মাস্টারকার্ড, ইস্টার্ন ব্যাংক, পেপারফ্লাই আনল ‘ক্যাশলেস পে'



সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর, বার্তা২৪.কম
মাস্টারকার্ড, ইস্টার্ন ব্যাংক, পেপারফ্লাই আনল ‘ক্যাশলেস পে'

মাস্টারকার্ড, ইস্টার্ন ব্যাংক, পেপারফ্লাই আনল ‘ক্যাশলেস পে'

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে ক্রেতাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে কেনাকাটা করার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে দেশি হোম ডেলিভারি নেটওয়ার্ক পেপারফ্লাই, মাস্টারকার্ড ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সাথে যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল পেমেন্ট অন ডেলিভারি সল্যুশন 'ক্যাশলেস পে' সেবা চালু করেছে।

অনলাইন ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্য পেতে পেপারফ্লাই’র নতুন এ ডিজিটাল পেমেন্ট সেবায় এখন থেকে পণ্য গ্রহণের সময় নগদ অর্থ (ক্যাশ অন ডেলিভারি-সিওডি) না দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। সারা দেশই এ সেবার অন্তর্ভুক্ত।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে ডিজিটাল পেমেন্ট অন ডেলিভারি সিস্টেম ‘ক্যাশলেস পে’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে বলেন, আন্তঃ লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে লেনদেনের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো সম্ভব।

পরিবর্তিতে নতুন সময়ে ভার্চুয়াল বিনিময়ের দিকে মনোযোগী হতে হবে। বিটকয়েনের মতো মুদ্রাকে অনুমোদন না দিলেও এ বিষয়ে ভাবতে হবে। বিষয়টি নিয়ে নীতিনির্ধারণী আলোচনা করতে হবে। তা না হলে পিছিয়ে পড়তে হবে। সাইবার সিকিউরিটির দিকে নজর দিয়েই ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলতে হবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির এবং ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।

মূলত 'ক্যাশলেস পে' সেবা হচ্ছে একটি প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক সমাধান। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) মাধ্যমে মাস্টারকার্ডের পেমেন্ট টেকনোলজির সহযোগীতায় সেবাটি নিশ্চিত করবে পেপারফ্লাই। ক্যাশলেস পেমেন্টের ক্ষেত্রে দেশে এটি প্রথম সেবা, যার জন্য কোনো পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিনের প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা পেপারফ্লাইয়ের সরবরাহ করা পণ্যের দাম পরিশোধ করতে নিজেদের স্মার্টফোন ব্রাউজার ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সহজে ক্যাশলেস পে মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।

ই-কমার্স তথা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ক্রেতাদের ঘরে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিরাপদে, স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিশ্চিন্তে  নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

মাস্টারকার্ডের গবেষণা সূত্র বলছে, সারা বিশ্বে ক্রেতারা এখন সশরীরে দোকানে বা সুপারশপে যাওয়ার চেয়ে ঘরে বসে ই-কমার্স বা অনলাইনে পণ্য কেনাকাটার দিকে ঝুঁকছেন। করোনা সময়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন বলছেন, পণ্য ক্রয়ে গতানুগতিক ধারা ছেড়ে অনলাইনভিত্তিক লেনদেন করছেন। করোনার পরেও স্থায়ীভাবে এ পদ্ধতিতে কেনাকাটা করতে চান। আবার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা করোনার পরে নগদ অর্থ ব্যবহার কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন কেনাকাটায় দাম পরিশোধে ৯৫ শতাংশই হয় ক্যাশ-অন-ডেলিভারি (সিওডি) অর্থাৎ ক্রেতার পণ্য পেয়ে নগদে অর্থ দিয়ে থাকেন। করোনা মানুষকে নগদ অর্থ বিনিময়ের পরিবর্তে ডিজিটাল পেমেন্টর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক নোট বা নগদ টাকা স্পর্শ করাও এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে ক্যাশলেস লেনদেনে ঝুঁকে পড়ছেন।

নতুন এ সেবার প্রসঙ্গে পেপারফ্লাই চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) রাহাত আহমেদ বলেন, নতুন এ উদ্যোগ ই-কমার্সের ইকো-সিস্টেমের জন্য ইতিবাচক। ফলে এখন থেকে ক্রেতাদের সামনে যেমন ক্যাশলেস পদ্ধতিতে পণ্যমূল্য পরিশোধের নতুন বিকল্প এসে গেছে, তেমনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং অনলাইনে পণ্য বিক্রেতাদের জন্যও দ্রুত নগদ অর্থ প্রবাহের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে একসঙ্গে এভাবে ক্রেতা-ভোক্তা উভয়ের জন্যই পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নগদ অর্থের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। কারণ তা সময়সাপেক্ষ। নতুন সেবা চালুর সুবাদে পুরো অনলাইন ইকো-সিস্টেমে নগদ অর্থের লেনদেন প্রচলিত ব্যবস্থার চেয়ে সুদক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হবে। এখন থেকে অনলাইনে পণ্য বিক্রেতারা আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। যা ই-কমার্সের বিকাশে সহায়ক।

ইস্টা র্ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ইবিএল সব সময়ই তার গ্রাহকের নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার সময় থেকেই আমরা বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করে আসছি।

পেপারফ্লাই’র সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তাদের জন্য অনলাইনে পণ্যের অর্ডার দিয়ে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে মূল্য পরিশোধের এমন সময়োপযোগী সেবায় যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ডিজিটাল পেমেন্ট বা প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার মাধ্যমে লেনদেন করার বিষয়ে দেশের ভোক্তাদের বিশ্বাস বাড়ছে। এভাবে নতুন এ ‘ক্যাশলেস পে’ সেবার গুরুত্ব বাড়বে। এ সেবা চালুর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে বলে মনে করেন আলী রেজা ইফতেখার।

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, নতুন ‘ক্যাশলেস পে’ সেবা চালুর ফলে ভোক্তা-গ্রাহকেরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে লেনদেন করতে পারবেন। অনলাইনে অর্ডার করা পণ্যের ডেলিভারি বা পণ্য হাতে আসার পরে মাস্টারকার্ডের ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ড এবং মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে মাস্টারকার্ড তার সহযোগীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।ফলে নিত্যনতুন ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা সহজলভ্য করা সম্ভব হচ্ছে।

করোনার  দুঃসময়ে ই-কমার্স ও ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ এখন নগদ অর্থে লেনদেন কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেনের দিকে ঝুঁকছেন। করোনাকালের পরেও এ ডিজিটাল লেনদেনের জনপ্রিয়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

   

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;