ভ্যাট ফাঁকি দিয়েও রফতানি ট্রফি লাভ!



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নরসিংদীতে অবস্থিত থার্মেক্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান/ ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে অবস্থিত থার্মেক্স গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মিত ভ্যাট ফাঁকি দেন তিনি, আবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া রফতানি ট্রফিও পান। যে যে বছর কমার্শিয়ালি ইমপরট্যান্ট পারসন (সিআইপি) সম্মাননা নিজের ঘরে তুলেছেন, সে কয় বছর নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রযোজ্য মূসকের এক টাকাও পরিশোধ করেননি।

তিনি নরসিংদি ভিত্তিক থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আব্দুল কাদির মোল্লা। সরকারকে কর দেন না, অথচ রফতানি ট্রফি লাভ করেন। আবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতেও একেবারেই অনীহা তার। 

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে প্রতিষ্ঠানটির জালিয়াতির তথ্য। কর না দিয়েও কিভাবে সিআইপি হন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।

ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে পোশাকখাতের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স গ্রুপের। এই গ্রুপের দুই অঙ্গ প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও মেসার্স আদুরি অ্যাপারেলসের বিরুদ্ধে কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, মেসার্স থার্মেক্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর পর্যন্ত অপরিশোধিত মূল্য সংযোজন করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকা। আর এই পরিমাণ মূসক সরকারি কোষাগারে পরিশোধ না করায় ১৯৯১ সালের মূসক আইনের ধারা ৩৭ এর উপধারা ৩ অনুসারে ২ শতাংশ হারে সুদসহ বকেয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৮১ টাকা।

অন্যদিকে এই গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আদুরি অ্যাপারেলসের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বার্ষিক অডিট রিপোর্টের তথ্যানুযায়ী প্রযোজ্য মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৭৪ হাজার ৭৭০ টাকা। এর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি মূসক পরিশোধ করেছে মাত্র ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৬১৪ টাকা।

অপরিশোধিত মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬ টাকা। সুদসহ অপরিশোধিত মূসকের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪৩ হাজার  ২৩৪ টাকা। থার্মেক্স গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত মূসকের পরিমাণ এক কোটি ১০ লাখ ৫৭ হাজার ২১৫ টাকা।

একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

থার্মেক্স গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার ইকবাল মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে জানান, তার প্রতিষ্ঠানের কাছে এনবিআরে মূসক পরিশোধের ক্লিয়ারেন্স আছে। তাদের কোনো অসঙ্গতি নেই। এনবিআর থেকে পাওয়া তথ্যে অসঙ্গতি থাকতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/06/1551872588073.jpg

অনুসন্ধানে জানা যায়, থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লা ২০১২-১৩ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণীতে সেরা করদাতা ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন।

অথচ এনবিআরের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে ২০১২-১৩ অর্থবছরে তার প্রতিষ্ঠান থার্মেক্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড সরকারি কোষাগারে এক টাকাও মূসক প্রদান করেনি। 

২০১৫ সালেও পোশাক রফতানিতে বিশেষ অবদান রাখায় সিআইপি নির্বাচিত হয়েছিলেন থার্মেক্স গ্রুপের কর্ণধার। অথচ এনবিআরের তদন্ত বলছে, একই বছর থার্মেক্স টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মূসক পরিশোধ করেছে নামে মাত্র।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূসক আরোপযোগ্য সেবার মূল্য ছিলো ৪৪ লাখ আট হাজার ৭২ টাকা, বিপরীতে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লাখ সাত হাজার চার টাকা। এই বছরও বেশ কর ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি মূসক পরিশোধ করে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮২৩ টাকা, অপরিশোধিত থাকে দুই লাখ ৬৭ হাজার ১৮১ টাকা।

এই বছর আদুরি অ্যাপারেলস লিমিটেডের অপরিশোধিত মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬ টাকা, যা সুদসহ মোট অপরিশোধিত মূসকের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪৩ হাজার  ২৩৪ টাকা।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির  মূসক আরোপযোগ্য সেবার মূল্য ছিল দুই কোটি ২১ লাখ এক হাজার টাকা। এর বিপরীতে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৩ লাখ ১০ হাজার ১২৬ টাকা।

২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠানটির মূসক আরোপযোগ্য সেবার মূল্য ছিলো ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ৮২০ টাকা, বিপরীতে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১৬ টাকা।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির মূসক আরোপযোগ্য সেবার মূল্য ছিলো ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬২৪ টাকা, বিপরীতে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৬৮ টাকা। কিন্তু এই তিন অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি কোষাগারে এক টাকাও মূসক আদায় করেনি।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানির মূসক আরোপযোগ্য সেবার মূল্য ছিলো ২২ লাখ ৯৬ হাজার ১৪৮ টাকা, বিপরীতে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই লাখ ৫ হাজার ৩০০ টাকা। অথচ এই অর্থবছরে এসে প্রতিষ্ঠানটি মূসক দেয় ১১ হাজার ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ঐ অর্থবছরে বকেয়া থেকে যায় এক লাখ ৯৪ হাজার ৪৯ টাকা।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূসক আরোপযোগ্য সেবার মূল্য ছিলো ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৭২ টাকা, বিপরীতে প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ লাখ সাত হাজার চার টাকা। এই বছরও বেশ কর ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি মূসক পরিশোধ করে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮২৩ টাকা, অপরিশোধিত থাকে দুই লাখ ৬৭ হাজার ১৮১ টাকা।

প্রতিবেদনের পর্যালোচনায় তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত কর্তনযোগ্য প্রদেয় মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৬ টাকা। এই মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ দুই লাখ ৫১ হাজার ৭৪ টাকা।

বিপরীতে পরিহারকৃত মূলধন দাঁড়ায় ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৩ টাকা। এই সময়ে উক্ত মূসক যথাসময়ে পরিশোধ না করায় মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৬ এবং একই আইনের প্রণীত বিধিমালার বিধি ২৩ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

   

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;