বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর শুরু, নায়ক মুশফিক
হারের ব্যবধান এবং পারটেক্সের ব্যাটিং জানান দিচ্ছে- এটি ছিল এক অর্থে ‘নো কম্পিটিশন’ ম্যাচ! ৮১ রানের সহজ এবং বিশাল জয় দিয়ে গেলবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী তাদের নতুন যাত্রা শুরু করল। মিরপুরে এই বড় জয়ে ব্যাটিংয়ে নায়ক আবাহনীর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১২৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন মুশফিক। আর বোলিংয়ে স্পিনার মেহেদি হাসান রানা। এই অফস্পিনার ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
আবাহনীর ২৮৯ রানের জবাবে পারটেক্সের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২০৮ রানে। বোলিংয়ের মাঝ বরাবর অংশ জুড়ে পারটেক্স ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমেজ তৈরি করলেও ব্যাটিংয়ের পুরোটা সময় তারা ম্লান। ম্যাচ জেতার মতো কোনো পরিস্থিতিই তারা তৈরি করতে পারেনি।
মিরপুরে টস হেরে বোলিংয়ে নামা পারটেক্স ৬৭ রানে আবাহনীর ৫ উইকেট উপড়ে দিয়ে আপসেটের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল। অধিনায়ক মুশফিকের সেঞ্চুরিতে সেই শঙ্কা কাটিয়ে উঠে আবাহনী বড় স্কোরই গড়ে তুলে।
মুশফিকের সেঞ্চুরির সঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট হাসে হাফসেঞ্চুরির হাসি। আর সাইফউদ্দিনের ব্যাটে অট্টহাসি দেখে মনে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। মাত্র ১৫ বলে ৫ ছক্কায় তার অপরাজিত ৩৯ রান মিরপুরের এই ম্যাচের আকর্ষণীয় অংশ হয়ে রইল।
রান তাড়ায় নেমে পারটেক্স সেই শুরু থেকেই সঙ্কটে। অধিনায়ক তাসামুল হকের ৪৩ এবং মাঝ ব্যাটিংয়ে নাজমুল হোসেন মিলনের ৬৩ বলে ৫৩ রানের হাফসেঞ্চুরিতে পারটেক্সের স্কোর দুশো পার করে।
সাইফউদ্দিন একটি উইকেট পেলেও আবাহনীর বোলিং বিভাগে বাকি সব সাফল্যের দাবিদার শুধুই স্পিনাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ২৮৯/৭ (৫০ ওভারে; মুশফিক ১২৭, মোসাদ্দেক ৬১, সাইফউদ্দিন ৩৯*; জয়নুল ৩/২৮ ও তাসামুল ২/২৯)।
পারটেক্স: ২০৮/১০ (৪৮.৪ ওভারে, তাসামুল ৪৩, ধীমান ৩৬, নাজমুল হোসেন ৫৩; মেহেদি রানা ৪/৫৫ ও তাইজুল ২/৩০)।
ফল: আবাহনী ৮১ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: মুশফিকুর রহিম।