৫জি’র আট বাণিজ্যিক ব্যবহার
৫ম প্রজন্মের ওয়্যারলেস সিস্টেম, সংক্ষেপে ৫জি। এটি হচ্ছে উন্নত প্রযুক্তির ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক। এই প্রযুক্তি দিয়ে আট ধরনের বাণিজ্যিক ব্যবহার করা যাবে।
এর মধ্যে রয়েছে, পণ্যের গুণগত মান বাড়াতে স্মার্ট কারখানার জন্য ক্লাউড পর্যবেক্ষণ, খনি ও বন্দরগুলির জন্য ক্লাউড অপারেশন্স, নিরাপদ সড়ক ও সেতুগুলির জন্য ক্লাউড ভিডিও, আধুনিক গুদামঘরের নিয়ন্ত্রণের জন্য আন্তঃমেশিনের যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্লাউড গেমিং, ক্লাউড ভিআর, ৪কে/৮কে ভিডিও এবং ক্লাউড থেকে সরাসরি সম্প্রচার।
এ মাসে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ১০ম গ্লোবাল মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম আয়োজনে ৫জি’র বাণিজ্যিক ব্যবহারের ওপর হুয়াওয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৫জি গবেষণা এবং স্থাপনা, শিল্প অংশীদার ও নেটওয়ার্ক অপারেটরদের অনুশীলনের ভিত্তিতে প্রকাশিত এই রিপোর্টে আটটি বিভাগে ৫জি’র বাণিজ্যিক ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী অটোমেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বাজারের আকার ১৫৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমান করা হয়েছিল, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বিশ্বের শিল্পকারখানা নির্মাতাদের ৭৯ শতাংশই নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে ৫জি নির্ভর কারখানায় বিনিয়োগের পরিকল্পনা করবেন।
কারখানায় ব্যবহৃত ক্লাউড মেশিনগুলি উৎপাদিত পণ্যের ত্রুটি শনাক্ত করবে। এই প্রক্রিয়া ত্রুটিযুক্ত পণ্যের জন্য আর্থিক ব্যয় রোধ করবে। যার মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৩০ শতাংশ হ্রাসের পাশাপাশি মেশিন বিকল হওয়ার সম্ভাবনাও ৭০ শতাংশ হ্রাস করতে সাহায্য করবে।
৫জি পরিচালিত রিমোট দিয়ে একজন ব্যক্তি একই সময়ে ৪টি থেকে ৬টি ক্রেন পরিচালনা করতে পারে। খনির কাজ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অটোমেশন-নির্ভর করতে এই প্রযুক্তি সুযোগ দেবে।
হুয়াওয়ে তার অংশীদার এবং নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সাথে যুক্ত হয়ে ৫জি’কে উদ্ভাবনী ও প্রায়োগিক ব্যবহার উপযোগী করেছে এবং এরই মধ্যে বহুমুখী শিল্পখাতের বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হুয়াওয়ের প্রোডাক্ট ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রোডাক্ট বিভাগের সিএমও রিচি পেং।