‘ঐতিহাসিক সিরিজ’ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন ইংল্যান্ডে
সিরিজটাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে। কারণ করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়টায় এটাই ক্রিকেটের প্রথম কোনো সিরিজ। আর সেই সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডে এসে পৌঁছেছে। ম্যানচেস্টারে থাকবে এখন ক্যারিবীয় দল। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ৮ জুলাই, সাউদাম্পটনে। দর্শক শূন্য গ্যালারিতে হবে সব ম্যাচ। সিরিজের বাকি দুটো ম্যাচ হবে ম্যানচেস্টারে।
২৫ জন ক্রিকেটারসহ ৩৯ সদস্যের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল চার্টার্ড ফ্লাইটে অ্যান্টিগা থেকে সরাসরি ম্যানচেস্টারে এসে পৌঁছায় মঙ্গলবার, ৯ জুন। লকডাউনের পর ইংল্যান্ডে খেলতে আসা প্রথম কোনো ক্রিকেট দল হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই সবার মুখে মাস্ক। দলের সব সদস্যের করোনাভাইরাস পরীক্ষা হয়েছে। সবাই নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। এই ৩৯ জনকে আবার এমিরেটসের ওল্ড ট্রাফোর্ডের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে সামনের ১৪ দিন কাটাতে হবে। সেখানেও তাদের সবার আবার করোনাভাইরাস টেস্ট হবে। ম্যানচেস্টারে তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টিন ও অনুশীলনে কাটানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে সাউদাম্পটনে যাবে।
সাউদাম্পটন এবং ওল্ড ট্রাফোর্ড এই দুই মাঠের সঙ্গেই হোটেল আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড উভয় দল মাঠ সংশ্লিষ্ট সেই হোটেলেই থাকবে। করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়টায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আইসিসি যে বিধি-বিধান স্থির করেছে সেটা মেনে চলবে উভয় দল সিরিজ জুড়ে।
এই সিরিজটি ক্রিকেট বিশ্বের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সিরিজে ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টিই ক্রিকেটের সামনের সময়ে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
ইংল্যান্ডে পৌঁছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার বলেন- ‘এই সিরিজ ক্রিকেট এবং খেলাধুলার জন্য অনেক বড় একটা পদক্ষেপ হবে। প্রস্তুতি নিতেই আমাদের অনেক কিছু লেগে যাচ্ছে। সামনের দিনের ক্রিকেটের জন্য এই সিরিজ একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। নতুন যুগে ক্রিকেট শুরু করতে কি কি ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে সেই তথ্য মিলবে এই সিরিজে।’
পূর্বসূচি অনুযায়ী দু’দেশের মধ্যে এই সিরিজ শুরুর কথা ছিল ৪ জুন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সিরিজটি একমাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে রাখা হয়েছে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ।