শ্রীলঙ্কায় বন্ধ সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট
ভারতের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ হয়েছে আগেই। শুধু ক্রিকেট খেলাই নয়। বন্ধ ক্রিকেট সংক্রান্ত সব অফিস। কর্মীরা কাজ করবেন এখন ঘরে বসে। তাদের পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। এবার সব ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট স্থগিত হলো শ্রীলঙ্কাতে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে শুক্রবার কারফিউ শুরু হয়েছে পুরো দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার জনসাধারণের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির স্থানীয় এক ক্রিকেট ম্যাচ থেকে। ছেলেদের অভিজাত স্কুল সেন্ট টমাস কলেজ ও রয়্যাল কলেজের মধ্যে বার্ষিক স্কুল ম্যাচটি হয়েছিল ১২-১৪ মার্চ। এসএসসি-র এই বিগ ম্যাচে দর্শক ছিল প্রায় দশ হাজার। সেই দর্শকদের একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা তার সংস্পর্শে এসে ছিলেন তাদের সবাইকে স্বেচ্ছা-অন্তরণে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মঙ্গলবার জানান, রয়্যাল-টমাসের মধ্যকার ম্যাচটি বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু তার কথা না মেনেই আয়োজন করা হয় ম্যাচটি। এরপর থেকেই চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই ম্যাচ গণহারে ছড়িয়ে দিতে পারে ভাইরাসটি।
এর আগে ১৩ মার্চ শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সফর স্থগিত করে ইংল্যান্ড। কিন্তু তারপরও হয়েছে সোমবার, ১৬ মার্চসহ বেশ কিছু ম্যাচ। প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সাধারণত দর্শক থাকে না। তাই ভাইরাসটি জনতার মাঝে ছড়িয়ে পড়ার কোনো ভয়ও ছিল না। কিন্তু ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও ভেন্যুর অন্য স্টাফদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) সব ধরনের টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সপ্তাহান্তে ২১-২২ মার্চ কোনো ধরনের ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই। কারণ ৬০ ঘণ্টার কারফিউ বলবৎ রেখেছে লঙ্কান সরকার।