বন বিভাগের জমি দখল করায় জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে মামলা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে অন্যের বাড়ি দখল করে কারখানা নির্মাণের অভিযোগ/ছবি: বার্তা২৪.কম

জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে অন্যের বাড়ি দখল করে কারখানা নির্মাণের অভিযোগ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) থেকে ফিরে: নতুন কারখানা স্থাপনে জোরপূর্বক অন্যের ঘর-বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে জিপিএইচ ইস্পাত। দরিদ্র পরিবারগুলো বাড়ি ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তাদের পানি নেমে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু অন্যের জমি দখল নয়, বন বিভাগের জমিও দখলের অভিযোগ রয়েছে জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে। এর জন্য জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় মামলা করেছে বন বিভাগ বলে গেছে।

 

অন্যদিকে কারখানাটির পূর্বদিক ঘেঁষে অবস্থিত ত্রিপুরা পল্লীর অন্যতম পানির উৎস পাহাড়ের ঝিরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ঝিরির উপর নির্ভরশীল কুমিরা বনাঞ্চলও। ঝিরিটি বন্ধ করে দেওয়ায় বনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে চট্টগ্রাম বন বিভাগ।

জিপিএইচ ইস্পাত যাদের বাড়ি দখল করে নিতে চাচ্ছে তাদেরই একজন মসজিদ্দা গ্রামের বৃদ্ধা মতিলাল দাশ (পিতা: বৃন্দাবন দাশ)। এলাকাটিতে শতাধিক দরিদ্র পরিবারের বসবাস রয়েছে। গ্রামটির পশ্চিম দিকে অবস্থিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। আর সড়কের পাশের একটি নালা গিয়ে মিশেছে সাগরে। এই নালা দিয়ে মতিলালদের পাড়ার পানি নেমে যেত সাগরে।

কিন্তু সেই পানি নেমে যাওয়ার নালায় জিপিএইচ তাদের কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকটা টিলার মতো করে রেখেছে। এতে একটু বৃষ্টি হলেই বাড়িগুলোতে পানি জমে যাচ্ছে।

গত ৯ মে সরেজমিন গেলে মতিলালের উঠানে অনেক কাদাপানি দেখা গেছে। অনেকটা নর্দমার মতো পরিণত হয়েছে। ঠিক গ্রামের কুয়া কিংবা নলকূপের পানি নেমে যাওয়ার কাঁচা ড্রেনে যেভাবে কাদাপানি জমে থাকে তেমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তখন কয়েকটি হাঁসও আপন মনে বিচরণ করছিলো সেখানে।

মতিলাল দাশ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ত্রিশ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। নিজের নামে বন্দোবস্ত করে নেওয়া জমি। আমাদের নামে খাজনা খারিজ সবই রয়েছে। কিন্তু জোর করে আমাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। পানি নেমে যাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। দেখেন কয়েকদিন আগে বৃষ্টি হয়েছিলো সেই পানি এখন উঠানে জমে কি অবস্থা হয়েছে।

চরম অসহায় লাগছে, কোথাও গিয়ে সহায়তা পাচ্ছি না। তারা টাকার বস্তা খুলে দিয়েছে। কেউ আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। আমাদের দ্রুত বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে। না হলে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

মতিলালের ঘরের উত্তর দিকে একটি বিশাল ঢিবি করা হয়েছে রডের বর্জ্য দিয়ে। দেখতে অনেকটা ভাটায় ইট তৈরির জন্য রাখা মাটির স্তুপের মতো। বিপরীত দিক থেকে মতিলালদের ঘর আর দৃশ্যমান নয়। ঢাকা পড়েছে বিষাক্ত বর্জ্যের স্তুপে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য এই ঢিবি করে হুমকি দেখানো হচ্ছে। না হলে টিলার মতো এমন ঢিবি করার কোনই প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না তারা। মতিলাল দাশও মনে করে তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য এই স্তুপ করা হয়েছে।

জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের হুমকির কারণে, এখানকার অনেক ভাড়াটিয়া ঘর ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু মতিলালের মতো কিছু বাসিন্দা রয়েছে যাদের আর অন্যত্র যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা শত প্রতিকূলতা শর্তেও মাটি আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। কিন্তু কতদিন থাকতে পারবেন সে নিয়ে রয়েছে সংশয়ে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন’র (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, স্টিল রি-রোলিং মিল একটি রেড ক্যাটাগরির কারখানা। তারা বর্জ্য যেখানে সেখানে ফেলতে পারেন না। তাদের নিজেদের ইটিপি থাকা উচিত। এসব বর্জ্য বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে, আবার বৃষ্টির সঙ্গে নদীতে দিয়ে পানি দূষণ করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।

জিপিএইচ কারখানার পশ্চিমে যখন এমন অত্যাচার চলছে। পূর্বদিকে পাহাড়ের কোল ঘেষা ত্রিপুরা পল্লীর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে জিপিএইচ। তাদের মিঠা পানির অন্যতম উৎস পাহাড়ের ঝিরিতে রাতারাতি বাঁধ নির্মাণ করে পানি আটকে দিয়েছে। যে কারণে সহজলভ্য পানির উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে ত্রিপুরা পল্লীর লোকজন। কিন্তু প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না। আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম (উত্তর) বখতিয়ার নূর সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সীতাকুন্ড থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে কাজ বন্ধ রাখার জন্য।

সীতাকুন্ড উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জিপিএইচ ইস্পাতের বিষয়ে একটি গোপন তদন্ত করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে উঠে আসবে পরিবেশসহ অন্যান্য ক্ষতির বিষয়টি। তদন্তে কি পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে ক্ষতিকারক কিছু পেলে ছাড় দেওয়া হবে না।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিবেশগত ছাড়পত্র) সৈয়দ নাজমুল আহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি জানি একটি কোম্পানি এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে বিদেশে রফতানি করে। এই বর্জ্যে কি ধরণের জীবানু থাকে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। দেখে বলতে হবে।

জিপিএইচ ইস্পাতের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নন বলে এড়িয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার বিষয়ে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে পরে জানাবেন বলে এড়িয়ে যান।

জিপিএইচ ইস্পাতের একমাত্র কারখানাটি রয়েছে সীতাকুন্ডের ওই এলাকায়। নতুন করে তা বিশাল এলাকা জুড়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এতে ত্রিপুরা থেকে জেলে কামার কারো বসতি রক্ষা পাচ্ছে না। নতুন অটোমেটেড কারখানাটির রড উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১০ লাখ মেট্রিক টনের মতো।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;