৩০ বিমার পকেটে গ্রাহকদের ১৪০০ কোটি টাকা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র নয় মাসের মাঝে গ্রাহকদের কষ্টে উপার্জিত ১ হাজার ৪১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা চলে গেছে বেসরকারি ৩০টি জীবন বিমা (লাইফ ইন্স্যুরেন্স) কোম্পানির পকেটে।

২০১৮ সালের প্রথম তিন প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মাঝে দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় কিংবা তারপরের বছর মিলে ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৫টি তামাদি বিমার টাকা এগুলো। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বিমা কোম্পানির এই অবস্থানকে ‘অত্যন্ত হতাশাব্যাঞ্জক’ উল্লেখ্য করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বেশিরভাগ পলিসিরই প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম দেওয়ার পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে তামাদি হয়ে গেছে।

বিমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথম পলিসি নেওয়ার পর এজেন্টরা আর গ্রাহকদের কাছে যাচ্ছেন না। তারা প্রথম বর্ষের কমিশন নিয়েই নতুন পলিসি খুঁজে বের করছেন। ফলে এজেন্টরা পুরনো পলিসি হোল্ডারদের কাছে যাচ্ছেন না। কারণ পরবর্তীতে এ কমিশন তারা কম পাচ্ছেন।

পলিসিটি হারিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোম্পানির পক্ষ থেকে এজেন্টদের তদারকি করা হচ্ছে না। ফলে নির্দিষ্ট সময় পর পলিসিগুলো তামাদি হয়ে যাচ্ছে। তাতে বিমা কোম্পানির পকেটে বছরের পর বছর যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থা থেকে উত্তোলনে প্রয়োজন গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, এমনটাই মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

আইডিআরএ এর প্রতিবেদন অনুসারে, বিদায়ী বছরের ৯ মাসে গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি টাকার তামাদি বিমা হয়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে। প্রতিষ্ঠানটি তিন প্রান্তিকে ২ লাখ ১ হাজার ৬৮৩টি তামাদি পলিসির ২১২কোটি ২১ লাখ টাকা হজম করেছে। এ টাকা আর কোনো দিন গ্রাহকরা ফিরে পাবেন না।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থান রয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ। একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩৩টি পলিসি বাবদ ১৮০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খেয়ে ফেলেছে।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি মেটলাইফ। কোম্পানিটি ৬১ হাজার ৫৪৮টি পলিসি থেকে গ্রাহকদের ১৪৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা নিয়ে নিয়েছে।

 এ তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটি ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪৬টি তামাদি পলিসি থেকে ১৪৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা গ্রাহকদের নেই হয়ে গিয়েছে।

এছাড়াও হোমল্যান্ড লাইফ ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮২৫টি পলিসি থেকে ১২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং রুপালী লাইফ ২ লাখ ৪২ হাজার ৭০৬টি পলিসির ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা নেই হয়েছে। ফলে কোম্পানি দুটো যথাক্রমে ৫ ও ৬ স্থান দখল করেছে।

বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফারইষ্ট ইসলামী লাইফের ১ লাখ ৫৮হাজার ৪৪টি পলিসি থেকে ৮০ কোটি টাকা, পপুলার লাইফের ৭৬ হাজার ৮৫২টি পলিসির ৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা, সন্ধানী লাইফের ৫০ হাজার ৩৪৮ টি বিমার ৬২ কোটি ২৯ লাখ টাকা, পদ্মা ইসলামী লাইফের ২৭ হাজার ৫২৬টি বিমার ৪৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সানফ্লাওয়ারের ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৮৫টি বিমার ৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা গ্রাহকরা ফিরে পাবেন না।

ডেলটা লাইফের ১ লাখ ৩০ হাজার ৩১৭টির ৪৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, প্রগতি লাইফের ৫৩ হাজার ৮১টি বিমার ৩৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা, মেঘনা লাইফের ২২ হাজার ২১৩টির ২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, সানলাইফের ২৮ হাজার ৩৬৮টির ২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা নেই হয়ে গিয়েছে।

জেনিথ ইসলামী লাইফের ১১ হাজার ২০৫টির ১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, ডায়মন্ড লাইফের ১৫ হাজার ৪০০টির ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফের ১১ হাজার ৭৬১টি পলিসির ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, বায়রা লাইফের ৮ হাজার ৭২২টির ৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা, গোল্ডেন লাইফের ৯ হাজার ৭৭টির বিমার ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা, ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফের ৫ হাজার ৭৫৪টির ৫ কোটি টাকা গ্রাহকদের নেই হয়েছে।

এ ছাড়াও এনআরবি গ্লোবালের ২ হাজার ৭৯২টি বিমার ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের ৩ লাখ ৪৫টি বিমার ৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যমুনা লাইফের ৩ হাজার ২০৭টি বিমার ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা, আলফা ইসলামী লাইফের ৬৯৪টি বিমার ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, বেষ্ট লাইফের ২ হাজার ৩৬৬টি বিমার ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, সোনালী লাইফের ১ হাজার ৮৫০টির বিমার ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, স্বদেশ লাইফের ১ হাজার ৮৬১টি বিমার ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, গার্ডিয়ান লাইফের ৪৫৩টি বিমার ৪১ লাখ টাকা এবং চ্যাটার্ড লাইফের ৪৪৪টি বিমার ৬ লাখ টাকা, সব মিলে ১৮ লাখ ৪৬ লাখ বিমার ১৪১৩ কোটি টাকা গ্রাহকদের নেই।

সার্বিক বিষয়ে আইডিআরএ সদস্য গকুল চাঁদ দাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিমা কোম্পানির তামাদি পলিসি নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। বিমা সেক্টরকে আস্থায় ফেরাতে তামাদি পলিসির সংখ্যা কমিয়ে আনতে হবে। এটি নিয়ে কাজ করছি’।

   

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;