৪০৮ কোটি টাকায় পুলিশের জন্য ৭৯০ গাড়ি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ পুলিশের একটি গাড়ি, পুরনো ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের একটি গাড়ি, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ১৪০টি এসইউভি (জিপ) এবং ৬৫০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যান। মোট ৭৯০টি গাড়ি কিনতে সরকারের খরচ হবে ৪০৭ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ সংক্রান্ত দু’টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

এছাড়া যানজট নিরসনে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের জন্য পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া হলো।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপজেলা স্বাস্থ্য পরিকল্পনা কর্মকর্তা গাড়ি কেনার জন্য ১৬৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৯৭টি জিপ গাড়ি কিনছে সরকার। এ প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে বুধবার (২৯ মে)।

বুধবার কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের বাইরে থাকায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ক্রয়’ শীর্ষক প্রকল্পের আতওতায় অভিযানের কাজে ব্যবহারের জন্য ১৪০টি এসইউভি (জিপ) কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এসব গাড়ি সরবরাহ করবে সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি। সে হিসেবে প্রতিটি জিপের দাম পড়বে ৯০ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, কমিটি অন্য একটি ক্রয় প্রস্তাবের মাধ্যমে একই প্রকল্পের আওতায় অভিযানের কাজে ব্যবহারের জন্য ৬৫০টি ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যান কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২৮১ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এসব গাড়ি সরবরাহ করবে র‌্যাংস লিমিটেড। সে হিসেবে প্রতিটি পিকআপ ভ্যানের দাম পড়বে ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সীমিত জনবল, লজিস্টিকস এবং যন্ত্রপাতি নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি অপারেশনে সফলতা অর্জন করেছে। এসব অপারেশন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ মধ্যপন্থী ইসলামিক সাংস্কৃতির জন্য বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ লালনের পাশাপাশি সহনশীল এবং বহুত্ববাদ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য, যা এ অঞ্চলের জন্য একটি মডেল। সম্প্রতি কিছু আন্তর্জাতিক ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের এ অর্জন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

নিরাপত্তা, সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর অর্থায়নের উৎস এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের অনুপ্রেরণা ইত্যাদি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বর্তমানে সন্ত্রাসের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ বিশেষ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কিছু ভয়ানক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

আরও বলা হয়, বর্তমানে ডিএমপিতে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হয়। প্রয়োজনীয় যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্টের অভাবে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আরমোরেড পার্সোনাল কেরিয়ারের (এপিসি) মতো সুসজ্জিত যানবাহনের অভাবে অনেক সময় সন্ত্রাস দমনে অভিযান পরিচালনা সম্ভব হয় না। তাই বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কেনা প্রয়োজন।

যানজট নিরসনে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এবার এ প্রকল্পের জন্য পরামর্শকও নিয়োগ দেওয়া হলো। স্পেনের টেকনিকা দক্ষিণ কোরিয়ার ডিএএইচডাব্লিএ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বাংলাদেশের দেশের ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে পরামর্শ দেবে। এজন্য সরকারের ব্যয় হবে ২৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম আরও বলেন, বাংলাদেশে সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

যানজট নিরসনে আরেকটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের মধ্যে এটি আরেকটি। জি-টু-জি ভিত্তিতে ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রায় ৩০ জেলার সড়ক যোগাযোগ আরও সহজ হবে, বলছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলছে।

অতিরিক্ত সচিব জানান, আজকের বৈঠকে কুমিল্লা জোনের নোয়াখলী সড়ক বিভাগাধীন ‘কুমিল্লা (টমচম ব্রিজ)-নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২৭২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্যাকেজটি বাস্তবয়নে কাজ পেয়েছে যৌথভাবে তাহের ব্রাদার্স, ঢাকা বিল্ডার্স এবং হাসান বিল্ডার্স।

এছাড়াও বৈঠকে ২০১৯ সালে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড থেকে পার্বতীপুর ডিপোতে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমাদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জকিগঞ্জ-১ কূফ খননে সংশ্লিষ্ট একটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এসময়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপজেলা স্বাস্থ্য পরিকল্পনা কর্মকর্তা গাড়ি পাচ্ছেন। তাদের জন্য ১৬৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৯৭টি জিপ গাড়ি কিনছে সরকার। প্রতিটি গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আতওতাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য সিএমএসডি-এর প্যাকেজের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপজেলা স্বাস্থ্য পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের জন্য ২৯৭টি জিপ গাড়ি কেনা হবে ১৬৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। যার প্রতিটি জিপের দাম পড়বে ৫৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এসব গাড়ি সরবরাহ করবে র‌্যাংস লিমিটেড।

তিনি বলেন, এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ৩০ হাজার ২২৫টি এসপিসি পোল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাতে ব্যয় হবে ৪৯৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

বৈঠকে অপর একটি ক্রয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮১টি এসপিসি পোল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৫৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

নাসিমা বেগম বলেন, আরও একটি ক্রয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫৪টি এসপিসি পোল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ পড়বে ৮৩০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;