ইপিজেডে কারখানা পরিদর্শনের ক্ষমতা পেলো শ্রম মন্ত্রণালয়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

দেশে আটটি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) কারখানাগুলো শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) পরিদর্শন করতে পারবেন। এতদিন এসব কারখানায় শ্রমিকের সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি ও পর্যবেক্ষণ হতো বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজার) নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’ খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশে ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯' গত ১৫ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। এটিকে আইনে পরিণত করার জন্য বিল আকারে নিয়ে আসা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে অধ্যাদেশটি দেয়া হয়েছে। এখানে কোনো পরিবর্তন নেই। সেখানে যা আছে তাই আইন।

গত ১৫ জানুয়ারি অধ্যাদেশের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। অধ্যাদেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ইপিজেড বা জোনের শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক নিয়োগ, মালিক ও শ্রমিকের সম্পর্ক সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এবং শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন, ইপিজেডে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্কবিষয়ক বিদ্যমান আইন সংশোধন ও সংহতকরণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে অধ্যাদেশটি। সংসদের অধিবেশনে না থাকা এবং রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৩-এর ১ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি জারি করেছেন।

অধ্যাদেশে শ্রম কল্যাণে মালিক-ক্রেতা ও শ্রমিকের অংশগ্রহণে তহবিল গঠন-সংক্রান্ত ধারাটি হলো ১৭২। এ ধারার অধীনে কোম্পানির মুনাফায় শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৭২ নং ধারায় বলা হয়েছে, ইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য একটি মালিক-ক্রেতা-শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল গঠন হবে।