মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ৭০ বলে সেঞ্চুরি
পাকিস্তান সফরের আগে প্রস্তুতিটা বেশ ভালো করেই সেরে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুঃসময় কাটিয়ে শতরান পেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। চার দিনের ম্যাচে অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলেই তার ব্যাটে দেখা মিলল শতরান।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে চট্টগ্রামে তার পাশাপাশি শতরান পেলেন শাহরিয়ার নাফীস ও শামসুর রহমান। তিন শতকে উত্তরাঞ্চলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে দক্ষিণাঞ্চল।
সত্যিকার অর্থেই ব্যাট হাতে দুঃসময়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে সর্বশেষ ৬ ইনিংসে পাঁচবারই আটকে গেছেন ১৬ রানের নিচে। পাকিস্তানের সঙ্গে ৭ ফেব্রুয়ারি টেস্ট ম্যাচ। তার আগে ব্যাট হাতে প্রস্তুতিটা দারুণ হলো তার। তুলে নিয়েছেন শতক। যা কীনা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার তের নম্বর সেঞ্চুরি। চার দিনের ম্যাচে মাত্র ৭০ বলে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন তিনি।
রোববার ১ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। এরপর শাহরিয়ার ও শামসুরের ব্যাটিংয়ে পথ খুঁজে নেয়। দু'জনই করেন শতক। ২৫১ বলে ১২ চারে ১১১ রান করে আরিফুল হকের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকীর হাতে ক্যাচ দেন শাহরিয়ার। ২১১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তিনি।
এই ইনিংস খেলার পথে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আট হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন শাহরিয়ার নাফীস।
তিন অঙ্কে পা দিয়ে ফেরেন শামসুর। ২২২ বলে ১০৯ রানে আউট তিনি। এটি তার ১৯তম সেঞ্চুরি।
এরপর উইকেটে নেমে ঝড় তুলেন মাহমুদউল্লাহ। এনামুল হককে নিয়ে ৪৪ বলে তুলেন পঞ্চাশ। ৭৯ বলে ১০০ রান। ১০৮ বলে দেড়শ। মাহমুদউল্লাহ ৭০ বলে পাঁচ ছক্কা ও আট চারে শতক করতেই দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। দল ৩ উইকেটে ৩৯৮।
এনামুল তিনটি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ৬৪ রান।
জিততে লক্ষ্য ৪৫৪ রান। এ অবস্থায় রোববার ম্যাচের তৃতীয় তিন শেষে বিনা উইকেটে ২২ রান করেছে উত্তরাঞ্চল। উইকেটে আছেন মিজানুর রহমান (১৫) ও রনি তালুকদার (৭)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৬২/১০।
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২০৭/১০।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৪০/১) ১০২ ওভারে ৩৯৮/৩ ইনিংস ঘোষণা (শাহরিয়ার ১১১, এনামুল ৬৪*, শামসুর ১০৯, মাহমুদউল্লাহ ১০০*; আরিফুল ২/৫১)।
উত্তরাঞ্চল: ৬ ওভারে ২২/০ (মিজানুর ১৫*, রনি ৭*)।