লরিয়াস অ্যাওয়ার্ড লিওনেল মেসির
লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টসম্যান অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। প্রথম ফুটবলার হিসেবে এ পুরস্কার জিতে নতুন ইতিহাস লিখলেন ষষ্ঠবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ মেগাস্টার।
তবে মেসি একা জিততে পারেননি পুরস্কারটি। এ সম্মাননায় ভাগ বসিয়েছেন ব্রিটেনের ফর্মুলা ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিল্টন। ২০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পুরস্কারটি দুজনে ভাগ করে নিলেন।
লরিয়াস একাডেমির সদস্য সাবেক কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদদের ভোটে মেসি ও হ্যামিল্টন দুজনেই যুগ্মভাবে প্রথম হন। পুরস্কার জয়ের পথে দুজনে হারিয়ে দেন টাইগার উডস ও রাফায়েল নাদালের মতো তারকাদের।
জমকালো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। তবে সোমবার রাতে আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের হাত থেকে পুরস্কার বুঝে নেন হ্যামিল্টন।
এলএম টেন বার্সেলোনাকে এনে দেন ২৬তম লা লিগা ট্রফি। আর হ্যামিল্টন ফর্মুলা ওয়ান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন ষষ্ঠবারের মতো।
অনুষ্ঠানে যেতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন মেসি, ‘আজ রাতের এই ইভেন্টে আসতে না পেরে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। সত্যি আমি অনুষ্ঠানে থাকতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে উঠেনি।’
পুরস্কার পেয়ে লরিয়াস একাডেমিকে ধন্যবাদ জানান বার্সার এ প্রাণভোমরা, ‘পুরস্কার দেওয়ার জন্য একাডেমির প্রতি রইল আমার কৃজ্ঞতা। সত্যটা হচ্ছে, এটা স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড। দলীয় খেলা থেকে প্রথমবারের মতো পুরস্কারটটা পেয়ে আমি সম্মানিত।’
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে টানা পাঁচটি স্বর্ণপদক জিতেছেন জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সর্বচেয়ে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র তিনি। ১৯টি স্বর্ণপদক, ৩টি রৌপ্যপদক ও ৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৫টি পদক জেতা বাইলস জেতেন স্পোর্টসউইমেন অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর সতীর্থরা কাঁধে তুলে নিয়ে ছিলেন শচীন টেন্ডুলকারকে। গত ২০ বছরের মধ্যে অনন্য এই উদযাপন জিতেছে লরেস বেস্ট স্পোর্টিং মোমেন্টের পুরস্কার।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর হাত থেকে পুরস্কার বুঝে নেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন।