বিশ্বকাপ জয়ীদের পরবর্তী মিশন....



স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের বরণ করে নেওয়া হয়

বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারদের বরণ করে নেওয়া হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের বাকিটা সময়জুড়ে এই পরিচয় থাকবে আকবর আলী। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণালি অক্ষরে লেখা হয়ে গেছে তার নাম। তবে এখানেই থেমে থাকা নয়, সামনের লক্ষ্য অনেক বড় আকবর আলী। সেই লক্ষ্য অর্জনের পথটাও সহজ নয়। কঠিন সেই পথে সামনের দিনে সাবলীল ভাবে হাঁটার জন্য এখনই পরিকল্পনা গ্রহন করছেন এই তরুণ এবং তার অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে দেশে ফেরার পর আকবর আলী তার সেই লক্ষ্যের কথাই বললেন- ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটের সঙ্গে সিনিয়র দলের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক বড়। আশা করছি সামনের সময়ের জন্য বোর্ড আমাদের সুনির্দিস্ট পরিকল্পনা দেবে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে সেই পরিকল্পনা সফল করার চেষ্টা করবো। আর মাঝখানের যে গ্যাপটা আছে সেটা যত দ্রুত সম্ভব আমরা কমিয়ে আনার চেষ্টা চালাবো। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট কখনোই সহজ কোন বিষয় নয়। আর তাই সামনের সময়টায় এখন আমাদের বড় কাজ হচ্ছে মানসিক শক্তি এবং ক্রিকেটীয় দক্ষতা-উভয়ই বাড়াতে হবে।’

ক্রিকেট বোর্ড বিশ্বকাপ জয়ী পুরো দলকে সামনের দুই বছরের জন্য আর্থিক চুক্তিতে এনেছে। দলের প্রতিটি সদস্য সামনের দুই বছর জুড়ে প্রতিমাসে এক লাখ টাকা করে বেতন পাবেন। তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আয়োজনের জন্য বিসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আকবর আলী বলছিলেন-‘ক্রিকেট বোর্ড এখন আমাদের জন্য যা করেছে তার জন্য তাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ দিচ্ছি। তবে সত্যি কথা হলো কোথাও থেকে কিছু পাবো, বোর্ড থেকে এটা পাবো, ওটা নেবো- এমন কোন প্রত্যাশা নিয়ে কিন্তু আমরা বিশ্বকাপে খেলতে যাইনি। আমরা যখন বিশ্বকাপে গিয়েছি তখন আমাদের একটাই প্রত্যাশা ছিল-ফাইনাল খেলার। সবাই আমরা নিজেদেরকে বলেছিলাম, আমরা ফাইনাল খেলার টার্গেট নিয়েই বিশ্বকাপ যাচ্ছি। সেই স্বপ্ন পুরো করতে পেরেছি বলে আমরা সন্তুষ্ট।’

বিশ্বকাপ জয়ের এই অভুতপূর্ব সাফল্য এবং দেশে ফিরে আসার পর এমন বাঁধভাঙ্গা সংবধর্না প্রসঙ্গে সফল এই অধিনায়ক জানান-‘আমরা জানতাম বিমানবন্দরে এমন কিছু একটা হবে। কিন্তু তাই বলে যে এত বিশাল কিছু হবে সেটা কখনোই আমরা চিন্তা করিনি। যা দেখেছি চারধারে তা এককথায় অবিশ্বাস্য! আসলে সবকিছুর একটা শুরুর দরকার। আমি মনে করি আমাদের ক্রিকেটকে সামনের দিকে নিয়ে যাবার জন্য এটা একটা স্টেপিং স্টোন হিসেবে কাজ করতে পারে। আমি আশাবাদি যে এই সাফল্য আমাদের ক্রিকেটকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়ে যাবে। সবার জন্য এই সাফল্যটা একটা মটিভেশন হিসেবে কাজ করবে। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তোমাদের পেশাদার ক্রিকেট জীবন সবে শুরু হচ্ছে। তাই এই সময়টায় চ্যালেঞ্জ আরো কঠিন। এই সময়টায় হেলায় গা না ভাসিয়ে দিয়ে চ্যালেঞ্জ জেতার জন্য যেন সবাই তৈরি হতে পারে সেই বার্তায়ই আমাদের দেয়া হয়েছে। আমরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি তবে আত্মতুষ্ঠিতে ভুগছি না। সামনের সময়ে নিজেদের তৈরি করার জন্য মনোযোগ দেবো এখন।’

   

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব আল হাসান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আবাসন খাতের প্রথম সিটি ব্র্যান্ড রূপায়ণ সিটি ও ক্রিকেটের ব্র্যান্ড সাকিব আল হাসান এবার হয়েছেন জুটিবদ্ধ। রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রূপায়ণ সিটি উত্তরার স্কাই ভিলা লাউঞ্জে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রূপায়ণ সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন সাকিব। রূপায়ণ সিটির পক্ষে সিইও এম মাহবুবুর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রূপায়ণ গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান মাহির আলী খাঁন রাতুল ও উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন পি জে উল্লাহ (অব.), চিফ অপরেটিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার সালাহউদ্দীন (অব.), সিবিও (আরসিইউ) রেজাউল হক লিমন, সিবিও (ম্যাক্সাস) গৌতম তরফদারসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে রূপায়ণ সিটি ঘুরে দেখেন সাকিব আল হাসান। এ সময় তিনি বলেন, একদমই ব্যতিক্রম এখানকার পরিবেশ। কারণ খেলাধুলার জায়গা আছে, বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ। বয়স্কদের জন্য আছে হাঁটা-চলার পৃথক রাস্তা। যা ঢাকার অন্যান্য জায়গায় বড়ই অভাব। এখানকার পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। আমি জানি না ক্রিকেটারদের কেউ রূপায়ণ সিটিতে থাকেন কিনা। যদি না থাকেন তাহলে তারা এদিকে আসতে পারে।

রূপায়ণ সিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে অংশ নেবেন বলেও জানান সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের গেটেড কমিউনিটির ধারণাতে ‘ব্রেক দ্য স্কয়ার ফিট স্টোরি’- এই দর্শনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা দিয়েছে রূপায়ণ সিটি। যার মাধ্যমে এসেছে প্রিমিয়াম মেগা গেটেড কমিউনিটি- রূপায়ণ সিটি উত্তরা। যেখানে আছে রূপায়ণ স্কাই ভিলা, ম্যাক্সাস- দি মল অব বাংলাদেশ এবং নেক্সট জেনারেশন স্মার্ট সিটি ‘নর্থ সাউথ সিটি’।

;