ওয়ানডের পর টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ ভারত
দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ইনিংসের চেয়ে বরং আরো ভয়াবহ। ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। এতেই জয়ের ঘ্রাণ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কিউইদের লাগল মাত্র একটা সেশন। আর আড়াই দিনেই বিরাট কোহলিদের ৭ উইকেটে হারিয়ে দিল স্বাগতিকরা।
ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টের দাপুটে এ জয় দিয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিতে নিল ২-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টিতে ৫-০ ব্যবধানে হারের মধুর প্রতিশোধই নিউজিল্যান্ড যেন নিল ওয়ানডে ও টেস্টে। দীর্ঘ আট বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে ধবলধোলাই হলো ভারত।
১৩২ রানের সহজ লক্ষ্যটা নিউজিল্যান্ড ছুঁয়ে ফেলে ৩৬ ওভারেই। দুই ওপেনার টম লাথাম (৫২) ও টম ব্লান্ডেল (৫৫) সাজঘরে ফেরার আগে দুরন্ত দুটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। এতেই গড়ে উঠে ব্ল্যাক ক্যাপদের জয়ের ভিত। আনুষ্ঠানিকতা সেরে মাঠ ছাড়েন কেবল রস টেলর (৫*) ও হেনরি নিকোলস (৫*)। দুজনের করা দশ রানেই জয়টা ধরা দিয়ে বসে হাতে।
৩৯ রানে দুটি উইকেট নেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বাকি উইকেটটি যায় উমেশ যাদবের থলিতে।
ট্রেন্ট বোল্ট ও সিরিজ সেরা টিম সাউদিদের বোলিং ঝড়ে দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে কোনোমতে ১০ ওভার ব্যাটিংয়ে টিকে ছিল তারা। তবে বাকি চার উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে মাত্র ৩৪ রান। সর্বোচ্চ ২৪ করেন চেতেশ্বর পূজারা। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ ১৬ রানের বেশি তুলতে পারেননি।
২৮ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি।
ম্যাচ সেরা কাইল জেমিসন পাঁচ উইকেট শিকার করায় প্রথম ইনিংসে ২৪২ রান সংগ্রহ করে অতিথি ভারত। পরে বল হাতে দাপট দেখান মোহাম্মদ শামি। ৪ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে আটকে দেন ২৩৫ রানে। এ কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান করেও ইনিংস হার এড়িয়ে ১৩১ রানের লিড নিয়ে ফেলে ভারত। কিন্তু মামুলি সেই লিডটা তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।