বাংলাদেশের ব্যর্থতায় সহজ জয়ে সিরিজ পাকিস্তানের
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল-ব্যাটিং করা কি কষ্টেরই না কাজ! খানিকবাদে সেই একই উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে মনে হলো-আরে ব্যাটিং এত সহজ!
বাংলাদেশের কষ্টের ক্রিকেটের ম্যাচ পাকিস্তান জিতল অতি সহজ ভঙ্গিতে-৯ উইকেটে। তখনো বাকি ম্যাচের ২০ বল! সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজের টানা দুই ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টির ট্রফি জিতল পাকিস্তান। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটায় এখন পরীক্ষণ-নিরীক্ষণ চালানোর সুখ খুঁজতেই পারে পাকিস্তান।
-আর বাংলাদেশ?
প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং, এমনকি শরীরের ভাষাও-সবকিছুই জুড়ে কেমন যেন একটা ক্লান্তির ছাপ। সবকিছুতেই ভুল আর ভুল। তামিম ইকবাল সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করলেন। কিন্তু তার রান তোলার যে গতি, সেটাই সমালোচনার জন্য যথেষ্ট! একজন ওপেনার ইনিংসের ১৮ ওভার পর্যন্ত খেলে কেন ৫৩ বলে মাত্র ৬৫ রান করবেন?
বলার মতো কোনো জুটিই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ এই ম্যাচে। আর ঠিক অন্যদিকে বাংলাদেশের ১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে হার না মানা ১৩১ রান করেন। ব্যাটিংয়ের শুরুতে পাকিস্তান উইকেট হারালেও বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটিংয়ের সময়ে কখনোই মনে হয়নি এই ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ছাড়া অন্য কোনোকিছু হতে যাচ্ছে। দুজনেই অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে ৯ উইকেটের সহজ জয় এনে দেন।
বাজে এবং দিকনির্দেশনাহীন ব্যাটিংয়ের পরে বাংলাদেশের বোলিংটা যা হলো তাকে এককথায় বলা যায়-ছন্নছাড়া। আর ফিল্ডিংয়ে ক্লান্তিতে কাঁধ নুয়ে পড়া একটা দলের প্রতিচ্ছবি ছিল বাংলাদেশ। উইকেটের পেছনে বিশাল গ্লাভস হাতেও লিটন দাস যে কায়দায় ক্যাচ ফেললেন-তাতে মনে হচ্ছিল যেন ভীষণ এক অনীহা নিয়ে এই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ!
এক ম্যাচ হাতে রেখে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল। সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জানুয়ারি, সোমবার। লক্ষ্যহীন ক্রিকেট থেকে কি সেই ম্যাচে বেরিয়ে আসতে পারবে বাংলাদেশ?
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৩৬/৬ (২০ ওভারে, তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদি হাসান ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; হাসনাইন ২/২০, রউফ ১/২৭ ও শাদাব ১/২৮)।
পাকিস্তান: ১৩৭/১ (১৬.৪ ওভারে, বাবর আজম ৬৬*, আহসান ০, হাফিজ ৬৭*; শফিউল ১/২৭)।
ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: বাবর আজম।