অনুশীলনে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা
দীর্ঘ বিরতির পর অনুশীলনে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। সোমবার সিডনি অলিম্পিক পার্কে অনুশীলনে দেখা গেল স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল স্টার্ক। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা করছে। দর্শকবিহীন গ্যালারিতে সোমবার সিডনি অলিম্পিক পার্কে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের এই ক্রিকেটাররা অনুশীলনে অংশ নেন। চলতি সময়ে ক্রিকেট অনুশীলনের জন্য আইসিসি যে বিধি-বিধান দিয়েছে সেগুলো মেনেই এই ক্রিকেটাররা অংশ নেন।
করোনাভাইরাস মহামারির দুঃসময় বেশ ভালভাবেই কাটিয়ে উঠছে অস্ট্রেলিয়া। এই ভাইরাসে অস্ট্রেলিয়ার ৭ হাজারের মতো নাগরিক আক্রান্ত হন।
অনুশীলনে ঘাম ঝরানোর পর সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেন-‘বেশ ভাল ঝরঝরা লাগছে নিজেকে। পেছনের কয়েকটা মাস বাসায় ফিটনেস নিয়ে ভাল সময় কাটিয়েছি। ফিটনেস নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া গত সপ্তাহে জানায়-তারা ৯ আগস্ট থেকে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা করছে। দু’মাসের লকডাউনে স্টিভেন স্মিথ ব্যাট হাতে বাড়ির আঙ্গিনায় স্যাডো প্রাকটিস না করলেও ফিটনেসে কোন ঘাটতি রাখেননি। শারীরিক এবং মানসিক ফিটনেসের ওপরই এই সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
স্মিথ সাংবাদিকদের বলছিলেন-‘ লকডাউনের সময়টায় আমি ব্যাট হাতে তুলেই দেখিনি। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ফিটনেস চর্চা চালিয়ে গেছি। সময়টা আমি ব্যয় করেছি নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট রাখার সেশনে। ফলটা এখন উপভোগ করছি। আজ এই অনুশীলনে নিজেকে দারুণ তরতাজা মনে হচ্ছে।’
অস্ট্রেলিয়ার আগে অবশ্য ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল স্বল্প পরিসরে তাদের অনুশীলন শুরু করেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়া ক্রিকেটে অবশ্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাদের দুশোর বেশি কর্মচারীকে লো-অফ করেছে। সামনের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজনও এখন স্থগিত ঘোষণা হওয়ার অপেক্ষায়। তবে ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ক্রিকেট সিরিজ যথাসময়ে শুরু হবে বলে আশায় আছে অস্ট্রেলিয়া।