আগারের হ্যাটট্রিক, রেকর্ড গড়ে হারল প্রোটিয়ারা
বল হাতে স্পিন মায়াজাল ছড়ালেন। বশ করলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। অ্যাস্টন আগার পেলেন দুরন্ত এক হ্যাটট্রিকের দেখা। তার বোলিং দাপটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১০৭ রানের বড় ব্যবধানে হার মানল দক্ষিণ আফ্রিকা।
হারের ম্যাচে অনাকাঙ্ক্ষিত দুটি রেকর্ডও গড়ল প্রোটিয়ারা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তারা লিখল সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের রেকর্ড। সঙ্গে তাদের হারটাও হলো সর্বোচ্চ ব্যবধানের। তিন ম্যাচের সিরিজে পিছিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩তম হ্যাটট্রিক হাঁকালেন আগার। ব্রেট লির পর অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ছুঁলেন এ কীর্তি। ২৪ রানে শিকার করলেন ৫ উইকেট। বাঁ-হাতি স্পিনারের এ ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টিতে টানা অষ্টম জয় এনে দিল অস্ট্রেলিয়াকে। দেশকে পৌঁছে দিল আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
জোহানেসবার্গে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অ্যাস্টন আগারের আগুনে বোলিংয়ে ৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো না হলেও বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন স্টিভেন স্মিথ ও ক্যাপ্টেন অ্যারোন ফিঞ্চ। তবে দুজনের কেউ হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পাননি। ৪২ রানে তাব্রাইজ শামসির বলে ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফিঞ্চ। স্মিথ ফেরেন ৪৫ রান নিয়ে। অ্যালেক্স কেরী যোগ করেন ২৭।
ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ডেল স্টেইন ও তাব্রাইজ শামসি। দুজনেই খরচ করেন সমান ৩১ রান।
জয়ের জন্য ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস। শেষ দিকে ক্যাগিসো রাবাদা ২২ রান এনে না দিলে স্কোরটা হতো আরো বড় লজ্জার। তার আগে ১৬ রান আসে পিটে ফন বিলজনের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরই স্পর্শ করতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ সেরা আগার হ্যাটট্রিকসহ শিকার করেন পাঁচ উইকেট। এজন্য রান দেন ২৪। দুটি করে উইকেট যায় প্যাট কামিন্স ও অ্যাডাম জাম্পার থলেতে।