করোনায় বদলে যাচ্ছে ভিলিয়ার্সের ভাবনা
বয়স মাত্র ৩৬। ইচ্ছে করলেই আরও কিছুদিন ক্রিকেট মাঠে থাকতে পারতেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ সালে হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। এবিডি ভিলিয়ার্সের এই সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে পারেন নি ভক্তরা। এরপর এই তারকা ক্রিকেটারটিও নড়েচড়ে বসেন। জানিয়ে দেন ফের ব্যাট হাতে নামবেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে।
অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই ফেরার কথা ভাবছিলেন ভিলিয়ার্স। ২০ ওভারের সেই বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কথা এ বছরের ১৮ অক্টোবর। কিন্তু করোনাভাইরাসে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণে দিশেহারা গোটা বিশ্বের মানুষ। মাঠের খেলা থমকে আছে। গৃহবন্ধী হয়ে আছেন মানুষ। এ অবস্থায় ভিলিয়ার্সের ফেরার আকাশেও কালো মেঘ!
দক্ষিণ আফ্রিকান হেড কোচ মার্ক বাউচার অবশ্য ফেরাতে চাইছেন ভিলিয়ার্সকে। তবে মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি খ্যাত এই ব্যাটসম্যান ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেই ফিরতে চান ক্রিকেটে। জানাচ্ছিলেন, ‘অতীত পরিসংখ্যানে নয়, আমাকে অবশ্যই সব রকমের পরীক্ষায় পাশ করে দলে জায়গা করে নিতে হবে। প্রধান কোচ বাউচারের কাছে নিজের ফিটনেস ও পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।’
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে কি ফিরবেন ভিলিয়ার্স?
এমন প্রশ্নের মুখে অবশ্য রহস্য রাখলেন তিনি। বলেন, ‘টুর্নামেন্টটা যদি পিছিয়ে আগামী বছর নেয় হয়, তাহলে অবশ্যই অনেক কিছুর পরিবর্তন আসবে। এখন মনে হচ্ছে নিজের সেরাটা দিতে পারবো আমি। আগামীতে আমার ফিটনেস কেমন থাকবে সেটি জানা নেই। ওজন বেড়েও যেতে পারে।’
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছে ৩৫ দিনের লকডাউন। ঘরেই চলছে অনুশীলন। শরীরচর্চা। ভিলিয়ার্স বলছিলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় থাকতে চাই, শতভাগ সেই অবস্থায় থাকলেই কেবল খেলার ইচ্ছা জানাব। ৮০ ভাগ ফিটনেস নিয়েও খেলে যাওয়ার মানুষ নই আমি।’