আগে ছোট ছিলাম, এখন কেন এসব করতে যাব: সাব্বির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সাব্বির রহমান, ছবি: সংগৃহীত

সাব্বির রহমান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফের নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হলেন ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে পিটিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

সাব্বির রহমান বলছেন, আগে যা করেছি- ছোট ছিলাম, এখন কেন এসব করতে যাব? আর রাস্তায় কাউকে মারধর করা কি এতই সহজ?

রোববার (৩১ মে) রাতে এ প্রতিবেদকের কাছে তিনি এমন প্রশ্ন তোলেন। বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটির বেশি কিছুই হয়নি। আমি পরিচ্ছন্নতাকর্মীর গায়ে হাত-ই তুলিনি। কিন্তু আমার তো ‘শত্রুর’ অভাব নেই। তারা তিলকে তাল বানিয়ে প্রচার করছে, যেন আমার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে।

সাব্বিরের বর্ণনা মতে, রোববার (৩১ মে) বিকেলে তিনি এবং তার স্ত্রী গাড়িতে চড়ে বাইরে থেকে আসেন। এসময় তার বাড়ির সামনে সিটি করপোরেশনের ময়লা নিয়ে যাওয়ার একটি ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল। যার কারণে তিনি বাসায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে পারছিলেন না। দুই মিনিট ধরে হর্ন দেওয়ার পর আসেন পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাদশা। তখন তার সঙ্গে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে দাবি সাব্বিরের।

সাব্বির রহমান বলেন, আমি দেখলাম ভ্যান রেখে বাদশা দূরে একজনের সঙ্গে গল্প করছে। দুই মিনিট হর্ন দেওয়ার পর সে আসে। তখনও গাড়ির কালো গ্লাসের কারণে সে আমাকে চিনতে পারেনি। হর্ন দিয়ে ডাকার কারণে সে বিড় বিড় করে কিছু একটা বলছিল আর চোখ রাঙাচ্ছিল।

গাড়ির গ্লাস নামিয়ে আমি বললাম, তুমি যে এভাবে ভ্যান বাড়ির সামনে রেখে দূরে গল্প করছ, তাতে তো আমি ঢুকতে পারছি না। সে বলল, দুই-এক মিনিটে কী আসে যায়! আমি বললাম, দুই মিনিটে মানুষের জীবন চলে যায়। গাড়িতে যদি কোনো পেসেন্ট বা বৃদ্ধ মানুষ থাকত, তাহলে কি আটকে থাকতাম? এরপর বাদশাই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন আমি গাড়ি থেকে নামি এবং কথা কাটাকাটি হয়, যোগ করেন সাব্বির।

তিনি আরও বলেন, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। মাঝ রাস্তায় কাউকে কি মারধর করা এতই সহজ? আর বাদশা আমার পরিচিত। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করি। লকডাউন চলা অবস্থায় তাকে ডেকে টাকা দিয়েছি। কিন্তু তার কাছ থেকে এমন আচরণ আমি প্রত্যাশা করিনি।

মূলত ঘটনা কিছুই না, কিন্তু আমার শত্রুর অভাব নেই। তারা বিষয়টাকে বড় করার চেষ্টা করছে, যেন এক সময় সবাই বলে দোষ সাব্বিরেরই। কিন্তু আগে যা করেছি, ছোট ছিলাম। এখন কেন এসব করতে যাব? গরিব মানুষকে মেরে লাভ আছে?

রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ‘ম্যাও’ বলে ডাকার কারণে এক কিশোরকে মারধর করেছিলেন সাব্বির রহমান। এ কারণে ছয় মাসের জন্য জাতীয় দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তিনি। তারপর ফিরেছেন জাতীয় দলে। কিন্তু এবার তাকে নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু হলো।

 

   

ইতিহাদে সিটিকে থামিয়ে সেমিতে রিয়াল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর হতে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যকার ম্যাচটি, এই আভাস আগেই পেয়েছিল সমর্থকরা। সেই ধারণা সত্যই প্রমাণিত হয়। রিয়ালের মাঠে প্রথম লেগের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ৩-৩ সমতায় শেষ হয়। গতরাতে সিটির মাঠের ম্যাচটিও ১-১ সমতায় থেকে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গড়ায়। তাতেও ফলাফল না আসায় পেনাল্টির দেখা পায় ম্যাচ, যেখানে সিটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিতে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।

বার্নাব্যুতে রিয়ালের সঙ্গে তিন গোলের সমতায় শেষ করার পর নিজেদের মাঠ ইতিহাদে এসে আরও দাপট দেখাবে ম্যান সিটি, এমনটা বেশিরভাগ সমর্থকই আশা করে ছিলেন। তবে রিয়াল মাদ্রিদ যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা সেটা তারা প্রতি বছরই উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে আসছে, এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না।

এদিন ম্যাচের প্রথম ভাগে ১২তম মিনিটেই রিয়ালকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। শুরুতেই গোল হজম করে কিছুটা ছন্নছাড়া খেলা দেখাতে থাকে স্বাগতিকরা। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে জানে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। পিছিয়ে থেকেও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকেন ডি ব্রুইনা, গ্রিলিশ, ফোডেনরা। একের অধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও রিয়ালের জালে বল জড়াতে পারছিলেন না তারা।

এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে তারাও বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে, তবে সিটির ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। এদিন নিজের সেরা পারফরম্যানটাই দেখিয়েছেন রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। সিটির নিশ্চিত গোল আটকে দিয়ে প্রমাণ করেন নিজের যোগ্যতা।

৭৬তম মিনিটে বক্সের ভেতর ঠিক লুনিনের সামনেই ফিরতি এক বল পায়ে পেয়ে যান সিটির মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রক কেভিন ডি ব্রুইনা। বিচক্ষণতার সঙ্গে জোড়ালো শট নেন, এবার আর রক্ষা করতে পারেননি লুনিন। তার মাথার ওপরদিক ঘেষে গুলির বেগে বল প্রবেশ করে জালে, সমতায় ফেরে সিটি।

নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোলের দেখা না পাওয়ায় শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। যেখানে একে অপরকে সমান তালে টেক্কা দিয়ে গিয়েছে দুই দল, তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই। অবশেষে ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে নিজেদের দাপট এবং যোগ্যতাটা বরাবরের মতোই প্রমাণ করে দেখাল ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা। এবারও যে তারাই ‘হট ফেভারিট’ হয়ে লন্ডনের মাঠে ফাইনালে নামতে চায় সেটাও বুঝিয়ে দিলো।

;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের সব ম্যাচগুলো হবে আজ। এদিকে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

আবাহনী-শেখ জামাল

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

প্রাইম ব্যাংক-গাজী টায়ার্স

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ-শাইনপুকুর

সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

 

১ম টি-টোয়েন্টি

পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড

রাত ৮টা, এ স্পোর্টস ও জিও সুপার

 

আইপিএল

পাঞ্জাব-মুম্বাই

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

 

ইউরোপা লিগ

রোমা-এসি মিলান

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ১

আতালান্তা-লিভারপুল

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

মার্শেই-বেনফিকা

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ৩

ওয়েস্ট হাম-বায়ার লেভারকুসেন

রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ৫

 

;

গুজরাটকে গুঁড়িয়ে দিল্লির রেকর্ডগড়া জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই তো এক ম্যাচ আগের কথা। টেবিল টপার রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে দিয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। সেই গুজরাট এবার রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণই করল দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে। ৮৯ রানে গুটিয়ে গেল দলটা। তাদের এই রান দিল্লি টপকে গেল ৬৭ বল হাতে রেখেই। তাতে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জেতার কীর্তিও গড়ে ফেলল ঋষভ পান্তের দল। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে গুজরাট। পাওয়ার প্লের আগেই মাত্র ৩০ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে শুভমান গিলের দল। সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি দলটা। ৪৮ রান তুলতে শেষ হয়ে যায় তাদের ৬ উইকেট। সেখান থেকে ৮৯ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে দলটা, তার কৃতিত্ব রশিদ খানের। তার ৩১ রানের ইনিংস এক সময় তিন অঙ্কের সম্ভাবনাও দেখাচ্ছিল দিল্লিকে। যদিও শেষমেশ তা আর হয়নি। ১৭.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮৯ রান তুলতেই যবনিকা পড়ে যায় গুজরাটের ইনিংসে।

এই ৯০ রানের লক্ষ্য টপকাতে উইকেট খোয়ালেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দিল্লিকে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক, অভিষেক পোড়েল, শেই হোপরা ১৫০ ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে ছোট্ট অথচ কার্যকরি তিন ইনিংস খেলে দিয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান। ৬৭ রানে ৪ উইকেট খোয়ানোর পর দিল্লিকে বাকি পথটা দেখান ঋষভ পান্ত। তার ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লি পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। ব্যাটিংয়ের আগে কিপিং গ্লাভস হাতে দুটো স্টাম্পিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার বাগিয়ে নেন পান্ত।

এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের কৃতিত্ব এখন পর্যন্ত ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর রাজস্থান রয়্যালসের। ২৭ বল হাতে রেখে জিতেছিল দুটো দল। তবে এবার দিল্লি রেকর্ডটার সীমানা একেবারে আকাশেই তুলে দিল রীতিমতো। ম্যাচটা জিতল ৬৭ বল হাতে রেখে। 

বিশাল এই জয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবিলের ৯ থেকে ৬ এ উঠে এল পান্তের দল। আর ৬ থেকে ৭ এ নেমে গেল গুজরাট টাইটান্স। দুই দলেরই পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৬, তবে বড় ব্যবধানের জয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে গুজরাটকে টপকে গেছে দিল্লি।

;

জালাল ইউনুসের ‘কৌতুক’ শুনে হেসে খুন সালাউদ্দিন!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাবেন নাকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দেশে ফিরবেন-তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা থামছেই না। বিসিবি পরিচালক আকরাম খান জিম্বাবুয়ে সিরিজের চেয়ে বরং মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

আকরামের বক্তব্য খণ্ডন করতে গিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলে বসেন, ‘মুস্তাফিজকে আইপিএল খেলে শেখার কিছু নেই। মুস্তাফিজের শেখার প্রসেস ওভার। বরং মুস্তাফিজের থেকে শিখতে পারে আইপিএলে অনেক খেলোয়াড় আছে।’

জালাল ইউনুসের এমন মন্তব্য শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা তো হাস্যরস করছেনই, এবার সে দলে যোগ দিলেন দেশের অন্যতম স্বনামধন্য কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে জালাল ইউনুসের ওই মন্তব্য সম্বলিত একটি ফটো কার্ড পোস্ট করেছেন এই কোচ।

পোস্টের ক্যাপশনে রীতিমত জালাল ইউনুসকে ধুয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করিনি। দুর্দান্ত চিন্তাভাবনা। আমার শোনা অন্যতম সেরা কৌতুক। আল্লাহ মাফ করুক।’ সঙ্গে বেশকিছু অট্টহাসির ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন এই ক্রিকেট কোচ।

;