শোয়েবের হাত থেকে সেদিন বেঁচে গিয়েছিলেন হরভজন
ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের শীতলতা আজকের নয়। সেই আঁচ থাকে ক্রিকেটেও। যদিও এখন দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বন্ধ দুই দেশের। ফের কবে সম্পর্কটা জোড়া লাগবে কেউ জানে না। করোনাভাইরাসের লকডাউনের এই সময়ে পুরনো সেই দিনগুলোর স্মৃতি ফিরে এসেছে। এই যেমন এবার শোয়েব আখতার জানালেন-একবার নাকি তিনি মারতে গিয়েছিলেন হরভজন সিংকে।
পাকিস্তানি সাবেক পেসার শোয়েব আখতার জানাচ্ছিলেন, ঘটনাটি ২০১০ সালের এশিয়া কাপ চলাকালীন সময়ের।
ডাম্বুলায় দুই দলের ম্যাচ শেষের ঘটনা। যেখানে ২৬৮ রানের জবাবে খেলতে নেমে চাপে পড়ে ভারত। শেষ ৪ ওভারে চাই ৩৬। উইকেটে সুরেশ রায়নার সঙ্গে হরভজন। ৪৭তম ওভারে বল করতে আসা শোয়েবকে ছক্কা হাঁকিয়ে ছিলেন ভাজ্জি। তারপরই শুরু দু'জনের স্লেজিং! এক পর্যায়ে শোয়েবের একটি ডেলিভারি পাঁজরে লাগে হরভজনের। কিন্তু রায়না আউট হয়ে গেলেও শেষ বলে আমিরকে ছয় মেরে দলকে জেতান হরভজন। ভারতকে জিতিয়ে শোয়েবকে কিছু একটা বলেন হরভজন। ব্যস, ঝগড়া বড় হয়ে যায়।
এতদিন পর সেই ঘটনা মনে করে শোয়েব বলেন, ‘দেখুন, হরভজন লাহোরে আমাদের সঙ্গে চলাফেরা করল, খাওয়া-দাওয়া করল। ও পাঞ্জাবি ভাই। আমাদের দু'জনের সংস্কৃতিও প্রায় একই রকম। সেই ভাজ্জি কিনা মাঠে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করল। তারপরই ঠিক করি, ওর রুমে গিয়ে এ নিয়ে লড়াই করব। হোটেলে গিয়ে খুঁজেও ছিলাম। যদিও খুঁজে পাইনি। এরপর যদিও মাথা ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। আর হরভজনও ক্ষমা চেয়েছিল।’
এনিয়ে অবশ্য কিছু দিন আগে হরভজন বলেছিলেন, ‘শোয়েব হোটেলের রুমে মারার হুমকি দিয়েছিল। আমিও ওকে বলি, সময় আসুক দেখা যাবে কে কাকে পেটায়! কিন্তু পরে ভাবলাম ওর বিরাট চেহারা। একবার হোটেলে আমাকে ও যুবরাজকে ধাক্কা দিয়েছিল। সেদিনই বুঝেছি ওর শরীরে প্রচুর শক্তি। ওর সঙ্গে পারা কঠিন!’