ব্যাংকিং খাতের সুশাসন অনিশ্চিত



সেন্ট্রাল ডেস্ক ১

  • Font increase
  • Font Decrease
বেসরকারি দুই বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আকষ্মিক বড় পরিবর্তনে এই খাতে পেশাগত উৎকর্ষতা নিয়ে পেশাদার ব্যাংকার, অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে এক ধরনের শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এবং স্মাপ্রতিক সময়ে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনে দেখা দিয়েছে এ পরিস্থিতি। পেশাদার ব্যাংকাররা শঙ্কিত এ কারণে যে, তাদের চাকুরীর মেয়াদ না ফুরালেও কোন কারণ ছাড়াই চাকুরি থেকে যে কোন সময় বিদায় নিতে হতে পারে। অন্যদিকে এ ধরনের পদক্ষেপে ব্যাংকিং পেশায় পেশাদারিত্বের বিকাশ ও এই খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা নিয়ে সন্দিহান অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ব্যাংকিং খাতে এখন বেশি প্রয়োজন সুশাসন। এর অভাব সরকারি বেসরকারি উভয় ব্যাংকেই প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের ইচ্ছায় প্রধান নির্বাহীও উচ্চ স্তরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। যার বহু কিছুই ব্যাংকিং নীতি ও নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জ্যপূর্ণ নয়। সরকারি ব্যাংকগুলোর কর্ণধারদের অবস্থাও একই রকম। তবে এখানে একটি অতিরিক্ত উপাদান রয়েছে এবং তা হচ্ছে নির্দেশনা। এর ফলে খেলাপী, চুরি, এক কথায় লুটপাটের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও আশঙ্কাজনক ভাবে ঋণ খেলাপী সৃষ্টি হয়েছে। সেই সব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিভিন্নভাবে এই সব ঘটনা চাপা দিয়ে রাখছেন। অনৈতিক ব্যাংকিংয়ের পেছনে পরিচালকদের ভূমিকার কথাও অনেক পেশাদার ব্যাংকার বলে থাকেন। তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীদের নিয়োগ, পদত্যাগ, অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই এমন কিছু বিষয় অনুমোদন দিচ্ছে যা তাদের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জ্যপূর্ণ নয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে কেন বাংলাদেশ ব্যাংক নিজের প্রণীত নীতিমালা অনুসরণে দূঢ় নয়। ব্যাংকিং খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৪ সালে ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, প্রধান নির্বাহী নিযুক্তর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে নিযুক্ত প্রধান নির্বাহীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া তার পদ থেকে বরখাস্ত, অব্যাহতি প্রদান কিংবা অপসারণ করা যাবে না। তবে নিয়োগ চুক্তির মেয়াদপূর্তির আগে প্রধান নির্বাহী চুক্তি বাতিল করতে চাইলে বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে পদত্যাগের প্রকৃত কারণ উল্লেখ করে কমপক্ষে এক মাস পূর্বে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নিকট দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ মেয়াদ পূর্তির আগে কোন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে চাইলে কিংবা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিলে তার কারণ উল্লেখ করে এক মাস আগে নোটিশ দিতে হবে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, হঠাৎ পদত্যাগ করতে হয়েছে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। কিন্তু বাংলদেশ ব্যাংকের নির্দেশ পুরোপুরি ভেঙে এটি হয়েছে। গত সোমবার ব্যাংেকের বিশেষ পষর্দ সভায় তার পদত্যাগ পত্র উপস্থাপন করা হয়। সেটি ওই দিনই অনুমোদন করে পর্ষদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও সেটি ওই দিনই অনুমোদন করে দেয়। একই সঙ্গে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ওই দিনই ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নিয়োগ দিয়ে সেটিও অনুমোদন নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। নতুন প্রধান নির্বাহী পরের দিন কাজে যোগ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রেক্ষাপট যাই হোক এভাবে একজন এমডির বিদায় কোন ভাবেই কাম্য নয়। তাছাড়া আমাদের জারি করা আদেশও লঙ্ঘন হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকেরও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেন, স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকে যা হয়েছে তা ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু করার নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, এমডিদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পর্ষদের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্তু সম্প্রতি আমরা যা দেখছি তাতে শঙ্কা বাড়ছে। এভাবে এমডিদের বিদায় ব্যাংক খাতের সুশাসন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকাকে প্রশ্নে ফেলছে। তিনি বলেন, পর্ষদ চাইলে এমডিকে বিদায় দিতেই পারে। আবার এমডিও বিদায় নিতে পারে। কিন্তু যা হচ্ছে তাতে প্রধান নির্বাহীরা কতটা অসহায় ভাবে ব্যাংকে কাজ করছেন তা বুঝতে পারছি। কোন এমডি পর্ষদের অন্যায়কে প্রশয় না দিতে চাইলে তাদের জন্য চাকুরি করা কঠিন। ফলে এমডিরা সব সময় পর্ষদের সব অন্যায়কে সায় দিয়ে যান। এটি দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে তিনজন প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে এই প্রতিবেদক কথা বলেছেন। তারা কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। তবে সবাই বলেন, আমরা কতটা অসহায় ভাবে চাকুরি করছি তা দেখতে পারছেন। পর্ষদের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগও নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের অভিভাবক। তারাও আমাদের সুরক্ষা দিচ্ছে না। এটি অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের ইচ্ছে মতো সরকার ব্যাংক কোম্পানী আইন আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা সংশোধনীটি অনুমোদন করেছে। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ি, একই পরিবার থেকে চারজন্য পরিচালক একই পর্ষদে থাকতে পারবেন। এর ফলে পর্ষদে উদ্যোক্তাদের দাপট এবং শক্তি আরো বাড়বে। এমডিরা আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়বেন বলে সংশ্লিষ্টদের মত। বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স (এবিবি) এর চেয়ারম্যান আনিস এ খানকে টেলিেেফান করলে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমরা খুব বেশি কিছু বলার নেই। তবে আমরা এই পর্যায়ে আছি। আমাদের সমাজ আছে। পরিবার আছে।
   

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভোজ্য তেলের ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক-ভ্যাট) প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু, ভোজ্য তেলের ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করে দিলেও তা মানার ব্যাপারে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

বাজারে গিয়ে দেখা যায় নির্ধারিত মূল্যের চাইতেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। দাম নেবার কারণ জানতে চাইলে দায়সারা উত্তর ব্যবসায়ীদের।

গতকাল (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

সংবাদ সম্মেলনে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ১৮ টাকা বাড়িয়ে ৮১৮ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোন তোয়াক্কা করছে না দোকানীরা।

প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হলেও লিটার প্রতি ১৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা করে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৭ টাকা বিক্রি করার কথা থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা দরে। তবে ভিন্ন চিত্র ছিলো ৫ লিটারের বোতলজাত তেলের দামে। সরকারের বেঁধে দামের চাইতেও প্রতি ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম মূল্যে ৮০০ টাকা করে বিক্রি করছেন দোকানীরা।

সরকারের বেঁধে দামে তেল বিক্রি না করার কারণ জানতে চাইলে রাব্বি ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী লুতফুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, গতকাল কি ঘোষণা হইছে তেলের দাম কমছে নাকি বাড়ছে তা ভালো করে জানিনা। তবে শুনছি ফেছবুকে টিভিতে। আমাদের দোকানে যে তেল আছে তা আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। নতুন তেল আসলে আবার নতুম দামে বিক্রি করবো। খোলা তেলে ১৮ টাকা বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ যে বললাম আগের দামে কেনা। আমি তো নতুন দামের চাইতে ৫ লিটারের বোতলে ১৮ টাকা কম নিচ্ছি এখনো। কিন্তু খোলা তেল আমার আগের দামে কেনা তাই ১৮ টাকা বেশি নিতেছি। দাম বৃদ্ধির ঘোষণা এলে যতো দ্রুত দাম বাড়ে কিন্তু দাম কমানোর ঘোষণা এলে কমেনা কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বড় বড় পাইকারদের কাজ। তারা সিন্ডিকেট করে। কিন্তু আমাদের এমন সুযোগ নেই। আমরা এক দুই টন মাল সর্বোচ্চ কিনি। কখনো আরও কম কিনি।

আরেক ব্যবসায়ী খাদিজা এন্টারপ্রাইজের মালিক মোসলে উদ্দিন বলেন, ৫ লিটারের তেলের বোতলে যে দাম ৮০০ টাকা দেয়া সেই দামে বিক্রি করছি। এছাড়া এক লিটারের বোতলের দাম ১৬৩ টাকা দামে বিক্রি করছি। তবে খোলা তেল আমার কেনা ছিলো ১৬৩ টাকা করে তাই আমি ১৬৪/১৬৫ টাকা দামে বিক্রি করতেছি। খোলা তেল ১৪৭ টাকা সরকার নির্ধারণ করছে কিন্তু সেটা কি ভালো নাকি মন্দা জানিনা। যে দামে কিনি তার থেকে এক দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি করি।

একটি সিকিউরিটি গার্ডের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আলতাফ হোসেন। তার কাছে খোলা তেল কতো নিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬৫ টাকা নিলো। খোলা তেলে দুই টাকা কমে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানেন কিনা প্রশ্ন করলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভাই এসব খবর দিয়ে তো কোন কাজ হয়না। দাম বাড়লে তখন ব্যবসায়ীরা পারলে আরও বাড়িয়ে নেয়। অথচ কমলে তিন মাসেও দাম কমার খবর থাকেনা। আপনার সামনেই তো বেশি নিলো কিছু করার আছে বলেন? আমি এক লিটার তেল নিতে আসছি। এখন এদের সাথে কি দাম নিয়ে ঝগড়া করবো।

আরেকজন ক্রেতা সজিব মোল্লা বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বাড়ে তবে খোলা তেলের দাম কমাইছে শুনে ভালো লাগলো। তবে দুই টাকা দাম কমায় তার প্রভাব আসলে বাজারে পরেনি। তাছাড়া লোক দেখানো বাজার মনিটরিং করে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কখনো সম্ভব না। একদিকে ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্স বসাইবেন। জরিমানা করবেন আবার বলবেন দাম কমাইতে তারা কিভাবে দাম কমাবে। জীবনে শুনছেন কোনকিছুর দাম বাড়লে তা আবার কমে সহজে।

;

শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রায় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের করা গবেষণায় এ তথ্য মিলেছে। শিশুদের খাবারে যাতে চিনি যুক্ত করা না হয় এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশ রয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানদণ্ড পরীক্ষায় কোনো ধরনের ক্ষতিকারক বিষয় সামনে আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া বিএসটিআই’র পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্য কোম্পানি নেসলে বেশ কয়েকটি দেশে শিশুদের জন্য তৈরি করা দুধ ও সিরিয়াল পণ্যগুলোতে বাড়তি চিনি ও মধু যুক্ত করে, যা স্থূলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক নীতিমালার লঙ্ঘন। নেসলের শিশুখাদ্যে বাড়তি চিনি যুক্ত করার আইন লঙ্ঘনের এই ঘটনা কেবল এশিয়ান, আফ্রিকান এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাক থেকে একজন শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয়, তাতে প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম বাড়তি চিনি উপস্থিতি আছে।

পাবলিক আই বলছে, নেসলে সুইজারল্যান্ডে বাজারজাত করা তাদের পণ্য সেরেলাকে বাড়তি কোনও চিনি ব্যবহার করে না। কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোতে সেরেলাকে বাড়তি চিনি যুক্ত করে তারা।

এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেসলের শিশুখাদ্য পণ্যের বিষয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গবেষণায় পাওয়া ফল একটি বৈজ্ঞানিক প্যানেলের সামনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, খাদ্যে ভেজাল কিংবা দূষণের কারণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। এক গবেষণায় নেসলের দুটি পণ্য সেরেলাক ও নিডোতে উচ্চমাত্রার চিনির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে। এটা আমরা পরীক্ষাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। বিএসটিআই’র মানদণ্ডে পরিমাপ করব। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সামনে এলে বা অভিযোগ প্রমাণিত হলে পণ্য দুটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সুপারিশ করব। এছাড়া মামলা করারও সুযোগ আছে।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নেসলে ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্রর সঙ্গে কথা বলেছে। ওই মুখপাত্র বলেছেন, তারা গত পাঁচ বছরে নেসলের শিশুখাদ্যে যোগ করা চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। এছাড়া আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে তারা পণ্যগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ভারতে নেসলের ১৫টি সেরেলাক শিশুখাদ্য থেকে একটি শিশুকে একবার যে পরিমাণ খাবার দেওয়া হয় তাতে গড়ে প্রায় ৩ গ্রাম চিনি থাকে। একই পণ্য জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি করা হচ্ছে বাড়তি চিনি ছাড়াই। অন্যদিকে ইথিওপিয়া ও থাইল্যান্ডে এই চিনির পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যের মান প্রণয়ন ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই সূত্র জানায়, এটি অন্য দেশের তৈরিকৃত পণ্য। তবে এগুলো আমাদের দেশের মানদণ্ড অনুযায়ী এক নাও হতে পারে। সেরেলাক ও নিডো যদি দেশের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী মান ঠিক রেখে পণ্য তৈরি করে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিবেদনে ক্ষতির বিষয়টি এসেছে, তাই এই বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকারক কিছু থাকে, তাহলে পদক্ষেপ নেব।

;

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

সরবরাহ স্বাভাবিক তবুও বাজার চড়া

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঈদ পরবর্তীত বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নিত্য পণ্যের দাম চড়া। ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী শাক সবজি ও মাছের দাম। বিশেষ করে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই বাজারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কাওরান কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

কাওরান বাজারের খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আজকে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি, রসুন ২০০-২২০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৮০-১২০ টাকা কেজি, ধনেপাতা কেজি ১০০টাকা আর আটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। লেবুর হালি ৩০-৪০ টাকা।

এছাড়া শবজির বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও দাম আগের মতোই চড়া ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। মিষ্টি কুমড়া ৪০, মুলা ৫০-৬০, পটল ৭০ _১২০, বেগুন ৬০ টাকা,বরবটি ৮০,  জালি প্রতি পিছ ৬০ টাকা, ভেন্ডি ৬০ টাকা কেজি, টমেটো ৫০ শশা ৫০, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ করলা ১২০ টাকা, করলা ৬০-৭০, বাধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, গাজর ৬০, ক্যাপসিকাম ৪৫০ টাকা।

তবে মাছ মাংসের বাজারে দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা বলছে মাছের গায়ে হাত দেয়া যায় না। বাজারে আজকে দেশি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা কেজি, মলা মাছ ৭০০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি, এবং চাষের চিংড়ি ৭০০টাকা কেজি, আইর মাছ ৮০০টাকা কেজি,কাতল ৭০০ টাকা, দেশি বড় বোয়াল ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ১০০০ টাকা। আর ৫০০গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ টাকা কেজি।মুরগী ২১০ টাকা, গরু ৭৫০-৭৮০ টাকা,

কল্যাণপুর থেকে কাওরান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন সুফিয়া বেগম। তিনি জানান ৫ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি বাজারে। মাত্র ৫ জনের সংসারের বাজার করতে ইতিমধ্যে বাজারের প্রায় অর্ধেক টাকা শেষ হয়েছে শুধু মাছ কিনতে। এখনো সবজি ও ঘরের অন্যান্য বাজার করা বাকি। আগে যেখানে মাত্র ৩ হাজার টাকায় সপ্তাহের পুরো বাজার শেষ হয়ে যেতো সেখানে এখন ৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে টেনেটুনে সংসার চালাতে হচ্ছে তাকে। কাওরান বাজারে কিছুটা কম দামে কিনতে আসলে দামের পার্থক্য এলাকার বাজারের চাইতে খুব একটা কম না। তবে টাটকা পণ্য পাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায় বলে তিনি জানান। বাজারের  ভয়াবহ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দুইজনে মিলে কামাই করেও এখন অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে সংসারের চাহিদা মেটাতে।

কাওরান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী লতিফ বার্তা২৪.কম’কে জানান, বাজারে সরবরাহ আছে কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম। তাই বেড়েছে সকল মাছের দাম। দেশি মাছের চাহিদা বেশি থাকায় তার দাম একটু বেশি। তবে চাষের মাছের দাম আগের মতোই আছে।

;

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;