শাওমি বাংলাদেশে আনল মি নোটবুক এবং রেডমিবুক সিরিজের ল্যাপটপ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শাওমি বাংলাদেশে আনল মি নোটবুক এবং রেডমিবুক সিরিজের ল্যাপটপ

শাওমি বাংলাদেশে আনল মি নোটবুক এবং রেডমিবুক সিরিজের ল্যাপটপ

  • Font increase
  • Font Decrease

শীর্ষ গ্লোবাল টোকনোলজি ব্র্যান্ড শাওমি বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো তাদের দুটি নতুন সিরিজের ল্যাপটপ উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে। শাওমি তার বিশ্বস্ত ফ্যানদের জন্য আনছে মি নোটবুক সিরিজের পাশাপাশি রেডমিবুক ১৫ সিরিজের ল্যাপটপ।

মি নোটবুক আল্ট্রা এবং মি নোটবুক প্রো অতুলনীয় গতি, পারফরম্যান্স এবং মিডিয়া এক্সপেরিয়েন্স দেবে। কাটিং-এজ প্রযুক্তির সমন্বয়ে ল্যাপটপগুলো ডিজাইন করা হয়েছে সহজেই অধিক উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দিতে এবং পাওয়ার ইউজারদের জন্য।

সুপার লাইফ রেডমিবুক ১৫ সিরিজটিতে রয়েছে আকর্ণষীয় সব ফিচার ও আধুনিক ডিজাইন, স্টাডি বিল্ট কোয়ালিটি এবং অপ্টিমাইজ স্পেসিফিকেশন। এটি আসছে ১৫.৬ ইঞ্চির এফএইচডি ডিসপ্লে, ১১ জেন ইন্টেল কোর প্রসেসরের সঙ্গে ৮ জিবি ডিডিআর৪ ৩২০০ মেগাহার্জ র্যা মের সমন্বয়ে। ১১ ঘণ্টার সারা দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ, দেবে মাল্টিটাস্কিং এবং স্বপ্ন পূরণে আরও অনেক কিছু।

শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শুরু থেকেই শাওমি বাংলাদেশে সর্বশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন আনতে কাজ করছে। আমাদের বিশ্বস্ত ফ্যানদের জন্য শাওমি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে ল্যাপটপ সিরিজ আনতে পেরে খুব আনন্দিত। মি নোটবুক ও রেডমিবুক ১৫ সিরিজের ল্যাপটপগুলোর মাধ্যমে আমাদের পোর্টোফলিও আরও সমৃদ্ধ করেছি আমরা। বাজারে আমাদের প্রথম ল্যাপটপ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে পারফরম্যান্স এবং দক্ষতার সমন্বয়ে ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য অর্জনে আরও শক্তিশালী করে তুলছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘মি নোটবুক সিরিজ ল্যাপটপ আসছে টপ অব দ্য লাইন স্পেসিফিকেশনে, যাতে থাকছে অ্যারোস্পেস গ্রেড সিরিজ ৬ অ্যালুমিনিয়াম বডি, সঙ্গে মি ট্রুলাইফ প্লাস এবং ট্রুলাইফ ডিসপ্লে যাতে পাওয়া যাবে অনুপ্রেরণাদায়ক, প্রাণবন্ত, লাইফ-লাইক ভিজ্যুয়াল, সারা দিন ব্যাটারি ব্যাকআপ, টাইপ-সি ফাস্ট চার্জিং এবং ব্যাকলিট কি-বোর্ডের সঙ্গে থান্ডারবোল্ট ৪। সেই সঙ্গে পারফরম্যান্সের সব সীমা ভেঙে দেবে এর আল্ট্র লাইট এবং পোর্টেবল ক্যাটেগরি। সঙ্গে আরও থাকছে ১১ প্রজন্মের ইন্টেল কোর প্রসেসর, ইন্টেল আইরিশ এক্সই গ্রাফিক্সসহ অত্যাধুনিক সব ফিচার, ১৬ জিবি ডিডিআর৪ র্যা ম এবং ৫১২ জিবি এনভিমি এসএসডি স্টোরেজ।’ 

‘এ ছাড়া এতে থাকা ১১ জেনারেশনের ইন্টেল কোর প্রসেসর, প্রিমিয়াম ডিজাইন এবং অনবদ্য পারফরম্যান্স আধুনিক কাজের জন্য বা লার্নিং স্টাইলের জন্য যারা পারফেক্ট ল্যাপটপ খুঁজছেন তাদের জন্য সবকিছুর সল্যুশন হবে। আমাদের প্রত্যাশা আমাদের গ্রাহক ও ফ্যানরা শক্তিশালী ল্যাপটপটির মাধ্যমে আরও অগ্রসর হতে পারবেন।’

ল্যাপটপগুলো আজ (সোমবার) থেকে বাংলাদেশে শাওমির অথরাইজড স্টোর এবং রিটেইল চ্যানেলে পাওয়া যাবে। মি নোটবুক আল্ট্রার দাম ৯৬,৯৯৯ টাকা। মি নোটবুক প্রোর দাম ৭৭,৯৯৯ টাকা। রেডমিবুক ১৫ প্রো'র দাম ৫৯,৯৯৯ টাকা এবং রেডমিবুক ১৫ এর দাম ৪৯,৯৯৯ টাকা।

মি নোটবুক আলট্রা

আধুনিক, ধাতব এবং মিনিমালিস্টিক ডিজাইন

মি আলট্রা ল্যাপটপ আধুনিক এবং আকর্ষনীয় লুকের পাশাপাশি এর ইউনিবডি ডিজাইনের জন্য শক্তি এবং বহনযোগ্যতার ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি সিএনসি মেশিন দ্বারা নিখুঁত ভাবে খোঁচিত সিরিজ ৬ অ্যালুমিনিয়ামের একটি একক ব্লক দ্বারা তৈরী, যা একটি বিমান গ্রেড ধাতু খাদ। বডি চ্যাসিস টিকে উজ্জ্বল ধূসর রঙের ফিনিশিং দেওয়ার জন্য স্যান্ডব্লাস্টিং এবং অ্যানোডাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেওয়া হয়। পুরো ল্যাপটপের ওজন মাত্র ১.৭ কেজি এবং এটি ১৭.৯ মিমি পুরু হওয়ায় ল্যাপটপটি মসৃণ এবং বহন করা খুবই সহজ হবে।

মি ট্রু-লাইফ+ ডিসপ্লে

ল্যাপটপের ডিসপ্লে প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে মি নোটবুক আল্ট্রাতে আছে মি এর নতুন ট্রু-লাইফ+ ফিচার, যা আপনাকে দিবে আশ্চর্যজনক ভিজ্যুয়ালের অভিজ্ঞতা। এটি ১০০% এসআরজিবি কালার গামুট কভার করে যা ছবি, ভিডিও এবং গেমস গুলিকে জীবন্ত করে তোলে। এটি একটি আইপিএস প্যানেলের সাথে আসায় ৮৯% এরও বেশি বডি অনুপাতের একটি স্ক্রিন যাতেআছে ২৪২ পিপিআই এর ক্লাস নেতৃস্থানীয় পিক্সেল ঘনত্ব।

কর্মক্ষমতা এবং ব্যাটারি

মি  নোটবুক  আল্ট্রা লেটেস্ট  ১১ জেন ইন্টেল কোর আই-৭ এবং আই-৫ এইচ-৩৫  সিরিজের  প্রসেসর দ্বারা চালিত হয় যা ইন্টেলের ১০ ন্যানোমিটার  সুপারফিন প্রক্রিয়া প্রযুক্তিতে নির্মিত - এই প্রসেসরগুলি গত প্রজন্মের তুলনায় আরও শক্তিশালী এবং আরও দক্ষ। আই ৭-১১৩৭০এইচ  এর ৪ টি কোর রয়েছে যা ৮ টি থ্রেড  পর্যন্ত মাল্টি-থ্রেডিং সমর্থন  করে এবং ৩৫ ওয়াট এর টিডিপিতে কাজ করার সময়  সর্বোচ্চ ৪.৮ গিগাহার্টজ পর্যন্ত কর্মক্ষম। এটি মাইক্রোসফ্ট অফিস স্যুটের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে বর্ধিত উত্পাদনশীলতার কর্মক্ষমতা এবং মাল্টি-টাস্কিং সক্ষম করে।

সারাদিন ব্যবহারের জন্য মি নোটবুক আল্ট্রাতে আছে একটি বড় ৭০ ওয়াট আউয়ার ব্যাটারি, যা ১২ ঘন্টা পর্যন্ত ল্যাপটপটিকে সচল রাখতে পারে। এছাড়াও, থাকছে ৬৫ওয়াটের ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার যা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ০ থেকে ৫০% পর্যন্ত চার্জ করতে সক্ষম।

প্রোডাক্টিভিটি এবং কানেক্টিভিটি

মি নোটবুক আল্ট্রাতে থাকছে তিনটি স্তরের আলোকসজ্জ্বার ব্যাকলিট কীবোর্ড । প্রতিটি কী ১.৫মিমি গভীরে নির্দিষ্ট দূরত্বের সাথে একটি অবতল বাঁকা শীর্ষের সাথে থাকায় স্পর্শকাতর প্রতিক্রিয়া সহ টাইপিংকে সহজ এবং আরও নির্ভুল করে তোলে। এটিতে থাকছে একটি বড়, আরামদায়ক ট্র্যাকপ্যাড যা পূর্ববর্তী মি নোটবুক ১৪ সিরিজ প্রজন্মের তুলনায় ৬২% বেশি জায়গা সরবরাহ করে। ট্র্যাকপ্যাডটি উইন্ডোজ প্রিসিশন ড্রাইভারগুলিকে সমর্থন করে যা বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং কমান্ডের শর্টকাটগুলির জন্য জেশ্চার এবং মাল্টি-ফিঙ্গার ট্যাপ সমর্থন করে।

মি নোটবুক আল্ট্রা সর্বশেষ ওয়্যারলেস সংযোগ বিকল্পগুলি সরবরাহ করে: ওয়াই-ফাই ৬ এবং ব্লুটুথ ৫.১। অতিরিক্ত নিরাপত্তা এবং সুবিধার জন্য, এতে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার যা উইন্ডোজ হ্যালো সমর্থন করে এবং দ্রুত, নিরাপদ এবং সহজ লগইনের জন্য এটি পাওয়ার বোতামের মধ্যে এম্বেড করা হয়েছে।

মি নোটবুক প্রো

মি নোটবুক প্রোতেও আছে শক্তিশালী এয়ারক্রাফ্ট গ্রেডের ধাতু খাদ সিরিজ ৬ অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয় চ্যাসিস৷ এই ইউনিবডি ডিজাইনটি এটিকে মাত্র ১৭.৩মিমি পাতলা এবং ১.৪ কেজি ওজনের হতে সক্ষম করে তুলেছে। কম্প্যাক্ট আকারের হওয়ার পরেও এর জেস্টারের একটি বড় ১২৫ মিমি x ৮১.৬ মিমি ট্র্যাকপ্যাড সরবরাহ করে। কীবোর্ডটি ১.৩ মিমিঃ-এর আরামদায়ক যার সাথে থাকছে সিসোর সুইচ। ব্যবহারকারীরা পাওয়ার বোতামের মধ্যে এম্বেড করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারের সাহায্যে দ্রুত এবং নিরাপদ লগইনও উপভোগ করতে পারবে।

মি নোটবুক প্রোতে থাকছে একটি ১৪-ইঞ্চি ২.৫কে (২৫৬০x১৬০০) বা কিউএচডি+ স্ক্রীন যা অবিশ্বাস্য তীক্ষ্ণতা দেয় এবং ৮৮% স্ক্রিন-টু-বডি অনুপাতের সাথে একটি নিমজ্জিত দেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি ৫% অতিরিক্ত উল্লম্ব রিয়েল এস্টেটের জন্য একটি ১৬:১০ অ্যাসপেক্ট অনুপাতের সাথেও আসে যা বর্ধিত উত্পাদনশীলতা সক্ষম করে।

এই ল্যাপটপটি মাইক্রোসফট অফিস স্যুটের মতো প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে মসৃণ- মাল্টিটাস্কিং এবং হেভি-ডিউটি পারফরম্যান্স সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়, যেহেতু এটি সর্বশেষ ১১ তম জেনেরেশনের ইন্টেল® কোর™ আই৫ এবং আই৭ টাইগারলেক এইচ ৩৫ প্রসেসরগুলি প্যাক করে যা ৪.৮ গেগাহার্জ পর্যন্ত কার্যক্ষম, যা শীর্ষ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। এটি ৩২০০ মেগাহার্টজ-এর ১৬ গিগাবাইট ডিডিআর-৪ রাম এর  সাথে যুক্ত এবং একটি সুপার স্ন্যাপি অভিজ্ঞতার জন্য ৫১২ গিগাবাইট পর্যন্ত এনভিএমই এসএসডি স্টোরেজ সমর্থন করে।

মি নোটবুক আল্ট্রা এবং মি নোটবুক প্রো উভয়ই উইন্ডোজ ১১ দ্বারা চালিত। এতে লাইসেন্সকৃত এমএস অফিস প্যাকেজ প্রিলোডথাকবে।

রেডিমিবুক ১৫ প্রো

ডিজাইন এবং ডিসপ্লে

রেডমিবুক হলো কীভাবে ছোট ডিজাইনের পরিবর্তনগুলি একটি বিশাল প্রভাব ফেলতে পারে তার একটি নিখুঁত উদাহরণ। ল্যাপটপটি একটি পুরোপুরি সুষম চেসিসের সাথে সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা একটি স্বতন্ত্র কাটআউট দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীদের একক আঙ্গুল দিয়ে এটি খুলতে সক্ষম করে। এটি আকর্ষণীয় মসৃণ, পাতলা, এবং হালকা ফর্ম ফ্যাক্টর বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং ১৯.৯ মিমি পাতলা ও ওজন মাত্র ১.৪ কেজি।

নতুন ল্যাপটপের পরিসীমাটি একটি নিমজ্জিত ১৫.৬ “ ফুলএইচডি ডিসপ্লে দিয়ে প্যাক করা হয়, এটি একটি উন্নত কাজের অভিজ্ঞতার জন্য একটি আদর্শ আকার তৈরি করে। উপরন্তু, প্রতিফলন এড়াতে এবং একটি উজ্জ্বল পরিবেশে বা সরাসরি আলোর উৎসের অধীনে কাজ করার সময় আপনার চোখের উপর চাপ কমাতে, এই নোটবুকগুলি একটি অ্যান্টি-গ্লেয়ার লেপ দিয়ে আসে। একটি ১৯২০x১০৮০ পূর্ণ এইচডি রেজোলিউশন এবং সংকীর্ণ বেজেল সমন্বিত, রেডিমিবুক একটি  স্পষ্ট দেখার অভিজ্ঞতার জন্য একটি চিত্তাকর্ষক ৮১.৮% স্ক্রিন-টু-বডি অনুপাত সরবরাহ করে।

কর্মক্ষমতা এবং ব্যাটারি

প্রোডাক্টিভিটি ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজাইন করা রেডিমিবুক প্রো সর্বশেষ ১১তম জেন টাইগারলেক ইন্টেল ® কোর™ আই৫ এইচ-৩৫ সিরিজ প্রসেসর, ১১৩০০এইচ এর সাথে আসে । এই দ্রুত প্রসেসরের পরিপূরক হিসাবে, আমরা এর সাথে যুক্ত করেছি দ্রুত ৩২০০ মেগাহার্টজ ৮ জিবি ডিডিআর-৪   রাম এবং ৫১২ গিগাবাইট এনভিএমই  এসএসডি, যার ফলে সুপার-ফাস্ট বুট-আপ, জাগানো এবং ফাইল ট্রান্সফার হয়।

একটি ৪৬ ওয়াট আউয়ার ব্যাটারি সহ, রেডিমিবুক সারা দিনের পারফরম্যান্সের ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। বক্সের বাইরে একটি ৬৫ ওয়াট চার্জার দিয়ে, ব্যবহারকারীরা মাত্র ৩৫ মিনিটের মধ্যে ০ থেকে ৫০% পর্যন্ত তাদের নোটবুকটি পাওয়ার করতে পারে।

প্রোডাক্টিভিটি এবং কানেক্টিভিটি

রেডিমিবুক একটি আরামদায়ক এবং আরামপ্রদ স্পেসযুক্ত সিসোর প্রক্রিয়ার কীবোর্ড ব্যবহার করে। কীগুলির ১.৫ মিমি একটি গভীর ভ্রমণ দূরত্ব রয়েছে যা টাইপিংকে অনেক সহজ করে তোলে এবং কেবল সঠিক স্পর্শকাতর প্রতিক্রিয়া সক্ষম করে। উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ব্রাউজিং সহজ এবং আরো সুবিধাজনক করার জন্য আছে ১০০ বর্গ-সেমিঃ বড় ডিজাইনের ট্র্যাকপ্যাড।

রেডিমিবুক ১৫

রেডিমিবুক ১৫ বিশেষত তৈরি করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য। তারা হতে পারে স্কুলগামী ছাত্র অথবা কলেজ-গামী তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক, বা অফিসগামী কর্মীও হতে পারে। প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি বাসায় বসে যেকোনো বিষয়ে শিক্ষালাভ কিংবা ওয়ার্ক ফ্রম হোম- সকল কাজেই এই ল্যাপটপ একটি উপযুক্ত সঙ্গী।

আকর্ষণীয় নকশা ও একই বৈশিষ্ট্যযুক্ত, রেডমি ই-লার্নিং সংস্করণটি সর্বশেষ ১১তম জেনারেল টাইগারলেক ইন্টেল® কোর™ আই থ্রি প্রসেসর, ৪.১ গিগাহার্জের ক্লক স্পিডের সাথে ১১১৫জি৪ এর সাথে প্যাক  করা হয়, যা ল্যাগ-ফ্রি কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। এটিতে ৮জিবি ডিডিআর৪ র্যাম ও ২৫৬জিবি সাটা এসএসডি ব্যাবহার করা হয়েছে। ল্যাপটপটিতে হোম অভিজ্ঞতা থেকে কাজ করার জন্য একটি ৭২০পি এইচডি ওয়েবক্যাম দেওয়া হয়েছে।

দুটি রেডমিবুক ল্যাপটপই উইন্ডোজ ১১-এ আউট অফ দ্যা বক্সে চলবে। এটি একটি লাইসেন্সযুক্ত এমএস অফিস প্যাকেজের সাথে প্রি-লোডেড। এছাড়া, এটি আউট অফ দ্যা বক্স প্রোডাক্টিভিটি পাওয়ারহাউস তৈরি করে।

   

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;