২০২১ সালে বেঁচে থাকতে ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ সালে বড় ধরণের সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে এবং নতুনভাবে কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে ও বেঁচে থাকার জন্য ডিজিটালাইজেশন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তা প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়াও চলমান বৈশ্বিক মহামারি বিভিন্ন সামাজিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং দেশজুড়ে ডিজিটালাইজেশন প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলো গ্রহণের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে।

টেলিনর রিসার্চ সম্প্রতি প্রযুক্তি নিয়ে পাঁচটি পূর্বাভাস করছে যা চলতি বছর মানুষের পথচলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনে সহায়তা করবে। গ্রামীণফোন সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠানে টেলিনরের প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট এ পূর্বাভাসগুলো নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

নানা কারণেই ২০২০ সাল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। গত বছরটি ছিলো শতাব্দীর অন্যতম  প্রতিকূল সময়; একইসঙ্গে এ সময়ে বিশ্বজুড়ে ঘটেছে নানা পরিবর্তন। কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মানুষকে নিউ নরমাল বা নতুন এক জীবনধারণে  অভ্যস্ত করে তুলেছে।  টেলিনর গবেষণা যেটি টেক ট্রেন্ড নামে পরিচিত তার ষষ্ঠ সংস্করণে ২০২১ সালের প্রযুক্তি দুনিয়ার পূর্বাভাস হিসাবে: দূরশিক্ষণ ও কাজ এর জন্য প্রযুক্তির উদ্ভাবন , ইন্টারনেটে সুরক্ষা বিষয়ে শঙ্কা, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে আধিক্য একং একাকিত্ব ঘোচাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করেছে।   

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে টেলিনর রিসার্চের হেড বিয়র্ন তালে স্যান্ডবার্গ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গবেষণার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "বৈশ্বিক মহামারি আমাদের নতুন করে চিন্তা করতে শিখিয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে  প্রায়ই প্রতিটি খাতই এক সময় যা অসম্ভব বলে চিন্তা করা হতো সে বিষয়গুলো গ্রহণ করেছে। ২০২১ সালে বড় ধরণের সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে এবং নতুনভাবে কাজের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে ও বেঁচে থাকার জন্য ডিজিটালাইজেশন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে তা প্রমাণিত হয়েছে।" 

 

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, "বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে- এ বিষয়টি দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ডিজিটাল সেবাগুলো বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সময়ে আমাদের দেশের জনগণের সুরক্ষায়  ও অর্থনীতির গতিকে চলমান রাখতে দ্রুততার সাথে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশমালাগুলো গ্রহণ করা হয়েছিলো সেগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করেছে। মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সমাধান প্রদানে উদ্যোক্তা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের জন্য গবেষনার বিষয়গুলো ভবিষৎ কর্মপন্থা সঠিকভাবে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।"

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, "আমরা সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলাকে ত্বরান্বিত করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন সময়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে। আমাদের আচরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন  এসেছে। এই টেক ট্রেন্ডগুলো দেখাচ্ছে যে, প্রযুক্তি ও কানেক্টিভিটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করতে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির ভিত্তি তৈরি করবে একই সাথে গ্রিন টেক  এর মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে,  ইন্টারনেটে নিরাপদে থেকে   উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে। এই বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য আমরা রেগুলেটর, ইকোসিস্টেম পার্টনার, উদ্ভাবক ও পলিসি মেকারদের সাথে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।"  

টানা ছয় বছরের মতো স্যান্ডবার্গ ও টেলিনর রিসার্চ টিম গত বছর বিশ্লেষণ করে ২০২১ সালের পাঁচটি টেক ট্রেন্ডর বিষয় নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছেন:  

ট্রেন্ড ১: মানসিক স্বাস্থ্যজনিত অসুস্থতা মোকাবিলায় প্রযুক্তির ব্যবহার

কোভিড-১৯ মানুষের মাঝে বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বের বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে, যা নতুন এক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বিচ্ছিন্নতা মানুষকে বিষন্নতা ও উদ্বিগ্ন করে তোলে। 

স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘২০২০ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে, নিঃসঙ্গতা জনস্বাস্থ্যের একটি মৌলিক সমস্যা। এটি এমন একটি স্বাস্থ্য সমস্যা, যা মোকাবিলায় ২০২১ সালে প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের প্রয়োজন পড়বে। আমরা অনুমান করছি যে, ই-হেলথ খাত মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আসবে যা এখাতে সেবার বিকাশ ঘটাবে। পুরোপুরি ফাইভজি বাস্তবায়নকারী দেশগুলোতে আমরা সম্ভবত হলোগ্রাফিক কমিউনিকেশন টুল হিসেবে অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল  রিয়েলিটি’র ব্যবহার দেখতে পাবো আগামী বছরের মধ্যে।’

এছাড়াও ২০২১ সালে নতুন প্রজন্মের চ্যাটবটের আবির্ভাব ঘটবে। যারা নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন তাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হবে। কৃত্তিমবুদ্ধিমত্তা নির্ভর এই ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রশ্নের উত্তর প্রদান, কল করার সুবিধা, বিনোদন প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে যা সংযুক্ত থাকার অনুভূতি প্রদান করবে।

ট্রেন্ড ২: গ্রিন টেকের জন্য একটি ডিজিটাল বসন্ত

স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘মহামারি অতীব প্রয়োজনীয় জলবায়ুবান্ধব কার্যকলাপের সূত্রপাতের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বের সব সরকার জলবায়ু আইন কার্যকর করার মাধ্যমে ২০২১ সালের সবুজ পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করতে ২০২০ সালে প্রাপ্ত গতি কাজে লাগাবে।’

সারা পৃথিবীর শহরগুলিতে ডেটা সেন্টার এবং মোবাইল বেস স্টেশনগুলোতে জ্বালানি খরচ সাশ্রয়ের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করবে। এমন পদক্ষেপ বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তিকে আরও অনুমানযোগ্য করবে এবং পরিবহণের অনুকূলকরণ ও বায়ুর গুণমান পূর্বাভাসের মাধ্যমে 'স্মার্ট' শহর তৈরিতে সহায়তা করবে। যখন আল্ট্রা-স্মল এবং আল্ট্রা-লো পাওয়ারড ড্রোনগুলি চিত্র-প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে জলবায়ু-উন্মুক্ত অঞ্চলগুলির ড্রোন পর্যবেক্ষণকে সম্প্রসারণ করতে আকাশে উড়তে শুরু করবে, তখন টাইনি মেশিন লার্নিং (টাইনিএমএল) নামে পরিচিত এআই-চালিত মাইক্রো আইওটি ডিভাইস অপারেশন শুরু করবে। যেসব কৃষকদের কৃষি শ্রমিক খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাদের সহায়তায় শহরের বাইরে নতুন অটোনমাস মডুলার রোবট ক্ষেতে কাজ করবে। মেশিনের মাধ্যমে আগাছা পরিস্কারের পদ্ধতি কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনবে, ফলে কৃষিকাজের পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস পাবে।

ট্রেন্ড ৩: পাসওয়ার্ড আতংক:  সাইবার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হবে

২০২১ সালে যারা সঠিক পাসওয়ার্ড ব্যাবহারের সমাধান সম্পর্কে অবগত নন বা যারা কঠোর ডিজিটাল হাইজিন বজায় রাখছেন না তারা 'পাসওয়ার্ড আতঙ্ক' নামক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন। যখন নিয়ে আপনার মন আবারো পাসওয়ার্ড ব্ল্যাঙ্কের মতো পরিস্থিতর সামনে পরে যায়, তখন এমন প্রচণ্ড হতাশার একটি অনুভূতি তৈরি হয়। প্রতি তিন মাস অন্তর আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন এবং পাসওয়ার্ড পুনরায় ব্যবহারের সাধারণ পরামর্শ এই পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তোলে।  স্যান্ডবার্গ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, "যেহেতু কর্মীরা তাদের লগইন ডিটেইলস মনে রাখার জন্য মূল্যবান সময় নষ্ট করেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ব্যবহারকারী-বান্ধব সুরক্ষা সমাধানের বৃহত্তর বাস্তবায়ন দেখার প্রত্যাশা করি। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার সুবিধা বা আইরিস এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং সমাধান আরও বেশি প্রচলিত হবে, যার মাধ্যমে দক্ষতা, সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং শ্রমিকদের ঝামেলার একটি কারণ কমে যাবে।"

ট্রেন্ড ৪: কর্ম ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ হবে

২০২০ সালে অনেক কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করেছেন। এই বিস্ময়কর এবং হঠাৎ রূপান্তর নির্বিঘ্নে ঘটেছে, যার ফলে চিরদিনের জন্য এটা নিশ্চিত হয়েছে যে কানেক্টিভিটি এবং সঠিক ডিজিটাল টুলসের মাধ্যমে যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় কাজ সম্পাদন করা যাবে। এই রুপান্তর কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা তৈরি করবে, বিশেষত বাড়ি বা অন্য স্থান থেকে নিয়মিতভাবে কাজ করার ব্যাপারে এবং কাজ ও জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়ে। শ্রমিকরা এমন সুযোগসুবিধাও প্রত্যাশা করে যার মাধ্যমে যেকোন জায়গায় তারা কাজ করতে পারবেন। আজকের কফি শপগুলো যদি আগামীকালের সভাকক্ষে পরিণত হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু  থাকবে না।

"২০২১ সালে আমরা আশা করি অনেক প্রতিষ্ঠান অফিসের বাইরেও কর্মীদের কাজ সম্পাদনের ব্যাপারে আরো নমনীয়তা প্রদর্শন করবে। ভবিষ্যতের কাজের পদ্ধতির জন্য উপযুক্ত প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিশ্চিত করতে পরিচালকরা কর্মীদের সাইবার সুরক্ষা ও ডিজিটাল হাইজিন, ডিজিটাল টুলস এবং প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কিত দক্ষতা বৃদ্ধির উপর আরো জোর দেবে", বলেন  স্যান্ডবার্গ। 

ট্রেন্ড ৫: শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবধান নিয়ে ভাবনা

যদিও কোভিড-১৯ লকডাউন ডিজিটাল শিক্ষার বিস্তারে এনং নতুনত্ব সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করলেও বৈশ্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যবধান কমাতে লকডাউন বিশেষ ভুমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ শিশু এবং তরুণ ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে পড়াশোনা ঠিকমতো চালিয়ে যেতে পারেনি। ২০২১ সালে আমরা দ্রুত অগ্রগামী ভার্চুয়াল শিক্ষার ক্ষেত্র থেকে উদ্ভাভিত দূরবর্তী, ডিজিটাল শিক্ষার নতুন এবং সৃজনশীল পদ্ধতির  একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতা দেখতে পাবো। নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস এবং ইন্টারনেট-সক্ষম ডিভাইস আছে এমন সবাই এই ডিজিটাল যাত্রায় অংশ নিতে পারবেন এবং এর সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। কানেক্টিভিটি ছাড়া মানুষরা বঞ্চিত হবেন।

   

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;