তিন অসচ্ছল ফুটবলারকে তরফদার রুহুল আমিনের মানবিক সহায়তা
অদৃশ্য শত্রু করোনাভাইরাস শুধু মানুষকে ঘরবন্দী করেনি। সঙ্গে কেড়ে নিচ্ছে অনেক কিছু। প্রিয়জন, আয়-রোজগার ও জীবন যাত্রার স্বাভাবিক গতি। আর কত কি! মহাদুর্যোগের সেই ভয়াল ঢেউ এসে নড়বড়ে করে দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের আরিফ হাওলাদার, ফরিদপুরের রিপন ও খুলনার হাসান আল মামুনের ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন।
বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারীতে মাঠে খেলা নেই। আয় যতটুকু হতো সেটাও এখন বন্ধ। নেই হাতে জমানো টাকা। তাই তো বাধ্য হয়ে এই তিন ফুটবলার বাধ্য হয়েছেন নিজেদের জীবিকা পাল্টে ফেলতে। আরিফ বনে গেছেন রাজমিস্ত্রির সহকারী। রুটি-রুজির তাগিদে রিপন দিচ্ছেন ঝাড়ু। আর মামুন ইজিবাইকের চালকের আসনে বসেছেন পরিবারের দিকে তাকিয়ে। অথচ এই তিনজন ফুটবলার হয়ে কতশত স্বপ্নমালাই না গড়ে ছিলেন!
আরিফ-রিপন-মামুনের জীবনের এই করুণ কাহিনী ছুঁয়ে গেছে মহানুভব তরফদার মো. রুহুল আমিনের মন। তাই তো গণমাধ্যমে খবরটা পেয়ে আর দেরি করেননি, তাদেরকে চটজলদি ডেকে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের এ সভাপতি।
শুধু দেখা করে দুঃখ প্রকাশ করাই তার উদ্দেশ্য নয়। অসহায় তিন ফুটবলারের দিকে তরফদার মো. রুহুল আমিন বাড়িয়ে দিতে যাচ্ছেন মানবিক সহায়তার হাত। বাংলাদেশ যুব দল ও প্রিমিয়ার লিগের তিন ক্লাবে খেলা আরিফসহ দুঃস্থ এই খেলোয়াড়দের হাতে তুলে দিচ্ছেন তিনি অর্থ সাহায্য।
ফুটবলারদের মুখে হাসি ফোটাতে বাংলাদেশের আলোচিত ও সফল ক্রীড়া সংগঠক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘গণমাধ্যমে আরিফসহ কয়েকজন ফুটবলারের অসহায়ত্বের কথা জেনেছি। ওদেরকে ডেকেছি। বিকেলে তাদের আর্থিক সহায়তা দিব। তাদেরকে ফুটবল অনুশীলন চালিয়ে যেতে বলব। এবং আগামী মৌসুমে কোনো ক্লাবে খেলানোর ব্যবস্থা করব। পাশাপাশি যোগ্যতা অনুসারে তাদের জন্য চাকরির ব্যবস্থাও করব।’