নিউজিল্যান্ডের কাছেও হারল সালমারা
বল হাতে দাপট দেখিয়ে ছিলেন রিতু মনি, সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদরা। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডকে একশ রানের নিচে আটকেও রেখেছিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পূর্ণতা পেল না বোলিংয়ের অর্জনটা। দেশের মেয়েরা হার মানল শেষে ১৭ রানে।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এনিয়ে টানা তিন ম্যাচে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ভারতের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের কাছে আত্মসমপর্ণ করে সালমা খাতুনরা। এবার তারা হারের তেতো স্বাদ নিল কিউইদের বিপক্ষে। এতে গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা ১৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৯১ রান। স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য অল্প হওয়ায় জয়টা উঁকি দিয়েছিল বাংলাদেশের আকাশে। জয়ের কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়ে ছিল মেয়েরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা গুটিয়ে যায় ৭৪ রানে।
রিতু মনি একাই ধস নামিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপে। ১৮ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। সালমা খাতুন মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ১৭ রান খরচায় রুমানা আহমেদ নিজের ঝুলিতে উইকেট পুড়েন ২টি।
রিতু, সালমা ও রুমানা- ত্রয়ীর বোলিং জাদুতে নিউজিল্যান্ডের দলীয় স্কোর তিন অঙ্কের ঘরও ছুঁতে পারেনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওপেনার রিচেল প্রিয়েস্ট। তার সঙ্গে দলীয় স্কোরে সুজি বেটস ১৫, সোফি ডিভাইন ১২ ও ম্যাডি গ্রীন ১১ রান যোগ করেন। শুরুর দিকে এই যা একটু রান এসেছিল। কিন্তু মিডল-অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। আসা যাওয়ার মিছিলে দুই অঙ্কের রানও কেউ তুলতে পারেনি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হালচিত্র ছিল একই। নিগার সুলতানা ২১, ওপেনার মুর্শিদা খাতুন ১১ ও রিতু মনি করেন ১০ রান। টপ অর্ডারে কিছু রান এলেও মাঝের ও নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা কিউই বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। সিঙ্গেল ডিজিটের রান নিয়ে তাসের ঘরের মতো উড়ে যেতে থাকেন দেশের ব্যাটসম্যানরা।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন লেইফ কাসপেরেক ও ম্যাচ সেরা হ্যালি জেনসেন। দুজনে খরচা করেন যথাক্রমে ২৩ ও ১১ রান।
টুর্নামেন্টের এ গ্রুপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ২ মার্চ। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।