শুরুর ঝড়ের পরেও এলোমেলো চট্টগ্রাম ‘মাত্র’ ১৬৪
যে গতিতে রান উঠছিল, একই গতিতে উইকেটও পড়ছিল! এই জটিলতায় পড়ে শেষ পর্যন্ত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের স্কোর আটকে গেল ১৬৪ রানে। অথচ ইনিংসের মাঝপথে চট্টগ্রামের কোচ পল নিক্সন ১৮০ রানের স্বপ্ন দেখছিলেন। ১৭ জানুয়ারির ফাইনালে খেলতে হলে রাজশাহী রয়্যালসকে করতে হবে ১৬৫ রান।
এই ইনিংসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তিনজন ব্যাটসম্যান মাত্র ‘পাসমার্ক’ পেলেন। গেইল করলেন ২৪ বলে ৬০। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৮ বলে ৩৩ এবং শেষের দিকে অ্যাসেলা গুনারত্নে করেন ২৫ বলে ৩১। দলের বাকি ৭ ব্যাটসম্যানের রান সিঙ্গেল ডিজিটে!
টসে হেরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ফাইনালে উঠার লড়াইয়ের এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামে। জিয়াউর রহমান ও ইমরুল কায়েস পাওয়ার প্লে’তে ফিরে গেলেও একপ্রান্ত থেকে ঠিকই ঝড় তোলেন ক্রিস গেইল। মাত্র ২১ বলে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পুরো করেন টি-টোয়েন্টির এই ওস্তাদ ব্যাটসম্যান। ৫ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৬০ রান করে গেইল আউট হলে ব্যাট হাতে দলকে সামনে বাড়ানোর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আন্দ্রে রাসেলের প্রথম ওভারেই আম্পায়ার তাকে এলবি দিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রক্ষা পান। ৩ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে মাত্র ১৮ বলে মাহমুদল্লাহর ৩৩ রানে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে চ্যালেঞ্জার্সের স্কোর তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায়।
যে গতিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রান বাড়ছিল তাতে মনে হচ্ছিল ২০০ রান খুবই নিকটে। কিন্তু মোহাম্মদ নওয়াজ এক ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নুরুল হাসান সোহানকে ফিরিয়ে দিয়ে রাজশাহী রয়্যালসকে ম্যাচে ফেরান। শর্ট মিড উইকেটে লিটন দাস একপাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে যে কায়দায় চ্যাডউইক ওয়ালটনকে ফেরালেন; সেই ক্যাচটাই জানিয়ে দিল এই ম্যাচ জিততে কেমন মরিয়া রাজশাহী! রায়াদ এমরিট দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে যে আলসেমি কায়দায় রানআউট হলেন সেটা দেখে নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ফিল্ডিং কোচের ভালো লাগার কথা নয়।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা অ্যাসলে গুনারত্বে ২৫ বলে ৩১ রান যোগ করায় চট্টগ্রামের সঞ্চয় আরো সমৃদ্ধ হলো।
শুরুর ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ১১১। পরের ৬ ওভারে মাত্র ৩১ রান যোগ করে হারায় ৪ উইকেট। আর শেষের চার ওভারে ২৫ রানে গেল ২ উইকেট। শুরুতে মারকাটারি। মাঝে গতিহীন। আর শেষের দিকে নিষ্প্রভ-এই ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ব্যাটিংয়ের চালচিত্র এটাই।