন পরেই বিসিবি’র কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজের নাম সরিয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ করলেন মাশরাফি। জানা কথা- কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা মানেই বিসিবির মনোযোগের কেন্দ্রেও না থাকা! সম্ভবত নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মাশরাফি। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়াটা তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ।
মাশরাফির অবসরের সম্ভাব্য সময় ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন রোববার আরেকবার অনেককিছু স্পষ্ঠ করে দিলেন। তিনি জানালেন-‘ওকে একবার আমরা অফার (অবসর নেয়ার বিষয়ে) করেছিলাম। বিশ্বকাপের পরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটা ওয়ানডে ম্যাচের আয়োজন করে তাকে বিদায় জানানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সেই ম্যাচ নিয়ে বিসিবি আলোচনাও করেছিল। আর এই বিষয়ে মাশরাফির সঙ্গে বিশ্বকাপের সময়েই আমার লন্ডনেই কথা হয়েছিল। তবে যাই হোক পরে ও (মাশরাফি) আর রাজি হলো না। আমাকে বলল- এই বিপিএল পর্যন্ত দেখতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে। আর এখন আমি মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি সে বলেছে-তার নাকি ঘটা করে বিদায় নেয়ার কোন ইচ্ছেই নেই। আমাকে অবশ্য এই বিষয়ে সে এখনো কিছু বলেনি। আমি পত্র পত্রিকায় দেখেছি তার মন্তব্য। দেখা যাক কি হয়? আমরা তো চাইবেই তাকে খুব ভালভাবে একটা বিদায় দেয়ার। সেই আয়োজনটা আমরা এমন করতে চাই যা বাংলাদেশের আর কেউ কখনো পেয়েছে বা পাবে! তার বিদায় নিয়ে এটাই আমাদের ইচ্ছে। এখন যে যদি চায় তাহলে হবে। আর না চাইলে কিছু করার নেই’।
কিছু করার নেই!
সম্ভবত মাশরাফিও জেনে গেছেন এটা!