অনলাইন ফুডশপ থেকে রেস্টুরেন্টের উদ্যোক্তা ফ্লোরা



ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জারা’স কিচেনের কর্ণধর ফ্লোরা নাহিদ

জারা’স কিচেনের কর্ণধর ফ্লোরা নাহিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্লোরা নাহিদ। একজন মা। একজন গৃহিণী। একজন রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তা। ফেসবুকের জারা ফুড’স  থেকে একটু একটু করে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন আজকের জারা’স কিচেন।

জারা’স কিচেনে প্রবেশের মুখে সিঁড়িতেই নজরে পড়বে মনোরম আলোকসজ্জা। ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে দেওয়ালের বাহারী নকশা ও ঝাড়বাতির। রয়েছে লাইভ মিউজিক এর ব্যবস্থা।

জারা ফুড থেকে জারা কিচেন গড়ে তোলার রাস্তাটা খুব একটা মসৃণ ছিলো না ফ্লোরা নাহিদের। কিন্তু স্বামীর অনুপ্রেরণায় সব বাধা পেরিয়েই নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাল ছাড়েননি তিনি। কিভাবে অনলাইন ফুডশপ থেকে রেস্টুরেন্ট তৈরি হলো সেই গল্প বার্তা২৪.কম এর পাঠক ও দর্শকদের সাথে শেয়ার করেন ফ্লোরা নাহিদ।

২০০৩ সালে বিয়ের পর সংসার জীবনে প্রবেশ ফ্লোরার। শিক্ষকতা পেশা বেছে নেওয়ার স্বপ্ন ছিলো ফ্লোরা নাহিদের। নিবন্ধন পরীক্ষায় পাসও করেছিলেন। কিন্তু সন্তান সংসার নিয়ে তা আর হয়ে উঠেনি। বলেন, এক সময় ইচ্ছা ছিলো শিক্ষক হবো। ব্যবসা করবো এমন কোনো চিন্তাই ছিলো না। কিন্তু আমার স্বামী ও শাশুড়ির সহায়তায় ব্যবসাটা দাঁড় করাতে পেরেছি এটাই অনেক বড় পাওয়া।

কেক, পিজা, পেস্ট্রি, বিরিয়ানীসহ খাবারের অর্ডার নেওয়া শুরু করেন তিনি। বাহারী ডিজাইনের কেকগুলো নজরকারে ক্রেতাদের। বাড়তে থাকে ফ্লোরা নাহিদের ক্রেতাদের সংখ্যা। পাশাপাশি বাসায়ই রান্নার প্রশিক্ষনও দিতে থাকেন আগ্রহীদের। ধীরে ধীরে রান্নার প্রশিক্ষন দিয়ে ও অনলাইন ফুড ব্যবসায়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করেন ফ্লোরা নাহিদ। মিরপুরের সাড়ে এগারতে মনোরম পরিবেশে যাত্রা শুরু হয় জারা’স কিচেনের।

মৃদু লাইটিং, দেওয়ালে বাহারী নকশা সাথে সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি বাড়তি আকর্ষন হিসেবে প্রতি সপ্তাহের বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার লাইভ মিউজিক এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জারা’র কিচেনে। পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য রাখা হয়েছে কিডস জোন। ফ্লোরা বলেন, আমাদের নগরীতেতো এখন বাচ্চাদের খেলার জায়গা নেই বললেই চলে। আমিও মা হিসেবে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। তাই এমন কিছু করার চেষ্টা করেছি যাতে মা-বাবাদের পাশাপাশি বাচ্চারাও জারা’স কিচেনে এসে একটু ভালো সময় কাটাতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/04/1541326962734.jpg

থাই, চাইনিজ ও ইন্ডিয়ানসহ প্রায় ৬৪ রকমের খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে জারা’স কিচেনে বলে জানান ফ্লোরা নাহিদ। বলেন, জারা’স কিচেনে আমরা কখনোই খাবারের মানের সাথে কোনো ধরনের কম্প্রমাইজ করি না। শেফ নির্বাচন করেছি আমি নিজে। নিজে তাদের রান্নার পরীক্ষা নিয়েছি।

অন্যদিকে শতভাগ হালাল খাবারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে জারা’স কিচেন। ফ্লোরা নাহিদ বলেন, আমার রেস্টুরেন্টে হালাল খাবার আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিশ্চিত করি। নিজে বাজার করি। মুরগি জবাই করার সময় যাতে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করা হয় তা আমি নিশ্চিত করি।

অন্যদিকে অনলাইন দিয়েই যেহেতু শুরু তাই জারা’স কিচেনেও এই সুবিধা বলবৎ রেখেছেন ফ্লোরা নাহিদ। ছোট ও মাঝারী ধরনের ঘরোয়া অনুষ্ঠানে কেটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকে জারা’স কিচেনে। এ বিষয়ে বলেন, যে কোনো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আমরা ক্যাটারিং সার্ভিস দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে আমাদের অনলাইনে বা ফোন করে একদিন আগে অর্ডার দিলেই হয়। সব ধরনের খাবারের অর্ডার আমরা নিয়ে থাকি। অন্তত ২০জন থেকে ১০০ জনের খাবারের অর্ডার এর কাজ করে থাকি আমরা।

শুধু তাই নয় জন্মদিন, বিয়ে বা কণে দেখার মতো অনুষ্ঠানও করা সম্ভব জারা’স কিচেনে বলে জানিয়েছেন এই নারী উদ্যোক্তা। বলেন, এখন আমাদের রেস্টুরেন্টে ৫০ জন অতিথির অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব। এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমরা গানের আয়োজনও করে থাকি।

তবে জারা’স কিচেন নিয়ে ফ্লোরা’র রয়েছে সুদূর প্রসারী স্বপ্ন। তবে এই ক্ষেত্রে দরকার ঋণ সুবিধা। তিনি বলেন, জারা’স কিচেনকে আমি একটি ব্র্যান্ড এ রূপাান্তরিত করতে চাই। নগরীর সব জায়গায়ই থাকবে জারা’স কিচেনের শাখা এমনটাই আমার স্বপ্ন। এখন যেমন আমার ৫০ জন্য অতিথির পার্টি অর্ডার নিতে পারি তা আমরা দুইশ করতে চাই। কিন্তু এক্ষেত্রে আমার দরকার মূলধন। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনেক কাজ করছেন। নারী উদ্যোক্তাদের যে ব্যাংক ঋণ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে তা পেলে একদিন এই জারা’স কিচেন নামের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবো।

সব নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া উচিত বলে মনে করেন ফ্লোরা নাহিদ। বলেন, সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বাধাতো আসবেই। কিন্তু নারীদের উচিত মনোবল শক্ত করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা।

   

সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

;

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;