বিটিআরসি’র ৩০ মার্চের গণশুনানি স্থগিত
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে টেলিযোগাযোগ সেবা সম্পর্কিত ৩০ মার্চের পূর্বনির্ধারিত গণশুনানি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এটি ছিল বিটিআরসি’র এ ধরণের তৃতীয় গ্রাহক শুনানি। মূলত টেলিযোগাযোগ সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি অভিযোগ এবং মতামত বা সুপারিশ শুনতেই বিটিআরসি এ ধরনের আয়োজন করে।
এর আগে গত বছর এবং তারও আগে ২০১৬ সালে প্রথম গণশুনানির আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিটিআরসি’র সিনিয়র সরকারি পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন খান জানান, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এবং স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পূর্ব ঘোষিত গণশুনানি স্থগিত করা হলো।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্তের আলোকে গণশুনানির পরবর্তী তারিখ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে, বলেও জানান তিনি।
এর আগে বিটিআরসি গণশুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্যে অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। সেখানে বেশ কয়েকশজন আগ্রহী নিবন্ধন করেছেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যখন আবার শুনানি হবে তখন নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে নাকি আগের নিবন্ধনেই চলবে সেটি অবশ্য নিশ্চিত করা হয়নি।
গত বছর ২০২ জন নিবন্ধন করলেও শেষ পর্যন্ত ১৬৫ জনকে অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ করে বিটিআরসি। যদিও শেষ পর্যন্ত অংশ নিয়েছিলেন একশ’র মতো গ্রাহক।
আর প্রথমবার অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলো ১ হাজার ৫০ জন। তবে অভিযোগ জানাতে ডাক পেয়েছিলেন ৪২০ জন। অভিযোগ জানাতে পেরেছিলেন ৩২ জন।
নিবন্ধিত গ্রাহকের বাইরেও সব মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ টেলিকম খাতের অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠান, ভোক্তা সংঘ এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন।
মূলত গ্রাহক সেবা উন্নত করতেই বিটিআরসি এমন আয়োজন করে থাকে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।