গোললাইন বিতর্ক নিয়ে মাঠে ফিরল প্রিমিয়ার লিগ
বহু প্রতীক্ষার পর মাঠে ফিরেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। ইংল্যান্ডের মাঠে ফুটবলের প্রত্যাবর্তন ঘটল ঠিক ১০০ দিন পর। অ্যাস্টন ভিলা ও শেফিল্ড ইউনাইটেডের মধ্যকার মাচ দিয়ে। যদিও লিগের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ জয়ের রঙে রাঙাতে পারেনি কেউ। অ্যাস্টন ভিলার ঘরের মাঠের অনেক দিক থেকে স্মরণীয় ম্যাচটি থেকে গোল শূন্য ড্র নিয়েই ফিরেছে শেফিল্ড। তবে বিতর্ক ছড়িয়েছে গোললাইন প্রযুক্তি।
দর্শক শূন্য নিজেদের ভিলা পার্কে অতিথি দল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে স্বাগত জানায় অ্যাস্টন ভিলা। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে ম্যাচ শুরুর আগে দশ সেকেন্ডের জন্য দুদলের ফুটবলার ও ম্যাচ অফিসিয়ালরা হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন।
বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারীতে যারা মারা গেছেন তাদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতাও পালন করা হয়। করোনাভাইরাস যুদ্ধে সামনে থেকে লড়ে যাওয়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে ফুটবলার ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের জার্সির সামনে ছিল হার্ট আকৃতির এনএইচএস ব্যাজ। জার্সির পিছনে ফুটবলারদের নামের বদলে লেখা ছিল ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান।
ম্যাচের প্রথমার্ধে শুধু গোল নয়, শেফিল্ড ইউনাইটেড বঞ্চিত হয় জয় থেকেও। ৪১তম মিনিটে অলিভার নরউডসের ফ্রি-কিক ধরতে গিয়ে গোললাইন পেরিয়ে হেলে পড়েন ভিলার গোলরক্ষক অর্জান নাইল্যান্ড। কিন্তু রেফারি মাইকেল অলিভার বুঝতেই পারেননি গোলটি হয়ে গেছে।
গোললাইন প্রযুক্তিও গোলটি ধরতে না পারায় ক্ষমা চেয়েছে প্রিমিয়ার লিগের প্রযুক্তিটির অপারেটর হক-আই। গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডার ক্যামেরা ব্লক করে রাখায় ঘটে এই বিপত্তি। ৯ হাজারের অধিক ম্যাচ পরিচালনার পর এই প্রথম এমন ভুল করল হক-আই’র গোললাইন প্রযুক্তি।