বিশ্বকাপ জয়ীদের পরবর্তী মিশন....
তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের বাকিটা সময়জুড়ে এই পরিচয় থাকবে আকবর আলী। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণালি অক্ষরে লেখা হয়ে গেছে তার নাম। তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, সামনের লক্ষ্য অনেক বড় আকবর আলী। সেই লক্ষ্য অর্জনের পথটাও সহজ নয়। কঠিন সেই পথে সামনের দিনে সাবলীল ভাবে হাঁটার জন্য এখনই পরিকল্পনা গ্রহন করছেন এই তরুণ এবং তার অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে দেশে ফেরার পর আকবর আলী তার সেই লক্ষ্যের কথাই বললেন- ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটের সঙ্গে সিনিয়র দলের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক বড়। আশা করছি সামনের সময়ের জন্য বোর্ড আমাদের সুনির্দিস্ট পরিকল্পনা দেবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সেই পরিকল্পনা সফল করার চেষ্টা করবো। আর মাঝখানের যে গ্যাপটা আছে সেটা যত দ্রুত সম্ভব আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাবো। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কখনোই সহজ কোন বিষয় নয়। আর তাই সামনের সময়টায় এখন আমাদের বড় কাজ হচ্ছে মানসিক শক্তি এবং ক্রিকেটীয় দক্ষতা-উভয়ই বাড়াতে হবে।’
ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বকাপ জয়ী পুরো দলকে সামনের দুই বছরের জন্য আর্থিক চুক্তিতে এনেছে। দলের প্রতিটি সদস্য সামনের দুই বছর জুড়ে প্রতিমাসে এক লাখ টাকা করে বেতন পাবেন। তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আয়োজনের জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আকবর আলী বলছিলেন-‘ক্রিকেট বোর্ড এখন আমাদের জন্য যা করেছে তার জন্য তাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিচ্ছি। তবে সত্যি কথা হলো কোথাও থেকে কিছু পাবো, বোর্ড থেকে এটা পাবো, ওটা নেবো- এমন কোন প্রত্যাশা নিয়ে কিন্তু আমরা বিশ্বকাপে খেলতে যাইনি। আমরা যখন বিশ্বকাপে গিয়েছি তখন আমাদের একটাই প্রত্যাশা ছিল-ফাইনাল খেলার। সবাই আমরা নিজেদেরকে বলেছিলাম, আমরা ফাইনাল খেলার টার্গেট নিয়েই বিশ্বকাপ যাচ্ছি। সেই স্বপ্ন পুরো করতে পেরেছি বলে আমরা সন্তুষ্ট।’
বিশ্বকাপ জয়ের এই অভুতপূর্ব সাফল্য এবং দেশে ফিরে আসার পর এমন বাঁধভাঙ্গা সংবধর্না প্রসঙ্গে সফল এই অধিনায়ক জানান-‘আমরা জানতাম বিমানবন্দরে এমন কিছু একটা হবে। কিন্তু তাই বলে যে এত বিশাল কিছু হবে সেটা কখনোই আমরা চিন্তা করিনি। যা দেখেছি চারধারে তা এককথায় অবিশ্বাস্য! আসলে সবকিছুর একটা শুরুর দরকার। আমি মনে করি আমাদের ক্রিকেটকে সামনের দিকে নিয়ে যাবার জন্য এটা একটা স্টেপিং স্টোন হিসেবে কাজ করতে পারে। আমি আশাবাদি যে এই সাফল্য আমাদের ক্রিকেটকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে। সবার জন্য এই সাফল্যটা একটা মটিভেশন হিসেবে কাজ করবে। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তোমাদের পেশাদার ক্রিকেট জীবন সবে শুরু হচ্ছে। তাই এই সময়টায় চ্যালেঞ্জ আরো কঠিন। এই সময়টায় হেলায় গা না ভাসিয়ে দিয়ে চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য যেন সবাই তৈরি হতে পারে সেই বার্তায়ই আমাদের দেয়া হয়েছে। আমরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি তবে আত্মতুষ্ঠিতে ভুগছি না। সামনের সময়ে নিজেদের তৈরি করার জন্য মনোযোগ দেবো এখন।’