বাণিজ্য মেলা: শেষমুহূর্তে মার্সেল প্যাভিলিয়নে বিক্রির ধুম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষমুহূর্তে  ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য কিনতে মার্সেল প্যাভিলিয়নে এসেছেন ক্রেতারা।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষমুহূর্তে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য কিনতে মার্সেল প্যাভিলিয়নে এসেছেন ক্রেতারা।

  • Font increase
  • Font Decrease

বাণিজ্য মেলার শেষমুহূর্তে আকর্ষণীয় নগদ ছাড়, ক্যাশ ভাউচার, ফ্রি পণ্য ও হোম ডেলিভারির মতো বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল প্যাভিলিয়ন। আর তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বমান সম্পন্ন ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মার্সেল প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শণার্থীর ব্যাপক ভিড়। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। সাশ্রয়ী দামের পাশাপাশি মেলায় বাড়তি সুবিধায় পছন্দের ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য বাছাইয়ে ক্রেতারা ছিলেন ব্যস্ত। আবার ক্রেতাদের হাতে পছন্দের পণ্য বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত ছিলেন সেলস এক্সিকিউটিভস ও ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তারা। পিক আপ ও ভ্যান গাড়িতে বিক্রয়কৃত ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাইয়ে প্যাভিলিয়নের বাইরেও অনেককে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।

প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ মো: সাইফুল ইসলাম জানান, মেলায় বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালারের সকল মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজে ১২ শতাংশ নগদ ছাড় দিচ্ছে মার্সেল। সব মডেলের এসিতে মিলছে ১৫ শতাংশ ছাড়। মেলায় ক্রেতারা মার্সেলের সব এলইডি টিভি ১২ শতাংশ ছাড়ে ও লেটেস্ট এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ৭ যুক্ত স্মার্ট টিভি ১৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারছেন। হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সে পাচ্ছেন ১০ থেকে ১২ শতাংশ নগদ ছাড়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549456415826.jpg

এসব সুবিধা ছাড়াও দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, টিভি ও  এসির ক্রেতারা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় উপহার। এর মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, এলইডি টিভিসহ অসংখ্য ফ্রি পণ্য।

মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো: সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, মেলার শুরু থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশ ভালো। মার্সেল ৩০ টিরও বেশি ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের প্রায় ৩০০ মডেল এনেছে মেলায়। এসব পণ্যের প্রযুক্তি, ডিজাইন ও কালারে রয়েছে নতুনত্ব। উচ্চ গুণগতমানের এসব পণ্যের দাম বাজেটের মধ্যে থাকায় এবং নগদ ছাড় পাওয়ায় শেষমুহুর্তে মার্সেল প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি।

রাজধানীর রামপুরা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মার্সেল প্যাভিলিয়নে এসেছিলেন একটি বেসরকারি ফার্মের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের মার্সেল ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ভয়েস কমান্ডে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী  ইনভার্টার প্রযুক্তির ১.৫ টনের একটি এসি কিনেন ৫৫ হাজার ২৫২ টাকায়। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এবছর গরমের সময় এসি কিনবো বলে আগেই ঠিক করেছিলাম। মেলায় এসে এসির দাম ও প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে মার্সেলের ইনভার্টার প্রযুক্তির স্মার্ট এসি পছন্দ হয়। দামও দেখলাম বাজেটের মধ্যে। তাই কিনে ফেললাম। মো: তোফাজ্জল হোসেনের মতো রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মার্সেল প্যাভিলিয়ন থেকে ছাড় ও অন্যান্য বাড়তি সুবিধায় পছন্দের ফ্রিজ, এলইডি, স্মার্ট টিভি, এসিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস কিনছিলেন। 

দুইতলা বিশিষ্ট সুদৃশ্য মার্সেল প্যাভিলিয়নের দ্বিতীয় তলায় বিক্রি হচ্ছিলো মার্সেলের নিজস্ব কারখানায় বিশ্বের লেটেস্টে প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ৭২ মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে ছিলো ৫৮ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ইনভার্টার প্রযুক্তির ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১২ মডেলের ডিপ ফ্রিজ।  মেলায় ক্রেতা-দর্শণার্থীদের জন্য চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ১৪ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ এবং সাইড বাই সাইড ডোরের গ্লোবাল মডেলের নতুন ফ্রিজ এনেছেন তারা।

প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছিলো ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও স্মার্ট প্রযুক্তির এক থেকে দুই টনের ২০ মডেলের এসি। ভয়েস কমান্ডে এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মার্সেলের স্মার্ট এসি। এছাড়া আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসি রুমকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করবে। মার্সেল এসিতে ফোর-ডি কুলিং প্রযুক্তি সংযোজন করায় রুম ঠান্ডা হয় দ্রুত।

প্যাভিলিয়নের নিচ তলায় ছিল ৪২ মডেলের এলইডি ও স্মার্ট টিভি, ৭ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ৬ মডেলের মাইক্রোওয়েব ওভেন, প্রেসার কুকার এবং আয়রন বা ইস্ত্রি মেশিন, এলপিজি ও ন্যাচারাল গ্যাসচালিত সিঙ্গেল ও ডাবল বার্নারের ২৭ মডেলের গ্যাস স্টোভ, ২৪ মডেলের এলইডি লাইট, ১৪ মডেলের ব্লেন্ডার, ৯ মডেলের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান, ৭ মডেলের সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, ৫ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি, কিচেন কুকওয়্যার ও সিলিং ফ্যান, ৪ মডেলের রুম হিটার, ২ মডেলের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, অটোমেটিক ভোল্টেজ প্রোটেকটর ও রিচার্জেবল টর্চ লাইট। আরো ছিলো ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কুলার, ইন্ডাকশন কুকার, দেয়াল ফ্যান।

   

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

;

শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রায় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। শিশুদের খাবারে যাতে চিনি যুক্ত করা না হয় এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানদণ্ড পরীক্ষায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় সামনে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিএসটিআই’র পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুধ ও সিরিয়াল পণ্যগুলোতে বাড়তি চিনি ও মধু যুক্ত করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। নেসলের শিশুখাদ্যে বাড়তি চিনি যুক্ত করার আইন লঙ্ঘনের এই ঘটনা কেবল এশিয়ান, আফ্রিকান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক থেকে একজন শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাতে প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম বাড়তি চিনি উপস্থিতি আছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেসলের শিশুখাদ্য পণ্যের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গবেষণায় পাওয়া ফল একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল কিংবা দূষণের কারণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। এক গবেষণায় নেসলের দুটি পণ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। বিএসটিআই’র মানদণ্ডে পরিমাপ করব। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পণ্য দুটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করব। এছাড়া মামলা করারও সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে নেসলের ১৫টি সেরেলাক শিশুখাদ্য থেকে একটি শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্য জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি চিনি ছাড়াই। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডে এই চিনির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই সূত্র জানায়, এটি অন্য দেশের তৈরিকৃত পণ্য। তবে এগুলো আমাদের দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী এক নাও হতে পারে। সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে, তাই এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে পদক্ষেপ নেব।

;

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;