লভ্যাংশে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত সীমা চায় বিএমবিএ
আসছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের বার্ষিক লভ্যাংশের উপর করমুক্ত সীমা এক লাখ টাকা পর্যন্ত করাসহ পাঁচ ধরনের সুবিধা চায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিনের কাছে দিয়েছেন বিএমবিএর সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী। শীঘ্রই এ প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয় ও সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে সংগঠনটি।
সংগঠনের বাকি প্রস্তাবগুলো হচ্ছে- পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের মূলধনী মুনাফার উপর আরোপিত কর ১০ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা।
নগদ লভ্যাংশ বিতরণে উৎসাহ দিতে বছরে ২০ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ কর ছাড় দেওয়া।
মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর করপোরেট কর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ব্রোকারেজ হাউজগুলো মত করা এবং ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের বিদ্যমান ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ট্যাক্স চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচনার দাবি জানানো হয় প্রস্তাবনায়।
বিএমবিএ সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে উন্নয়নের স্বার্থ আমাদের প্রস্তাবগুলো বাজেটে আমলে নেওয়া দরকার। এগুলো বাজেটে আসলে বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পাবেন। বাজারের গতিশীলতা বাড়বে। সরকারও আরো বেশি রাজস্ব পাবে।‘
বিএমবিএর দাবির প্রায় সবগুলোর দাবি সঙ্গে একমত পোষণ করে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবেএ) সভাপতি শাকিল রিজভী। এটিও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে বিএমবির প্রস্তাবগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি লেনদেনের উপর কর কমানো না হলে বাজারের চলমান স্থিতাবস্থা কাটবে না।‘
২০১০ সালের আগে লেনদেনের ক্ষেত্রে দশমিক ১২৫ শতাংশ অর্থাৎ এক লাখ টাকায় সাড়ে ১২ টাকা ট্রেডিং ট্যাক্স কাটাহতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে এটিকে দশমিক ৫০ শতাংশ বা প্রতি লাখে ৫০ টাকা করা হয়। কিন্তু বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি অবশ্যই কমানো দরকার।
পাশাপাশি ট্রেডিং ট্যাক্স দশমিক ৫০ থেকে কমিয়ে দশমিক ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। অর্থাৎ এক লাখ টাকা লেনদেনে আমরা সরকারকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ট্রেডিং ট্যাক্স দিতে চাই। এতে লেনদেন বেড়ে সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে বলে মনে করেন শাকিল রিজভী।