৩ ক্যামেরার আইফোনে যা থাকছে

  • টেক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অ্যাপল আইফোন-১১প্রো, ছবি: সংগৃহীত

অ্যাপল আইফোন-১১প্রো, ছবি: সংগৃহীত

অ্যাপলের ইভেন্ট মানেই প্রযুক্তির সর্বশেষ আপডেট এবং ফিচারের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তারই ধারাবাহিকতায় অ্যাপল নতুন আইপ্যাড, আইফোন এবং ওয়াচ অবমুক্ত করেছে। তবে স্মার্টফোনে তিন ক্যামেরা সেটআপের দিক দিয়ে হয়ত অ্যাপল পিছিয়ে। কিন্তু আইফোন-১১ প্রো’র তিন ক্যামেরা সেটআপের হাই কোয়ালিটি পারফরমেন্স আইফোন প্রেমীদের হতাশ করবে না।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক আইফোন-১১ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সে কী কী থাকছে-

বিজ্ঞাপন

ডিসপ্লে

আইফোন-১১ প্রো তে ৫.৮ এবং প্রো ম্যাক্সে ৬.৫ বড় পর্দার ‘সুপার রেটিনা এক্সডিআর’ ওএলিডি ডিসপ্লে রয়েছে। ফোনের পেছনে জুড়ে থাকছে নতুন ম্যাট ফিনিশিং ব্যাক প্যানেল। যা ধুলাবালি থেকে অক্ষত রাখবে আপনার আইফোনের সৌন্দর্যকে।

বিজ্ঞাপন

ক্যামেরা

নতুন আইফোন-১১ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের ব্যাক প্যানেলে দেখা যাবে বহুল আলোচিত ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যা শুরু থেকেই অনেক প্রযুক্তি বিষয়ক সাইটে দৃষ্টিকটু ক্যামেরা বাম্প বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অ্যাপল তাদের আইফোনে উন্নত প্রযুক্তির শক্তিশালী ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ ইউজারদের দিতে পেরে সন্তুষ্ট।
তিনটি লেন্সের মধ্যে ১টি ১২ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, টেলিফোটো এবং ১২০ ডিগ্রি আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। যা দিয়ে পেশাদার ভিত্তিক ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও ধারণ করা যাবে। এছাড়া 4k রেজুলেশনে ৬০ ফ্রেম পার সেকেন্ড ভিডিও ধারণ করা যাবে।
এছাড়াও ক্যামেরা ফিচারের মধ্যে রয়েছে, প্রফেশনাল কালার গ্রেডিং, অটো ফোকাস, টেম্পারেচার এবং ৪ক্স অপটিক্যাল জুম।

সিনেম্যাটিক স্ট্যাবলাইজেশন

ভিডিও ধারণে কাঁপুনি রোধে ব্যবহার করা হয়েছে ‘সিনেম্যাটিক স্ট্যাবলাইজেশন’ প্রযুক্তি। ভিডিও এডিটিং করার জন্য অ্যাপলের বিল্ট-ইন অ্যাডভান্সড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার রয়েছে।

আইফোন-১১ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের বিশেষত্ব

অ্যাপল দাবি করছে, এই দুটি ডিভাইসে কম ব্যাটারি লাইফ খরচ করে বিশেষ ভাবে দ্রুত গতির পারফরমেন্স নিশ্চিত করা হয়েছে। যা এ পর্যন্ত অন্য কোনো স্মার্টফোন পারেনি। এছাড়া আইফোন প্রো আইফোন এক্সেএস থেকে ৫ ঘণ্টা বেশি ব্যাটারি লাইফ দেবে।

এ১৩ বায়োনিক চিপসেট
স্মার্টফোন জগতে দ্রুতগতির পারফরমেন্স এবং শক্তিশালী সিপিইউ/জিপিউ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন আইফোনে এ১৩ বায়োনিক চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে।
আইফোন-১১ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সে ম্যাশিন লার্নিং প্রসেস ৬ গুণ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে পারবে।
শক্তিশালী এ ১৩ বায়োনিক চিপসেট প্রতি সেকেন্ডে ১ ট্রিলিয়নের বেশি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। যা এ পর্যন্ত অন্য কোনো স্মার্টফোন পারেনি। এক কথায় আধুনিক ফিচার এবং সবচেয়ে দ্রুতগতির পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে নতুন আইফোন। আর লো পাওয়ার ডিজাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ফোনের দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করা হবে।

দাম

আগামী শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে আইফোন প্রি-অর্ডার করতে পারবে গ্রাহকরা এবং ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারে দেখা মিলবে নতুন আইফোনের। আইফোন-১১ প্রো এবং প্রো ম্যাক্সের বাজারমূল্য যথাক্রমে ৯৯৯ এবং ১০৯৯ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৩ হাজার  এবং ৯২ হাজার টাকা।