নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে সর্বনাশ বাংলাদেশের
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতার পর সেই একই দৃশ্যপট। দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করছেন ব্যাটসম্যানরা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তৃতীয় দিন শেষেই হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ দল। ইনিংস হার বাঁচানোটাও কঠিন হয়ে গেল। চতুর্থ দিনে শেষ হয়ে যাবে সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে সর্বনাশ!
কারণ দল ভয়াবহ বিপর্যয়ে। পাকিস্তানের বোলিং তোপে রোববার দিন শেষে স্কোর ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান। বড় চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে সাইফ হাসান ফের ব্যর্থ। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই ম্যাচে ইনিংস হার বাঁচাতে এখনো চাই ৮৬ রান।
উইকেটে অধিনায়ক মুমিনুল হকের (৩৭) সঙ্গে আছেন লিটন দাস (০)।
যদিও চাপের মুখে থেকে শুরুটা বেশ ভালোই হচ্ছিল টাইগারদের। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৬ রানে এসে ভুল করেন সাইফ। নাসিম শাহর বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় তার। এই ইনিংস খেলার পথে তামিমের সঙ্গে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখালেন সাইফ। পাকিস্তানের মাটিতে টেস্টে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ ২৮ রান তুলেন হান্নান সরকার ও জাভেদ ওমর। ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টের সেই রেকর্ড এবার ভাঙলেন সাইফ-তামিম। করেন ৩৯ রান। অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে ফিরেন কোনো রান না করেই।
এরপরই বিরতির পর তৃতীয় ওভারে আউট তামিম ইকবাল। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এই ওপেনার ৫৬ বলে ৬টি চারে করেন ৩৪।
এরপরই মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে দল। দু'জন ফিফটি ছাড়ানো জুটি গড়েই ভুলের ফাঁদে পা দেন। নাসিম শাহর বোলিং তোপে এলোমেলো টপ-অর্ডার। এই বোলার তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক। শান্তকে (৩৮) ফিরিয়ে শুরু। ষোল বছর বয়সী এই পেসার এরপরের দুই বলে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
এরপর মোহাম্মদ মিঠুনও (০) চটজলদি ফিরেন ড্রেসিংরুমে। ইয়াসির শাহ ফেরান তাকে।
এর আগে রোববার তৃতীয় দিন সকালে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ৪৪৫ রানে অলআউট করে দল। প্রথম সেশনে ২৪.১ ওভারে ৭৮ রানে নেয় ৪ উইকেট। লাঞ্চের পর শেষ ৩ উইকেটে শেষ পাকিস্তানের ইনিংস। তবে লিড বেশ সমৃদ্ধ স্বাগতিকদের। ২১২ রান পেছনে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে টাইগাররা।
ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও আবু জায়েদ চৌধুরি রাহি। তবে ব্যাটসম্যানরা সাফল্যটা ধরে রাখতে পারেননি। তাদের ব্যর্থতায় ইনিংস হারের পথ ধরল দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩/১০ (তামিম ৩, সাইফ ০, শান্ত ৪৪, মুমিনুল ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিঠুন ৬৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ২৪, রুবেল ১, আবু জায়েদ ০, ইবাদত ০*; আফ্রিদি ৪/৫৩, আব্বাস ২/১৯, নাসিম ১/৬১ ও হারিস ২/১১)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২২.৫ ওভারে ৪৪৫/১০ (মাসুদ ১০০, আবিদ ০, আজহার ৩৪, বাবর ১৪৩, শফিক ৬৫, হারিস ৭৫, রিজওয়ান ১০, ইয়াসির ৫, আফ্রিদি ৩, আব্বাস ১* নাসিম ২; ইবাদত ১/৯৭, আবু জায়েদ ৩/৮৬, রুবেল ৩/১১৩, তাইজুল ২/১৩৯)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৪৫ ওভারে ১২৬/৬ (তামিম ৩৪, সাইফ ১৬, শান্ত ৩৮, মুমিনুল ৩৭*, তাইজুল ০, মাহমুদউল্লাহ ০, মিঠুন ০, লিটন ০*; নাসিম ৪/২৬, ইয়াসির ২/৩৩)
#তৃতীয় দিন শেষে