বাফুফের ভূমিকায় হতাশ রুহুল আমিন তরফদার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন তরফদার, ছবি: সুমন নিলয়, বার্তা২৪

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন তরফদার, ছবি: সুমন নিলয়, বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরের শুরু থেকেই গোটা জাতি মেতেছে উৎসবে। এ বছরই পালিত হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। তার রেশ থাকছে ক্রীড়াঙ্গনেও। একদিন আগেই শেষ হয়েছে বিশেষ বঙ্গবন্ধু বিপিএল। চলছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল। যদিও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শুরুতেই। প্রচারণা তেমন নেই। এমন কী অপরিচিত, নিচের সারির অংশগ্রহণকারী দলগুলোও নিয়ে উঠেছে কথা। খেলা মাঠে গড়ালেও নেই তেমন আলোড়ন। পুরো ব্যাপারটায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভূমিকা নিয়ে হতাশ অনেকেই। তাদেরই একজন রুহুল আমিন তরফদার।

বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এনিয়ে হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। শনিবার রাজধানীর মহাখালীতে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'দেখুন, এরইমধ্যে মুজিব বর্ষের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। আমরা সবাই জানি বঙ্গবন্ধু শুধু একটি নামই নয়, গোটা বিশ্বের কাছেই একটি ইনস্টিটিউশন। সেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরুর পর ফুটবল ফেডারেশনের প্রথম টুর্নামেন্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল। এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কোনোরকম প্রচার-প্রচারণা একেবারে জিরো। নেই বললেই চলে। দায়সারা গোছের একটা ‌র‌্যালি করেছে। আমরা আশা করেছিলাম সেখানেও অন্তত বাংলাদেশের যে ক্লাবগুলো আছে, যারা ফুটবল ফেডারেশনের এফিলিয়েটেড, বাংলাদেশ জেলা-বিভাগ যেটা আছে সবাইকে যুক্ত করা উচিত ছিল। সংগঠক-সাবেক ফুটবলারদের যুক্ত করা উচিত ছিল। সেটা কিন্তু আমরা দেখিনি।'

একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের মান নিয়েও প্রশ্ন তুললেন রুহুল আমিন তরফদার। যিনি একইসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব’স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি জানালেন, 'টুর্নামেন্টের মান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিশেষ এই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে বিশ্বের নামকরা যে দলগুলোর আসা উচিত ছিল, সাউথ-ইস্ট এশিয়াতেও যারা ভালো দল ছিল তাদের আমন্ত্রণ জানালে ভালো হতো। আমাদের পাশের দেশ ভারতকেও আমরা আমন্ত্রণ জানাতে পারতাম। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান ও কোরিয়া ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশও ছিল, সেই দলগুলোকে যদি আনতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। আর সেটা করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর নামে শতবার্ষিকীর এই টুর্নামেন্টটা সত্যিকারের মর্যাদা পেত। কিন্তু সেটা হয়নি বলেই ম্লান হয়ে গেছে। এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে যুক্ত বাফুফের যে কর্মকর্তারা, অন্য যারা সরাসরি টুর্নামেন্টের সঙ্গে জড়িত আমার মনে হয় কোথাও কোনো একটা ঝামেলা হয়েছে। না হলে বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্ট কেন এতোটা সাদামাটাভাবে শুরু হবে?'

বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত বিশেষ বিপিএল শেষ হয়েছে একদিন আগেই। যে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে ছিলেন বলিউড তারকারা। ফাইনাল ম্যাচেও উপচে উঠেছিল গ্যালারি, এই প্রসঙ্গটা শনিবার টেনে এনে রুহুল আমিন তরফদার বলছিলেন, 'আপনারা ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু বিপিএল দেখলেন, কতোটা জমজমাটভাবে হলো। বিষয়টা এমনই হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নামে বলে কথা। ফুটবলের আয়োজনটা দেখুন কোনো প্রচার-প্রচারণা নেই। যে দলগুলোকে নিয়ে আসা হলো-সেই দলগুলো বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে পরিচিত নয়। মরিশাসের কথাই ধরুন-তাদের দলে সতের-ষোল বছর বয়সী ফুটবলার রয়েছেন। কোনো রকমভাবে দল গড়ে তারা এসেছে। সবচেয়ে ভালো দল নিয়েে এসেছে ফিলিস্তিন। যদিও তারা অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে এসেছে। অবশ্য জাতীয় দলের ৬/৭ জন আছে। সিসেলস নামের একটা দেশ এসেছে যাদের র‌্যাঙ্কি দুইশ। আমাদের থেকে নিচে। একইসঙ্গে ওদের দল নিয়েও কোনো ধারণা নেই। বুরুন্ডি নামে একটা দল আছে। আফ্রিকায় খেলে। এই যে দল নির্বাচন, এটাতেই ব্যাপক সমস্যা হয়েছে। এটা কী ইচ্ছাকৃতভাবে তড়িগড়ি করে বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্নামেন্ট করে ট্রফিটা বাংলাদেশে রাখার জন্য করা হয়েছে নাকি কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এটা কিন্তু এখন জিজ্ঞাসার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো বিষয়টায় আমরা হতাশ হয়েছি।'

তাহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে বাফুফে কেন সবাইকে যুক্ত করল না? তাহলে কী পুরো কৃতিত্বটা একাই নিতে চেয়েছিল কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে থাকা কমিটি?

এমন প্রশ্নের মুখে রুহুল আমিন তরফদার জানালেন, 'এটা বাফুফেই ভালো বলতে পারবে। তবে সবাইকে যুক্ত করা উচিত ছিল। আমরা যারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করেছি, তাদের সঙ্গে রাখলে ভালো কিছু হতো। বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকীতে প্রথম টুর্নামেন্ট, এই টুর্নামেন্টের গুরুত্ব অনেক বেশি সেটা মাথায় রেখেই কাজটা করা উচিত ছিল।'

   

জরিমানার মুখে পড়লেন রাহুল ও গায়কোয়াড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার রাতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চলতি আসরের ৩৪ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল স্বাগতিক লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ। তবে স্লো ওভার-রেটের রাখার কারণে লক্ষ্ণৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি চেন্নাইয়ের অধিনায়কও পাবেন একই শাস্তি।

ওভার-রেট সংক্রান্ত জরিমানার অধীনে এবারই লক্ষ্ণৌকে প্রথমবার জরিমানার মুখে পড়তে হলো। নিয়ম অনুযায়ী লোকেশ রাহুলকে ১২ লাখ রুপি জরিমানা বহন করতে হবে। একই পরিমাণ জরিমানার সম্মুখীন হবেন রুতুরাজ গায়কোয়াডও।

এদিন টসে জিতে শুরুতে বোলিংয়ে যেয়ে ধোনিদের দল চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকায় লক্ষ্ণৌ। জবাবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান কেএল রাহুল এবং কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটি। রাহুল ৫৩ বলে ৮২ এবং ডি কক ৪৩ বলে ৫৪ করেন যা তাদের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তবে ফিল্ডিংয়ের সময় স্লো-ওভার রেটের আওতায় জরিমানার মুখে পড়তে হলো লক্ষ্ণৌ এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে।

;

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দৌড়ালেন শান্ত-মুশফিক-তানজিমরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, দেশের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়েছিল এই মাঠের মাধ্যমেই। ২০০৬ সালের আগে আন্তর্জাতিক অথবা ঘরোয়া ম্যাচের বেশিরভাগই গড়াতো এই মাঠে। এরপর এই মাঠ ফুটবলের জন্য বরাদ্দতা পায় এবং ক্রিকেটের নতুন ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি পায় মিরপুরের শেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

আজ অনেক বছর পর আবারও দেশের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের দেখা পেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। তবে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে নয়, বরং অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে দৌড়ের মাধ্যমে। ফিটনেস টেস্টকে উদ্দেশ্য করেই মুলত এই আয়োজন।

মে মাসের শুরতেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ, এরপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টকে মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের ফিটনেস বিষয়ে বেশ সচেতন ক্রিকেট বোর্ড। তাই আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। যেখানে অংশ নেবেন সিরিজের জন্য বিবেচনায় থাকা ৩৫ জন ক্রিকেটার। ফিটনেস টেস্টের শুরুর ধাপটা হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ১৬০০ মিটার দৌড়ের মাধ্যমে।

ভোর ৬টায় পৌঁছে ৪০০ মিটারের এই ট্র্যাকে মোট চারটি চক্কর মেরে দৌড় সম্পন্ন করেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা। ১৬০০ মিটারের দৌড় শেষে ৪০ মিটারের স্প্রিন্টেও অংশ নেন সবাই। এরপর মিরপুরে যেয়ে জিম সেশন দিয়ে শেষ হবে আজকের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পর্ব। ট্রেনিংয়ের এই পর্বগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন দলের নতুন ট্রেইনার নাথান কেলি।

এখনও আন্তর্জাতিক দলে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে এই ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলেছেন এমন অভিজ্ঞতা আছে মাত্র দুইজনের, তারা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ বছর পর এখানে আবারও এসে বেশ স্মৃতিচারণ করছেন তারা। গ্যালারির আশেপাশে তাকিয়ে এবং ঘুরে দেখছিলেন মাহমুদউল্লাহ।

জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটাও এখানে। তিনি পুরোনো স্মৃতি মনে করে বলেছেন, ‘সবকিছুই দেখি বদলে গেছে! কী স্টেডিয়াম ছিল রে ভাই। খেলার সময় গেট বন্ধ করে রাখা লাগত, কী মনে নাই ভাই?’

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাহাত্ম্য উল্লেখ করে নাফীস আরও বলেন, ‘এখনকার প্রজন্ম হয়তো এখানে খেলেনি। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের কথা নিশ্চয়ই শুনেছে। অনেকের জন্ম ২০০০ সালের আশপাশে তাই তাদের খেলার কথাও নয়। তবে আইকনিক স্টেডিয়াম যেহেতু, এটার গল্প নিশ্চয়ই শুনেছে। দেখুন, সাধারণত সকাল ছয়টায় ফিটনেস টেস্ট দেখতে এত মানুষের আশার কথা নয়। যেহেতু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, তাই সবাই এসেছে। সবার জন্যই দারুণ অভিজ্ঞতা এটা।‘

মুশফিকুর রহিম মজার ছলে বলেছেন, অ্যাথলেটদের মতো যেহেতু তারা দৌড়াবেন, সেহেতু তাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে আরও ভালো হতো। বিসিবির এক কর্মকর্তাকে তিনি মজা করে জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘পতাকা কই? পতাকা আনবেন না!’ 

;

আইপিএলে ধোনির যে রেকর্ড ভাঙলেন রাহুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্ণৌয়ের মাঠে গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। যেখানে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। লক্ষ্ণৌ ম্যাচ জিতে নিলেও চেন্নাইয়ের প্রাণ ও মধ্যমণি মহেন্দ্র সিং ধোনি বরাবরের মতোই জিতে নিয়েছেন দর্শক এবং সমর্থকদের মন।

মাঠ লক্ষ্ণৌয়ের হলেও গ্যালারির বেশিরভাগ স্থান জুড়েই ছিল হলুদের ছড়াছড়ি। কারণটা খুব স্বাভাবিকভাবেই হলো ‘ধোনি’। কালকের ম্যাচেও তিনি খেলেছেন ৯ বলে ২৮ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ধোনি যতক্ষণ ২২ গজে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ততক্ষণ গগনবিদারী চিৎকারে পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে রেখেছিলো ধোনির সমর্থকরা।

ঘরের মাঠে লক্ষ্ণৌয়ের এই জয়ের দিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ৫৩ বলে ৮২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এই ইনিংসের সঙ্গে রাহুল ছুঁয়ে ফেললেন ধোনির অনন্য এক রেকর্ডকেও।

আইপিএল ইতিহাসে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশোর্ধ্ব (৫০‍+) ইনিংস খেলার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এবং চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনির দখলে। ২৫৭টি ম্যাচে ২৪ বার ন্যূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার। গতরাতের ৮২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে ধোনির রেকর্ডটি নিজের নামে করে নিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে উইকেটকিপার–ব্যাটার হিসেবে এটি ছিল তার ২৫তম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস।

তবে রেকর্ড ভাংলেও নিজের সিনিয়র এবং আইডলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা ঠিকই বজায় রেখেছেন রাহুল। ম্যাচশেষে ধোনির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় নিজের মাথা থেকে ক্যাপটা খুলে ফেলে হাতে নেন তিনি। ধোনির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই মূলত এই কাজটি করেছেন রাহুল। এতে এটাই বোঝা যায় যে ধোনি শুধুমাত্র জনসাধারণের প্রিয় নয়, বরং ভারত দলের খেলোয়াড়দেরও সম্মানের ও পছন্দের ব্যক্তিত্ব।

;

এক ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার মার্তিনেজ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ইউরোপা কনফারেন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিলের বিপক্ষে দুটি হলুদ কার্ড দেখলেও লাল কার্ড দেখতে হয়নি অ্যাস্টন ভিলার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে। নিয়মের মারপ্যাঁচে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত দেখতে হলো শাস্তির মুখ। লিলের বিপক্ষে ম্যাচটির টাইব্রেকারে আরও একবার নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে সেমিতে পৌঁছান মার্তিনেজ। তবে আগামী ২ মে কনফারেন্স লিগের সেমির প্রথম লেগের ম্যাচে খেলতে পারবেন না এই আর্জেন্টাইন তারকা গোলরক্ষক। সেমিতে অ্যাস্টন ভিলার প্রতিপক্ষ অলিম্পিয়াকোস। 

মার্তিনেজকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। তবে না আগের ম্যাচের জোড়া হলুদ কার্ড বা কোনো আচরণজনিত বিষয়ের জের ধরে নয়, শেষ আটের দুই লেগের ম্যাচ মিলিয়ে মোট তিনটি হলুদ কার্ড দেখায় এই নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হচ্ছে মার্তিনেজকে।  

লিলের বিপক্ষে শেষ আটের প্রথম লেগের ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে জিতলেও ফিরতি লেগের ম্যাচের ১২০ মিনিটে ঠিক ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। এতে ৩-৩ ব্যবধানে ড্র হওয়ায় ম্যাচ যায় টাইব্রেকারে। সেখানে আরও একবার পেনাল্টি শ্যুটআউটে নিজেকে প্রমাণ করেন মার্তিনেজ। দুটি শট ঠেকিয়ে দলকে ৪-৩ ব্যবধানে এনে দেন জয়। সেখানেই দেখেন ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড।

এতেই প্রশ্ন উঠেছিল কেন লাল কার্ড দেখতে হয়নি মার্তিনেজকে? সেই গেরো অবশ্য ইতিমধ্যেই খুলেছে। উয়েফার নিয়ম অনুযায়ী টাইব্রেকারে হলুদ কার্ড খেলে তা মূল ম্যাচের ৯০ এবং অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো কার্ডের সঙ্গে যোগ হয় না। এতে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। তবে আগের লেগের আরও একটি হলুদ কার্ড খাওয়ায় সব মিলিয়ে এবার এক ম্যাচ ডাগ আউটেই কাটাতে হচ্ছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের এই নায়ককে। 

;