করোনা যুদ্ধে জিকোদের সঙ্গী পাওলো রসিরা
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে ঘরবন্দী এখন ব্রাজিলবাসী। কিন্তু প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নির্মূল করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে গেছেন অভাবী মানুষগুলো। তাই তো দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ বস্তির মানুষের সহায়তার জন্য মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কিংবদন্তি জিকোদের ১৯৮২ ফিফা বিশ্বকাপের দল। খবরটা অবশ্য পুরনো।
নতুন খবর হলো-ব্রাজিলের এই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাদের বিশ্বকাপ প্রতিপক্ষ ইতালির ফুটবলাররাও। যাদের কাছে ৩-২ গোলে হেরে ১৯৮২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল সেলেসাও শিবির। যে ম্যাচে পাওলো রসি পেয়ে ছিলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। এক সময়কার ফুটবল ময়দানের সেই শত্রুরা মহাবিপর্যয়ের দিনে দক্ষিণ আমেরিকার মানুষের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
ব্রাজিল দলের সবাই একত্রিত হয়ে গড়ে চলেছেন করোনা প্রতিরোধ তহবিল। পাওলো রবার্তো ফ্যালকাওয়ের নেতৃত্বে মহতী এই উদ্যোগে অংশীদার হয়েছেন ১৯ জন ফুটবলার। তাদের মধ্যে রয়েছেন জিকো, জুনিয়র ও লিয়ান্দ্রো। সবাই ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে দেশবাসীকে এই মহাবিপদের দিনে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। চেয়েছেন আর্থিক সাহায্যও।
এএস রোমা ও ইন্টারন্যাসিওনালের সাবেক মিডফিল্ডার ফ্যালকাও জানিয়েছেন, এ উদ্যোগে বেশ সাড়া পাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে ৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭০ ডলার জমা পড়েছে তাদের তহবিলে।
ইতালি দলের ফুটবলাররাও ভিডিও বার্তা রেকর্ড করেছেন। ফ্যালকাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু রোমার সাবেক সতীর্থ ব্রুনো কন্তিকে ইতালিয়ান ফুটবলারদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ভিডিও বার্তা যোগাড় করে দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তাতে সহায়তা করতে রাজি হয়েছেন ইতালির পাওলো রসি, জিওসেপ্পে বারগোমি ও ক্লদিও জেনতিলের মতো কিংবদন্তি ফুটবলাররা।
দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক ছিল। কেননা বাজিল দলের সক্রেটিস, জিকো, ফ্যালকাও এবং লিয়ান্দ্রোর মতো ফুটবলাররা খেলতেন ইতালিতে। পুরনো সেই বন্ধুত্বটা এবার কাজে দিয়েছে।