আইপিএল বাতিল হলে ক্ষতি ২ হাজার কোটি রূপি
লাভের হিসেব মেলানোর বছর আর নয় এটা। এই বছর শুধু ক্ষতির হিসেবই গুনতে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিসিসিআই)। সেই বোর্ডও এই বছরের ক্ষতির হিসেব মেলাতে শুরু করেছে। প্রতি বছর আইপিএল থেকে বিপুল পরিমাণ আয় হতো বিসিসিআই এর।
এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তাতে চলতি বছর আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। ২৯ মার্চ থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এই বছরের আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ভারত এবং বিশ্ব জুড়ে এখন করোনাভাইরাস দুর্যোগের যে পরিস্থিতি তাতে এপ্রিল তো বটেই মে মাস পর্যন্ত এই সঙ্কট কাটবে কিনা-তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। আর সেই জটিলতায় এই বছরের স্থগিত হয়ে পড়া আইপিএল একেবারে বাতিলও হয়ে যেতে পারে। আর তাতে বড় ধাক্কা খাবে বিসিসিআই’র তহবিল!
বিসিসিআই এর একটি সূত্র জানিয়েছে-আইপিএল বাতিল হলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ হাজার কোটি রূপি। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব জুড়ে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুধু আইপিএলই নয়, ভারতের অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজও বাতিল হতে পারে এই সময়ে। তাতে বিসিসিআই এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে।
বিসিসিআই যে অর্থ আয় করে তার শতকরা ২৬ ভাগ ব্যয় করে ক্রিকেটারদের বেতন বাবদ। দেশটির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাররা পান শতকরা ১৩ ভাগ। বেতন খাতের বাকি ১৩ ভাগ অর্থ ব্যয় হয় ঘরোয়া এবং জুনিয়র ক্রিকেটারদের পেছনে। বার্ষিক বেতনের হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ফাস্ট বোলার জাসপ্রিত বুমরা-এই তিনজন ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে ৭ কোটি রূপি পান। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন, ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ শামি, ব্যাটসম্যান চেতশ্বর পূজারা, টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ও ব্যাটসম্যান কেএল রাহুলের বার্ষিক বেতন ৫ কোটি রূপি। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটারদের বার্ষিক বেতন ৩ কোটি রূপি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে বার্ষিক এই বেতনের পরিমাণ ১ কোটি রূপি। আর দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর বার্ষিক বেতন ৯ কোটি রূপিরও বেশি।
খেলা না হলেও খেলোয়াড় এবং কোচদের এই বেতন তো বিসিসিআই-কে দিতেই হবে। তবে খেলা বন্ধ থাকায় বিসিসিআই চলতি বছর ক্রিকেটারদের এই বেতন কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে।