সুপার ওভার রোমাঞ্চে ইতিহাস ভারতের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
জয়ের নায়ক রোহিত শর্মা

জয়ের নায়ক রোহিত শর্মা

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমাঞ্চ ছড়ানো এক লড়াই। যেখানে ব্যাট-বলের উত্তেজনা থাকল শেষ অব্দি! শেষ ওভারের নাটকে হ্যামিল্টনে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি নির্ধারিত ২০ ওভারে টাই! ভারতের ১৭৯ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ১৭৯ তুলে নিউজিল্যান্ড। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে!

জিততে শেষ ওভারে কিউইদের দরকার ৯ রান। মনে হচ্ছিল সহজেই বুঝি জিততে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। কিন্তু কে জানতো মোহাম্মদ শামির ওভারে এমন নাটক হবে?

শেষ চার বলে কিউইদের দরকার মাত্র মাত্র দুই রান। ক্রিজে ৯৫ রান নিয়ে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু তৃতীয় বলেই ফেরেন তিনি (৪৮ বলে ৯৫। পরের বলে রান দেননি শামি। পঞ্চম বলে বাই। স্কোর সমান। শেষ বলে বোল্ড রস টেলর (১০ বলে ১৭)। ম্যাচ টাই!

খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। ভারতের হয়ে বল হাতে নেন জাসপ্রীত বুমরাহ। তার ছয় বলে কেন উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপটিল নেন ১৭। সিরিজ টিম ইন্ডিয়ার চাই ১৮। তারপরই শুরু হয় রোহিত শর্মার ম্যাজিক। যদিও প্রথম দু’বলে নেন তিন রান। তৃতীয় বলে লোকেশ রাহুল হাঁকালেন চার। পরের বলে ১ রান।

টিম সাউদির ওভারের শেষ দুই বলে রোহিতকে করতে হবে ১০ রান। কঠিন চ্যালেঞ্জ! এ অবস্থায় পঞ্চম বলে বিশাল ছক্কা! পরের বলটিও উড়িয়ে পাঠালেন সীমানার বাইরে! ব্যস, সুপার ওভার শেষে জয়ের আনন্দে মেতে উঠে ভারত!

এই জয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়ল ভারতীয় দল। এবারই প্রথম নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ম্যান ইন ব্লুজরা। ৫ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া।

সিরিজে উত্তেজনা বাঁচিয়ে রাখতে জয় জরুরী ছিল নিউজিল্যান্ডের। টস ভাগ্যটাও সঙ্গে ছিল তাদের। প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিন্তু সিদ্ধান্তটা যৌক্তিক হতে দেননি লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা।

এরমধ্যে ৪০ বলে ৬৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন রোহিত। এই ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে দশ হাজার রানেরও মালিক হলেন তিনি। রাহুল তুলেন ২৭। এরপর বিরাট কোহলির ব্যাটে ৩৮। তিনিও গড়েন অনন্য কীর্তি। সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে টপকে হ্যামিল্টনে বুধবার নতুন কীর্তি গড়লেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান কোহলি।

চার নম্বরে নেমে ৩৮ রান তুলেন ভারত অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে তার অর্জন ১১২৬ রান। অধিনায়ক হিসেবে ধোনির সংগ্রহ ১১১২। সব মিলিয়ে ধোনি অধিনায়ক হিসেবে খেলেন ৭২ ম্যাচ। আর কোহলি মাত্র ৩৭ ম্যাচেই পেছনে ফেললেন তাকে।

জবাবে নেমে শুরুটা ভালই ছিল নিউজিল্যান্ডের। মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরোর ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৭। তারপর দারুণ লড়লেন কেন উইলিয়ামসন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৯৫। কিন্তু দলকে জেতাতে পারলেন না কিউই ক্যাপ্টেন!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ভারত: ২০ ওভারে ১৭৯/৫ (রোহিত ৬৫, রাহুল ২৭, দুবে ৩, কোহলি ৩৮, শ্রেয়াস ১৭, পান্ডে ১৪*, জাদেজা ১০*; বেনেট ৩/৫৪, স্যান্টনার ১/৩৭, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৩)।
নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৯/৬ (গাপটিল ৩১, মানরো ১৪, উইলিয়ামসন ৯৫, স্যান্টনার ৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ৫, টেলর ১৭, সাইফার্ট ০*; শার্দুল ২/২১, শামি ২/৩২, চেহেল ১/৩৬, জাদেজা ২/১৮)।
ফল: ম্যাচ টাই (সুপার ওভারে ভারত জয়ী)
সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ভারত ৩-০তে এগিয়ে
ম্যাচসেরা: রোহিত শর্মা

   

বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের তালিকায় শান্ত, ইমরানুর ও রাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএসপিএ বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ২০২৩-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, ফুটবলার রাকিব হোসেন ও স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান। এছাড়া পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাজমুল হোসেন শান্ত, ইমরানুর রহমান, শেখ মোরসালিনের সঙ্গে আছেন নারী ক্রিকেটার ফারজানা হক পিংকি। এই দুই বিভাগের বিজয়ীর নাম অনুষ্ঠানের দিন ঘোষণা করা হবে। এ বছর ১৬টি বিভাগে সর্বমোট ১৮জন বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদ, সংগঠক এবং সংস্থাকে পুরস্কৃত করা হবে। থাকছে অর্থ পুরস্কারও। 

উল্লেখ্য বাংলাশে স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ১৯৬৪ সালে দেশে প্রথম ক্রীড়াক্ষেত্রে পুরস্কারের প্রবর্তন করে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১শে এপ্রিল ২০২৪, রোববার বেলা সাড়ে ৩টায়, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে বসতে যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম আকর্ষণীয় আসর “কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩”। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি।

আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা ব্যাংক মিলনায়তনে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মনোনয়নপ্রাপ্ত নাম ঘোষণা করেন বিএসপিএ-র সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসপিএ সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেন, খেলোয়াড় যাচাই-বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান পরাগ আরমান ও সদস্য সচিব মাহবুব সরকার।

মনোনয়ন তালিকা 

বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ (মনোনীত)

নাজমুল হোসেন শান্ত (ক্রিকেট)
ইমরানুর রহমান (অ্যাথলেটিক্স)
রাকিব হোসেন (ফুটবল)
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ড

নাজমুল হোসেন শান্ত (ক্রিকেট)
ইমরানুর রহমান (অ্যাথলেটিক্স)
শেখ মোরসালিন (ফুটবল)
ফারজানা হক পিংকি (ক্রিকেট)
বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার : নাজমুল হোসেন শান্ত
বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার : ফারজানা হক পিংকি
বর্ষসেরা ফুটবলার : রাকিব হোসেন
বর্ষসেরা অ্যাথলেট : ইমরানুর রহমান
সেরা বক্সার : সেলিম হোসেন
সেরা শুটার : কামরুন নাহার কলি
সেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় : রামহিম লিয়ন বম
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ : শেখ মোরসালিন (ফুটবল)
বর্ষসেরা দল : অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল
সক্রিয় সংস্থা : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
বর্ষসেরা কোচ : আলফাজ আহমেদ
বিশেষ সম্মাননা : মনজুর হোসেন মালু
তৃণমূল সংগঠক : মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারোত্তোলন)
সেরা সংগঠক : হাবিবুর রহমান (কাবাডি)

;

মুশফিকদের কাছে গাজী টায়ার্সের অসহায় আত্মসমর্পণ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের নেতৃত্ব ছেড়েছেন তামিম ইকবাল। নতুন অধিনায়ক জাকির হাসানের নেতৃত্ব শেষ রাউন্ডের ম্যাচে গাজী টায়ার্সের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তারা। এই ম্যাচ ১৪১ রানে জিতে ডিপিএলের প্রথম ধাপ শেষ করেছে প্রাইম ব্যাংক।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রাইম বাংককে ব্যাটিং পাঠায় গাজী টায়ার্স। নেতৃত্ব ছাড়ার পর প্রথম ম্যাচে অবশ্য ২০ রানের বেশি করতে পারেননি তামিম। তবে প্রাইম ব্যাংকের অন্য অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা জুগিয়ে ৭১ রান করেন তিনি। ৬৯ বলে ৫ চার এবং ১ ছক্কায় ইনিংস সাজান এই উইকেটকিপার-ব্যাটার।

মুশফিকের ফিফটিতে চড়ে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান পর্যন্ত পৌঁছায় প্রাইম ব্যাংক। গাজী টায়ার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন শামিম মিয়া।

জবাব দিতে নেমে শেখ মাহেদীর ঘূর্ণিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে গাজী টায়ার্স। ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তাদের ম্যাচ  থেকে ছিটকে দিয়েছেন এই অফব্রেক বোলার। তাতে ৩২.২ ওভারে ১২৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় গাজী টায়ার্স।

;

‘সবার আগে দেশ’, মুস্তাফিজ ইস্যুতে সুজনের বার্তা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল খেলা নিয়ে আলোচনা থামছেই না। আগামী মে মাসে ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে ১ মে পর্যন্ত আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু দেশের ক্রিকেটে এখন হট টপিক হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য মুস্তাফিজকে ফিরিয়ে আনা ঠিক নাকি তাকে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে দেয়াতেই তার এবং দেশের মঙ্গল, এই প্রশ্ন।

আকরাম খান, জালাল ইউনুসের মধ্যে একচোট কথার লড়াই হয়ে গেছে। জালাল ইউনুসের করা মন্তব্য ‘আইপিএলের খেলোয়াড়দের মুস্তাফিজের কাছ থেকে শেখার আছে’ নিয়ে খিল্লি করেছেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম শীর্ষ কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

এবার মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। জালাল ইউনুসের সুরে সুর মিলিয়ে সুজন বলেছেন, ‘সবার আগে দেশ।’ আইপিএলের মাঝপথে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলতে মুস্তাফিজকে ফেরানোর পক্ষেই এই সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ।

কেন মুস্তাফিজকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে চাই-ই চাই বাংলাদেশের, এই প্রশ্নের জবাবও নিজের মতো করে দিয়েছেন সুজন, ‘মুস্তাফিজ পুরো আইপিএল খেলতে পারলে ভালো লাগত। জাতীয় দলের সিরিজ না থাকলে তো কোনো সমস্যা ছিল না। এখন অনেকে বলতে পারেন, নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়রা দেশের সিরিজ থাকার পরও আইপিএলে খেলছেন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে মুস্তাফিজের মতো আমাদের ১০-১২ জন বোলার নেই।’

উল্লেখ্য, শুরুতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মুস্তাফিজকে আইপিএলের জন্য ছুটি দিলেও পরে তা একদিন বাড়িয়ে ১ মে পর্যন্ত করেছে বিসিবি। আইপিএলের চলতি মৌসুমে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলছেন মুস্তাফিজ। ৬ ম্যাচ থেকে ১০ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত আসরের অন্যতম সেরা উইকেটশিকারি বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার।

;

মুস্তাফিজ ইস্যুতে জালালের ঢাল হলেন সুজন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাই সুপার কিংসের একাদশে নিয়মিত খেলছেন, পারফর্মও করছেন। রয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার দৌড়ে। তবে আইপিএলের পাঠ এবার চুকাতে হচ্ছে মুস্তাফিজকে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। যা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানা মতভেদ।

মুস্তাফিজের আইপিএল ছেড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুধবার জালাল ইউনুস বলেন, ‘মুস্তাফিজের আইপিএল খেলে এখন শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রক্রিয়া শেষ। বরং তাঁর থেকে শিখতে পারে আইপিএলের অনেক ক্রিকেটার। এতে বাংলাদেশেরও কোনো লাভ হবে না। মুস্তাফিজের কাছাকাছি থেকে অন্যদের লাভ হবে।’

জালালের এমন মন্তব্য অনেকেই সহজভাবে নেননি। যা নিয়ে সংবাদ হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমেও। দেশের খ্যাতনামা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাছেও বিষয়টি ঠেকেছে হাস্যকর হিসেবে। এ নিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাবনা কি; বৃহস্পতিবার জানতে চাওয়া হয়েছিল আবাহনীর এই কোচের কাছে। তিনি অবশ্য জালালের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বলেছেন উনি হয়তো বিষয়টি সেভাবে বোঝায়নি।

আইপিএলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই, জালালের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুজন বলেন, ‘শেখার সবখানেই আছে। প্রিমিয়ার লিগেও শেখার আছে। আজকের একটা দৃশ্য শেখার হতে পারে। সেটা নিয়ে সংশয় নেই। হয়তোবা উনি (জালাল ইউনুস) এটা সেভাবে বোঝাননি। উনি বলেছেন, মুস্তাফিজ এত বছর ধরে ওখানে খেলছে। আর সে তো এখন আর তানজিম সাকিবের মতো তরুণ না। ও এখন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজ এখন অনেক বড় নাম বিশ্ব ক্রিকেটে। হয়তোবা জালাল ভাই ওই অ্যাঙ্গেল থেকেই বলেছেন যে, মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা যেটা আছে, ভারতের তরুণ পেসাররা ওর থেকে কাটার বা এ রকম জিনিস শিখতে পারে। উনি কথাটা এটাই বলেছেন।’

আইপিএল না খেলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেন মুস্তাফিজ; সেই প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, ‘দিন শেষে, সবার আগে দেশ। এটা মাথায় রাখতে হবে। মুস্তাফিজ যদি আইপিএল খেলতে পারত, আমিও খুশি হতাম। দেশের খেলা না থাকলে হয়তো সমস্যা হতো না। অনেকে হয়তো বলবে, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলছে। কিন্তু আমাদের তো ১০টা মুস্তাফিজ নেই। এটাও চিন্তা করতে হবে।’

;