স্লো উইকেটে বাংলাদেশের ১৪১ রানের স্লো ব্যাটিং



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৪১ বলে করেন ৪৩ রান, ছবি: টুইটার

মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৪১ বলে করেন ৪৩ রান, ছবি: টুইটার

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরুর ১৫ ওভারে পাকিস্তানের ছয়জন বোলার বোলিং করেন। বাংলাদেশের রান তখন ঠিক ১০০। উইকেট খোয়া গেছে তিনটি। শুরুর এই তিন উইকেটের মধ্যে রানআউটই আবার দুজন! ৪১ বলে ৪৩ রান করে মোহাম্মদ নাঈম যখন আউট হলেন উইকেটে নতুন দুই ব্যাটসম্যানের রান শূন্য। অর্থাৎ পুরোদস্তুর নতুন দুই ব্যাটসম্যানকে শেষের দিকে রান বাড়ানোর দায়িত্ব নিতে হলো। সেই জটিলতায় পড়ে ২০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর আটকে গেল ১৪১ রানে।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম মূলত ব্যাটিং সহায়ক। এখানে ম্যাচে গড়পড়তা রান উঠে ১৭০। সেই লক্ষ্য নিয়ে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু দলের ইনিংস থেমে গেল ১৪১ রানে। এই মাঠের টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করা দলের সবচেয়ে কম রান এটাই। আগেরটা ছিল শ্রীলঙ্কার ১৪৭ রান।

শুরুতে উইকেট হাতে জমা রেখে শেষে এসে মারকুটো ব্যাটিং-এই ফর্মুলা নিয়ে লাহোরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু ছক্কা-চার না হাঁকাতে পারলে উইকেট জমিয়ে কোনো লাভ নেই। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়ে সেই দুঃখই পেল বাংলাদেশ। শুরুর ১০ ওভার পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারানো দল কেন মাত্র ১৪১ রানের সঞ্চয়ে থেমে যাবে?

তামিম ইকবাল করলেন ৩৪ বলে ৩৯ এবং মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে এলো ৪১ বলে ৪৩। মাহমুদউল্লাহ করেন ১৪ বলে মাত্র ১৯। টি-টোয়েন্টিতে একশ স্ট্রাইকরেটের ব্যাটিং দিয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না। ১০ উইকেটের বেশিরভাগই অক্ষত রাখতে পারলেও বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচে যা করতে পারেনি তা হলো-বিগ শট খেলা!

প্রথম ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৮ রানের মধ্যে বাউন্ডারি ১০টি। ছক্কা ৩টি। অর্থাৎ এই সময়ে মাত্র ৫৮ রান পায় বাংলাদেশ বিগ শট থেকে। আর বাকি ৬০ রান পেল দল দৌড়ে।
এই ম্যাচের ২০ ওভারে পাকিস্তান তিন স্পিনার ও তিন পেসারকে ব্যবহার করে। কোনো বোলারের বিপক্ষেই বাংলাদেশ যাকে বলে হাত খুলে ব্যাটিং করা- সেটা করে দেখাতে পারেনি। শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফ-তিন পেসারই পিন পয়েন্ট ইয়র্কারের ওপর জোর দেন। সেই ইয়র্কার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ঠেকিয়ে দেন, তবে রান যে তেমন পেলেন না!

রানের গতি বাড়াতে ওয়ানডাউনে লিটন দাসকে নামালেও সাফল্যটা মিলল না তেমন। ১৩ বলে ১২ রান করে রান আউট হলেন লিটন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন নিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। কিন্তু নিজের খেলা প্রথম ১০ বলে ১১ করা মাহমুদউল্লাহও এই ম্যাচে আরেক স্লো ব্যাটসম্যান হয়েই রইলেন!

শুরুর ৬ ওভারে ৩৫। ১০ ওভারে ৬২। ১৫ ওভারে রান দাঁড়াল ১০০। ইনিংস শেষে সঞ্চয় ১৪১। শুরু-মাঝে এবং শেষ কোনো সময়েই যে হাত খুলে ব্যাট চালাতেই পারল না বাংলাদেশ!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ১৪১/৫ (২০ ওভারে, তামিম ৩৯, মোহাম্মদ নাঈম ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১৯, সৌম্য ৭, মিঠুন ৫*; আফ্রিদি ১/২৩, রউফ ১/৩২ ও শাদাব ১/২৬)।

   

‘লজ্জাজনক’ রেকর্ডের মালিক হলেন মোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসে কোনো ম্যাচে একজন বোলারের সর্বোচ্চ রান হজমের রেকর্ডটি এতদিন ছিল বাসিল থাম্পির। ২০১৮ আইপিএল আসরে তিনি এক স্পেলে রান হজম করেছিলেন ৭০। এবার সে রেকর্ডটি ভেঙে দিলেন ভারতের সাবেক পেসার মোহিত শর্মা।

আইপিএলের চলতি আসরে গুজরাট টাইন্টান্সের হয়ে খেলছেন মোহিত। গতরাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল গুজরাট। যেখানে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২২৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক দিল্লি।

গুজরাটের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে বেশি ৭৩ রান হজম করেছেন মোহিত। বিনিময়ে একটি উইকেটও শিকার করতে পারেননি। বাজে পারফরম্যান্সের এই রাতে নিজের নামে করে নিলেন ‘বিব্রতকর’ এই রেকর্ডটিও।

মোহিতের এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের রাতে হেরেছে তার দল গুজরাটও। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েও শেষে মাত্র ৪ রানের হতাশাজনক হারের মুখ দেখতে হয় তাদের। এই হারের পর পয়েন্ট তালিকার সাতে অবস্থান করছে গুজরাট।

;

বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়লেন রিজওয়ান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। যেখানে চোটের কারণে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছিটকে যেতে হলো। চলিত সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই চোটে পড়েন তিনি।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে বর্তমানে ১-১ সমতায় আছে দু’দল। সবশেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান রিজওয়ান। কিউইদের বিপক্ষে চলতি সিরিজটিটে আর খেলা হবে না তার।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেডিওলজি রিপোর্ট দেখে রিজওয়ানকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চোটটি অতটা গুরুতর নয় বলেও জানিয়েছে বোর্ড। তাদের ভাষ্যমতে, এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মতো মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সামনে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর এবং জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর আছে। শুরুতে রিজওয়ানের সেখানে খেলা নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা তৈরি হলেও আসন্ন সফরগুলোতে তাকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তাদের ক্রিকেট বোর্ড।

;

বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমটা খুব একটা ভালো কাটছে না বার্সার। জাভির অধীনে গত মৌসুমে লা লিগা শিরোপা জেতার পর এই মৌসুমে কোনো সাফল্যই আসেনি বার্সেলোনার ঝুলিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে হাতছাড়া হয়েছে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ে স্বপ্ন।

বছরের শুরুতে টানা ম্যাচ হারতে থাকার পর খানিকটা হতাশ হয়েই কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেছিলেন যে, চলতি মৌসুম শেষে বার্সার দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন তিনি। ঘোষণাটি শোনার পর বার্সা সমর্থকরা বেশ দুঃখই পেয়েছিলেন। কারণ দীর্ঘদিন পর এই জাভির অধীনেই আলোর মুখ দেখা শুরু করেছিল কাতালান ক্লাবটি।

তবে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন জাভি। জানিয়েছেন যে অন্তত আরও এক মৌসুম বার্সেলোনাতেই থাকবেন তিনি। অর্থাৎ ২০২৪-২৫ মৌসুমেও জাভিকেই কোচ হিসেবে পাবে বার্সা।

জাভির থেকে যাওয়ার বিষয়টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ক্লাবেরই এক মুখপাত্র। আগামী সোমবার বার্সেলোনা নিজেদের পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে। এর আগে রবিবার জাভি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। তার আগে আজ (বৃহস্পতিবার) বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলতে তাকে সংবাদ সম্মেলন ডাকবেন।

বার্সেলোনার হয়ে ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য কারিয়ার আছে জাভির। লাল-নীল জার্সিটা ৭৬৭ ম্যাচ গায়ে জড়ানোর পর তুলে রেখেছেন। মোট ২৫টি শিরোপা জিতেছেন, যার মাঝে আছে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আটটি লিগ শিরোপা। বিশ্বকাপজয়ী এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোচ হিসেবেও পেয়েছেন সফলতা, জিতেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপ আর লা লিগা শিরোপা।

;

শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে গেল লিভারপুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার জন্য চলতি মৌসুমে চলছে ত্রিমুখী লড়াই। আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি একে অপরকে টপকে যাচ্ছে প্রতি ম্যাচ পরপরই। শিরোপা জিততে জয়ের দিকেই বর্তমানে নজর রাখছে এই তিন দল।

তবে গতরাতে এভারটনের মাঠে যেয়ে তাদের কাছে ২-০ গোলে হেরে এসেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। পয়েন্ট হারানোর ফলে লিগ শিরোপার দৌড়ে বাকি দুই দলের চেয়ে তাই কিছুটা পিছিয়ে গেল তারা। ৩৪ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্টের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের দুইয় অবস্থান করছে অল রেডরা। সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল এবং দুই ম্যাচ কম খেলে ৭১ পয়েন্টে নিয়ে তিনে ম্যানচেস্টার সিটি।

এভারটনের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়াটা খুবই প্রয়োজন ছিল লিভারপুলের জন্য। এতে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট সমান করতে পারত তারা। তবে নিজেদের ভুলে তা আর সম্ভব হলো না।

ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল এবং ২৩টি গোলের উদ্দেশ্যে শট নিয়েও একটি গোলের দেখা পেল না লিভারপুল। অপরদিকে দুই অর্ধে দুটি গোল আদায় করে খুব ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটি নিজেদের নামে করে নিয়েছে এভারটন।

প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে হলে বাকি আর চারটি ম্যাচেই জয় ছাড়া বিকল্প নেই লিভারপুলের কাছে। তাই পরের ম্যাচগুলোতে নিজেদের সর্বোচ্চটা নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা থাকবে তাদের।

;