‘আমাদের ৯০ মিলিয়ন ইন্টারনেট কানেকটিভিটি রয়েছে’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্লকচেইন টেকনোলজির সেমিনারে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও নসরুল হামিদ, ছবি: সুমন শেখ

ব্লকচেইন টেকনোলজির সেমিনারে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও নসরুল হামিদ, ছবি: সুমন শেখ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘আমাদের ৯০ মিলিয়ন ইন্টারনেট কানেকটিভিটি রয়েছে। দ্রুতই এ হার বাড়ছে। আগামীতে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর আমরা। আমরা আশা করছি, আইসিটি বিভাগ সফল হবে।’

‘ক্রিটিক্যাল ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। ক্রিটিক্যাল ডেটার তালিকায় রয়েছে পাসপোর্ট, ইমিগ্রেশন, ব্যাংক ও সিভিল এভিয়েশন,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন
palak
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ছবি: সুমন শেখ



সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ব্লকচেইন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

পলক বলেন, ‘ভূমি মিউটেশন এবং রেকর্ড ডিজিটালাইজড করার জন্য আমরা সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি।’

এ সেমিনারে বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ বিভাগ ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। সেবা আরও সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। ডেটা বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে। তবে আমাদের লোকজনের মাইন্ড সেটের কারণে দ্রুত আগানো কঠিন। প্রযুক্তির সমন্বিত ব্যবহার উন্নয়নের গতি তরান্বিত করবে। আধুনিক প্রযুক্তি দাফতরিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় পরিহারে সহায়তা করে। সর্বস্তরে তাই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’

nasrul
বক্তব্য দিচ্ছেন নসরুল হামিদ, ছবি: সুমন শেখ

 

বিজ্ঞাপন

‌বিকেন্দ্রিক, স্বচ্ছ ও অপরিবর্তনীয় প্রযুক্তির জন্য ব্লকচেইনের গ্রহণযোগ্যতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ব্লকচেইন প্রযুক্তি কার্যকর অবদান রাখবে। যে কোনো নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট ও এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশ মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘কলকাতা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মতো। এ দূরত্বে ১০০ ডলার পাঠাতে পাঁচ থেকে সাত দিন লেগে যায়। খরচ পড়ে সাত থেকে আট শতাংশ। বাংলাদেশ বর্তমানে ১৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার রেমিটেন্স আয় করছে। যা পুরোপুরি কাগজ নির্ভর। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২ শতাংশ খরচ হয় পাঠানোতে। এতে বছরে টাকা পাঠাতেই প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। তথ্য সংরক্ষণ করার নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতির নাম ব্লকচেইন টেকনোলজি। বিকেন্দ্রীকরণ, স্বচ্ছ এবং অপরিবর্তনীয় প্রযুক্তি হওয়ায় ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে, সাশ্রয়ে এবং নিরাপদে আর্থিক লেনদেন সম্ভব।’