বিশ্বকাপের স্বপ্নও দেখাচ্ছেন জামাল ভূঁইয়া
সন্দেহ নেই এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। অনেকে তো তাকে বলে পোস্টার বয়। সেই জামাল ভূঁইয়া বছর দুয়েক ধরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলকে। জন্ম ডেনমার্কে হলেও তিনি এখন খাঁটি বাংলাদেশি। দেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরে যারপরনাই খুশি তিনি।
সেই জামাল জামাল ভূঁইয়া শুক্রবার ফেসবুক আড্ডায় মুখোমুখি হলেন ভক্তদের। বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ফেসবুক লাইভে প্রাণ খুলে অনেক কথাই বলেন জামাল। জানান বাংলাদেশের অধিনায়ক হবেন এমনটা অবশ্য কল্পনাও করেননি।
ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল বলছিলেন, ‘সত্যি বলতে কী আমি যুব ফুটবলে কোপেনহেগেন এফসিতে (ডেনমার্কের ক্লাব) খেলি, তখনই স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলে এক সময় খেলব। কিন্তু কখনও দলের অধিনায়ক হতে পারব এমন চিন্তা করিনি।’
তবে বিশ্বকাপে খেলার কঠিন স্বপ্নটাও কিন্তু দেখাচ্ছেন জামাল। জানাচ্ছিলেন, ‘দেখুন, বিশ্বকাপ খেলা কঠিন কাজ। দেখুন ভারত এত বড় দেশ, তাদের এত স্পন্সর, এত জনসংখ্যা; এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও ভারত কিন্তু বিশ্বকাপ খেলতে পারে না। কারণ, অনেক লম্বা পথ এটা। আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে, একদিন বিশ্বকাপ খেলতে পারব। এ জন্য আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। আরো ভালো ভালো ফুটবলার তৈরি করতে হবে আমাদের।’
জাতীয় দলে যোগ্যতা দিয়েই নিজের অবস্থান করে নিয়েছেন জামাল। ঘরোয়া ফুটবলে ভালো খেলে উঠে আসেন আলোচনায়। বেশ পরিশ্রমও করতে হয় এই মিডফিল্ডারকে। এরপর ২০১৩ সালে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই লাল-সবুজের হয়ে অভিষেক। আর এখন তো দলের প্রাণভোমরা।
সেই স্মৃতি এখনো মনে আছে জামালের। জানালেন, ‘প্রথম যে দিন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামলাম সেই দিনটা ভুলতে পারব না। মাঠে যখন জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল, তখন তা শুনে শিহরিত হয়েছিলাম। সেই মুহূর্তটা আসলেই ভোলার নয়। সে মুহূর্তটাই আমার কাছে সবচেয়ে সুখকর মুহূর্ত।’
এরপর থেকেই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন। এবার তার চোখ দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ বলে পরিচিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। শিরোপা এনে দিতে চান দেশকে। বলেন, ‘আমি এখন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে থাকি। এতে আমি গর্ববোধ করি। আমার লক্ষ্য, বাংলাদেশকে সাফ শিরোপা পাইয়ে দেওয়া। লক্ষ্য-বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কিছু পয়েন্ট এনে দেওয়া আর র্যাঙ্কিংয়ে আরও ওপরের দিকে নেওয়া।’
সেই চ্যালেঞ্জে লড়ে যেতে চান তিনি। তবে আপাতত করোনাভাইরাসের কারণে রয়েছেন মাঠের বাইরে।