গোলাপি বলে পিসিবি’র টেস্টের প্রস্তাবে বিসিবি’র না
গোলাপি বলে টেস্ট ক্রিকেট-ব্যাপারটা এখন প্রায় সিরিজে যেন ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে! এবার বাংলাদেশকে গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। প্রস্তাবটা অবশ্য বেশ পুরনো। লাহোরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার সময়ই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে এই প্রস্তাব অনুরোধ আকারে পেশ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
করাচিতে সিরিজের শেষ টেস্ট গোলাপি বলে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল পিসিবি। দু’দেশের মধ্যে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে করাচি টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
গোলাপি বলে টেস্ট খেলার পুরানো ইচ্ছের কথাটা পিসিবি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পরে আরেকবার জানিয়েছে বিসিবিকে। তবে পিসিবিকে পুরোপুরি নিরাশ করছে বিসিবি। প্রস্তুতিহীন অবস্থায় সামনের সময়টায় গোলাপি বলে আর কোন টেস্ট ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্তে অনঢ় বিসিবি।
গত নভেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ ও আয়োজনে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো গোলাপি বলে টেস্ট ক্রিকেট খেলে। সেটা ছিল গোলাপি বলে ভারতেরও প্রথম টেস্ট ম্যাচ। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে গোলাপি বলের ক্রিকেটের সঙ্গে বাংলাদেশ মোটেও অভ্যস্ত ছিল না। কলকাতায় পিঙ্ক টেস্ট খেলতে মাত্র দিন কয়েকের অনুশীলন নিয়ে খেলতে নেমে যায় বাংলাদেশ।
পিঙ্ক বলের টেস্টে বাংলাদেশের সেই অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর কিছু হয়নি। তিন দিনের মধ্যেই টেস্ট ম্যাচ হারে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে। আর তাই বিসিব ‘র অন্দর মহলের সিদ্ধান্ত হলো-যথেষ্ট প্রস্ততি ছাড়া গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা যাবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে গোলাপি বলে নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নেওয়ার পর বাংলাদেশ এমন আমন্ত্রণ গ্রহণ করবে।
প্রশ্ন উঠছে তাহলে প্রস্ততি ছাড়া কলকাতায় গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলতে কেন গিয়েছিল বাংলাদেশ? বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন সুজন বার্তা২৪.কম-কে এই প্রশ্নের জবাবে জানান-‘দেখুন সেই টেস্টের প্রেক্ষাপট ভিন্ন ছিল। সৌরভ গাঙ্গুলি তখন মাত্র ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতের মাটিতে গিয়েছিল। বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে খেলা সব ক্রিকেটারদের ভারত সেই টেস্ট দেখতে দাওয়াত দিয়েছিল। ইডেনে সেটা ছিল বিশেষ একটা উপলক্ষ। বিশেষ একটা পরিস্থিতি।’
এটা পরিষ্কার যে, গোলাপি বলে টেস্ট খেলার পাকিস্তানের দেওয়া আগের সেই প্রস্তাব নতুন করে আরেকবার বাতিল করে দিচ্ছে বিসিবি।