জিততে চাই ২০০ রান, কিন্তু বড় বিপদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জয়ের টার্গেট খুব বেশি নয়। মাত্র ২০০ রান। কিন্তু সাউদাম্পটনে জয়ের জন্য এই সামান্য রানের পেছনে ছোটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছে বিপদের মধ্যে দিয়েই। ৭ রানের মধ্যেই নেই ২ উইকেট। শুরুর দুটি উইকেটই নিয়েছেন জোফরা আর্চার। বাড়তি বিপদ হিসেবে ওপেনার জন ক্যাম্পবেল ইনজুরি নিয়ে ড্রেসিংরুমে। ম্যাচের পঞ্চম এবং শেষ দিন লাঞ্চে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে।
রোস্টন চেজ ১২ ও জেরেমি ব্ল্যাকউড ১ রান নিয়ে খেলছিলেন।
আগের দিনের ১৭০ রানের লিডের সঙ্গে আর মাত্র ২৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ড শেষ দিনের সকালের সেশনের শুরুতেই অলআউট হয়। ৩১৩ রানে থামে তাদের ইনিংস। শেষের দিকের ব্যাটসম্যান জোফরা আর্চার ৩৫ বলে ২৩ রান করে দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন।
গ্যাব্রিয়েল শ্যানন ৭৫ রানে ৫ উইকেট পান। প্রথম ইনিংসেও উইন্ডিজ এই পেসার পেয়েছিলেন ৪ উইকেট।
শেষদিনের সকালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস ৩১৩ রানে থামলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুশি মনেই ব্যাটিংয়ে নামে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুতেই তাদের ত্রাহি অবস্থা।
ক্রেইগ ব্রাথওয়েট বোল্ড হয়ে ফিরলেন মাত্র ৪ রান করে। শামারাহ ব্রুকসকে ০ রানে এলবিডব্লু’র ফাঁদে ফেলেন আর্চার। এর আগে কোনো উইকেট হারানোর আগেই ক্রিজ থেকে ফিরে আসেন ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। আর্চারের ইয়র্কারে পায়ের আঙ্গুলে চোট পেয়ে ক্রিজেই কুঁকিয়ে উঠেন ক্যাম্পবেল। পায়ে ভর দিয়ে মাঠে দাঁড়াতেই পারছিলেন না। চিকিৎসকের কাঁধে ভর রেখে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন তিনি। তার নামের পাশে তখন রান মাত্র ১। ক্যাম্পবেলের চোটের যে অবস্থা তাতে ব্যাটিংয়ে তিনি আর নামতে পারবেন কিনা- তা নিয়ে শঙ্কা আছে।
শুরুর দুই উইকেট আর্চার শিকার করার পর মার্ক উডও তার শুরুর স্পেলেই সাফল্য দেখান। বোল্ড করেন শাই হোপকে।
৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাঞ্চে যায়। তখনো তারা ম্যাচ জয় থেকে ১৬৫ রান দূরে। রান খুব বেশি নয়। কিন্তু সাউদাম্পটনের শেষ দিনের উইকেট এবং ইংল্যান্ডের তেজি বোলিং জানাচ্ছে বড় বিপদে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।